ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

শরীয়তপুরে বেহাল ২০ সড়ক

প্রকাশিত: ০৪:০২, ২৬ জুন ২০১৬

শরীয়তপুরে বেহাল  ২০ সড়ক

নিজস্ব সংবাদদাতা, শরীয়তপুর, ২৫ জুন ॥ ঈদ সামনে রেখে সড়ক মেরামতের নামে জনগণের সঙ্গে জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগ তামাশা করছে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন। জেলার ছয় উপজেলার ২০ গুরুত্বপূর্ণ সড়কের বেহাল দশা থাকায় আসন্ন ঈদে ঘরমুখো মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছবে। কিছু কিছু রাস্তায় মেরামতের কাজ চলছে। এছাড়া বিনা টেন্ডারে রাস্তার দু’পাশের শত শত গাছ কেটে সাবার করে দিচ্ছেন তারা। এসব গাছ কেটে নিয়ে জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগের কোন কোন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারী বাসাবাড়ির আসবাবপত্র তৈরি করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কোন কোন সড়ক মেরামত করলেও তা নয়-ছয় করে কাজ শেষ করার আগেই অফিসের দুর্নীতিবাজদের সঙ্গে যোগসাজশে বিল উঠিয়ে সরকারী বরাদ্দ হরিলুট করছে। যেন দেখার কেউ নেই। জানা গেছে, দেশের পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে পূর্বাঞ্চলের জেলাসমূহের সড়ক পথে যোগাযোগের একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ সড়ক সদর উপজেলার আংগারিয়া থেকে ভেদরগঞ্জ উপজেলার নরসিংহপুর ফেরিঘাট পর্যন্ত প্রায় ৪০ কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশা। এই সড়কের ২০তম কিলোমিটার থেকে ৫৩তম কিলোমিটার পর্যন্ত রিপেয়ারিং সিলকোটের মাধ্যমে মেরামতের কাজ করছে সরদার এন্টারপ্রাইজ নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এলাকাবাসী অভিযোগ করছে, সড়ক মেরামতের নামে প্রহসন চলছে। রাস্তা মেরামতের নামে জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগ সরকারী বরাদ্দ কোটি কোটি টাকা হরিলুট করছে। এছাড়াও বুড়িরহাট থেকে ভেদরগঞ্জ, ভেদরগঞ্জ-ডামুড্যা, ভেদরগঞ্জ-সখিপুর, সখিপুর-গোসাইরহাট, ভেদরগঞ্জ-ঘরিসার, ঘরিসার-সুরেশ্বর, প-িতসার-গোলারবাজার, ভোজেশ্বর-পঞ্চপল্লী, ঘরিসার-নড়িয়া সড়কসহ জেলার ৬টি উপজেলার ২০ গুরুত্বপূর্ণ সড়ক যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। নওগাঁয় বিশ্ববাঁধের সড়ক বিশ্বজিৎ মনি নওগাঁ থেকে জানান, রাণীনগর উপজেলার মিরাট ইউপির প্রত্যন্ত জনপদের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া খরস্রোতা আত্রাই নদীর তীর সংরক্ষণ বিশ্ববাঁধের সড়কটি খানাখন্দ আর ভাঙ্গাচোরার কারণে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। জামালগঞ্জের মোড় থেকে মিঠাপুর বাজার পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার সড়কটির মালিকানা নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ও এলজিইডির মধ্যে রশি টানাটানির কারণে অভিভাবকহীনতায় দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে চরম বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। অবশেষে সড়কটি এলজিইডির তত্ত্বাবধানে যাওয়ায় শীঘ্রই পাকাকরণের উদ্যোগ নেয়া হবে বলে সূত্রে জানা গেছে। জানা গেছে, রাণীনগর উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার পশ্চিমে প্রত্যন্ত এক জনবসতি ইউনিয়নের নাম মিরাট। আয়তনের দিক দিয়ে প্রায় ২২ হাজার জনসাধারণের বসবাস। স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, মাদ্রাসা ও বাজার থাকলেও যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে কোন প্রতিষ্ঠানই যথাযথভাবে জনসেবা দিতে পারছে না। নদী আর বিলবেষ্টিত এলাকা হওয়ায় উপজেলা সদরের সঙ্গে সরাসরি চলাচলের কোন সড়ক না থাকায় নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্মিত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ কাম পাকা সড়কই এ ইউনিয়নবাসীর একমাত্র ভরসা। রাণীনগর উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) শাইদুর রহমান মিঞা জানান, জামালগঞ্জ-মিঠাপুর সড়কটির সংস্কার কাজের জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবর চাহিদাপত্র দেয়া আছে। বরাদ্দ পেলেই সংস্কার কাজ শুরু করা হবে। সান্তাহারে সাইলো সড়ক নিজস্ব সংবাদদাতা সান্তাহার থেকে জানান, বগুড়ার সান্তাহার সাইলো সড়কের সংস্কার কাজ দীর্ঘদিন ধরে না করার কারণে সড়কের বেহাল দশা হয়েছে। প্রায় তিন কিলোমিটার দীর্ঘ এ সড়কের অধিকাংশ স্থানে অসংখ্য গভীর খানা-খন্দ সৃষ্টি হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে চলছে গম, চাল ও সারবাহী ট্রাকসহ সব ধরনের যানবাহন। জানা গেছে, প্রায় দেড় যুগ আগে সড়কটির সংস্কার কাজ করা হয়। এরপর থেকে খাদ্যশস্য সাইলো ও বিসিআইসি কর্তৃপক্ষের তেমন নজরদারি না থাকার কারণে জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটি বর্তমানে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এ সড়কটি খাদ্য বিভাগের হলেও ব্যাপকহারে ব্যবহার করে বিসিআইসি’র রাসায়নিক সারের বাফার স্টক গোডাউন কর্তৃপক্ষ এবং আশপাশের অন্তত ১২ গ্রামের মানুষ। এ ব্যাপারে ওই সড়ক রক্ষণাবেক্ষণকারী কর্তৃপক্ষ সান্তাহার সাইলো অধীক্ষক ইলিয়াছ হোসেন বলেন, সড়কটি সংস্কারের জন্য উর্ধতন মহলে প্রাক্কলন পাঠানো হয়েছে। আশা করছি অচিরেই দরপত্র আহ্বান করা হবে।
×