জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ অভিজাত বিপণি বিতান থেকে ফুটপাথ সর্বত্রই ঈদের হাওয়া। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলছে কেনাকাটা। সিলেট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, গাইবান্ধা ও ফেনীতে জমে উঠেছে ঈদ বাজার। খবর স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতাদের।
সিলেট ॥ মার্কেট বিপনি বিতানগুলোতে ঈদের হাওয়া লেগেছে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে কেনাকাটা। সন্ধ্যার পর নগরীর প্রাণকেন্দ্র জিন্দাবাজার এলাকায় ঢল নামে ক্রেতাদের। ঈদের কেনাকাটায় নগরমুখী মানুষের চাপের কারণে বন্দরবাজার, জিন্দাবাজার, চৌহাট্টা, আম্বরখানা পয়েন্টের আশপাশ বাস্তায় সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত যানজট লেগে থাকে। মার্কেট ও আধুনিক বিপণি বিতানের পাশাপাশি নগরীর ফুটপাতগুলোতেও চলছে সমানতালে কেনাকাটা। ছোটদের জামা, জুতা, পাজামা পাঞ্জাবি থেকে শুরু করে সব কিছুই ফুটপাতে পাওয়া যাচ্ছে। রেডিমেড জামা কাপড়ের জন্য এক সময়ের প্রধান ব্যবসাস্থল নগরীর জিন্দাবাজার এলাকা ছেড়ে এখন ব্যবসা কেন্দ্র সম্প্রসারিত হচ্ছে। গত ৭/৮ বছরে শহরের নয়াসড়ক, কুমারপাড়া, লামাবাজার, মির্জা জাঙ্গাল এলাকায় রেডিমেড কাপড়ের শো-রুম ও মার্কেট গড়ে উঠেছে। সেখানে আধুনিক রকমারি ডিজাইন ও নানা ফ্যাশনের ড্রেস, গেঞ্জি, শার্ট, শাড়ি, কসমেটিকসসহ সকল প্রয়োজনীয় জামা কাপড় পাওয়া যায়। যে কারণে ক্রেতারা এখন শুধু জিন্দাবাজার এলাকার মার্কেটের ওপর নির্ভরশীল হচ্ছেন না। প্রতি বছরের মতো এবারও ঈদকে সামনে রেখে কুমারপাড়া এলাকায় রেডিমেড কাপড়ের দুটি শো-রুম উদ্বোধন হয়েছে। এবার ঈদে জর্জেট কাপড়ের পোশাকের প্রতি ক্রেতাদের ঝোঁক বেশি। সুতি, এ্যাব্রয়ডারি করা কাপড়, টিস্যু ও সুতার কারুকাজ করা ড্রেসের কাটতি রযেছে বেশ। নেটের সঙ্গে সুতির ওপর এ্যামব্রয়ডারি কাজ করা অরগ্যান্ডি, জয়পুরী ও চিকেন কাপড়ের কাটতিও বেশ ভাল।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ ॥ জমে উঠেছে ঈদ বাজার। তবে সব চেয়ে বেশি ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে কাপড়ের দোকানে। শহরের নিউ মার্কেট সংলগ্ন ৮টি মার্কেট, ক্লাব সুপার মার্কেট, সেন্টু মার্কেট, ডিসি মার্কেট ও পুরান বাজারে নারী ও পুরুষের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। পিছিয়ে নেই ফুটপাতের দোকানগুলো। প্রেস ক্লাব সড়ক, হরিমোহন ও সরকারী কলেজ দেয়াল ঘিষে ফুটপাতে জমে উঠেছে বিক্রি। সকাল ৮টা থেকে রাত্রী ১০টা পর্যন্ত ভিড় থাকে। অনেকে ভিড় এড়াতে এফতারির সময়েও দোকানে গিয়ে হাজির হচ্ছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জে শহরের প্রায় ১১টি ফুটপাথের দোকানে নিম্ন আয়ের মানুষের সমাগম বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে তরুনীরা ভিড় করছে কসমেটিক আর থ্রি-পিসের দোকানে।
গাইবান্ধা ॥ সাত উপজেলায় জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। দোকানদারা ক্রেতার আকর্ষণে সব ধরনের বাহারি পোশাক দোকানে রেখেছে। বিশেষ করে শহরের মার্কেটেই এখন ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। দাম একটু বেশি হলেও পছন্দ মত কাপড় কিনতে পেয়ে ক্রেতারা অনেক খুশি এবং বিক্রেতারাও আশানুরূপ বিক্রি করতে পেরে আনন্দিত।
ঈদ যতই কাছে আসছে, ততই যেন ঈদের কেনাকাটা বাড়ছে। গাইবান্ধা জেলা শহরের সালিমার সুপার মার্কেট, তরফদার ম্যানশন, মিনাবাজার, ইসলাম প্লাজা, পৌর মার্কেট, প্রাণগোবিন্দ প্লাজাসহ সব কয়টি মার্কেটে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যাচ্ছে।
ফেনী ॥ নিম্ন আয়ের, মধ্যবিত্ত, অবস্থাপন্ন ও উচ্চ বিত্তের মানুষের শ্রেণী অনুযায়ী ফুটপাথ থেকে শুরু করে সুপার মার্কেট, শপিংমলগুলোতে ঈদের বাজার জমে উঠেছে। শহরের রাজাঝির দীঘির পড়ের টংঘরের দোকানিরা যেমন ক্রেতার মনতুষ্টির জন্য ব্যস্ত সময় পার করছেন তেমনি সুপার মার্কেট ও শপিংমলের দোকান কমচারীরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ক্রেতার পছন্দ অনুযায়ী পণ্য দেখাতে। অপর দিকে সুপার মার্কেট ও শপিংমলগুলিতে এ প্রথম ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে পণ্যের পইকারি ও খুচরা মূল্য যাচাই করে ক্রেতাকে আর্থিকভাবে ক্ষতিকরার বিষয়টি জনসম্মুখে বের করে আনেন। পাইকারি বাজার থেকে ১টি জামা ১৬ হাজার টাকায় কিনে শপিংমলে তার দাম একদর স্টিকার লাগিয়ে টোকেন লাগানো হয়েছে ২৯ হাজার টাকা।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: