পানের বরজে সাথী ফসল কলিগাইত্যা

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ সবুজ পানের সঙ্গে সবুজ পাতা। পানের বরজের ভেতরে পানের সঙ্গে ‘সাথী ফসলৎ হিসেবে আরও একটি লাভজনক ফসল ফলিয়ে স্বাবলম্বী হচ্ছে গৃহিণীরা। এ সবুজ পাতা লাগালে পানেরও ক্ষতি হয় না। আলাদা খরচ এবং কর্মচারীর বেতনও প্রয়োজন পড়ে না। সাথী ফসলের এসব পাতার ঘ্রাণে পোকামাকড়ও সহজে আসে না। একঢিলে দুই পাখি শিকারের মতো এ পাতাটির নাম ‘ধনিয়াপাতা’। টেকনাফের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পানের বরজে ধনিয়াপাতা চাষ করে কিষাণ-কিষাণি আশাতীত সফলতা পেয়েছে। কৃষি অফিসের তথ্য মতে ওই ধনিয়াপাতার নাম বিলাতি ধনিয়া। কিন্তু স্থানীয় ভাষায় বলে ‘কলিগাইত্যা বাহুরপাতা’। রোজাদারদের ব্যাপক চাহিদা ইফতারির অন্যতম ব্যাঞ্জর এ বিলাতি ধনিয়াপাতা বিক্রি করে কৃষক প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা আয় করছে। তাদের কষ্ট করে বাজারে গিয়েও বিক্রি করতে হয় না। পাইকাররা কৃষকদের বাড়িতে এসে নিয়ে যায় পাতা। পবিত্র রমজানে টেকনাফে বিলাতি ধনিয়াপাতা অন্যতম অর্থকরী ফসলে পরিণত হয়েছে। টেকনাফ উপজেলা কৃষি অফিসার এবং উপ-সহকারী কৃষি অফিসারগণ সাথী ফসল বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও উৎসাহ দিয়ে আসছে। কৃষকরাও পানের বরজে এবং ঘরের ছায়াস্থলে দেদারছে লাগিয়েছে এ পাতা। টেকনাফ উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবারই সর্বপ্রথম টেকনাফের বাহারছড়া এবং টেকনাফ সদর ইউনিয়নে কৃষক দুই শতাধিক পান বরজের ভেতরে পানের সঙ্গে ‘সাথী ফসল’ হিসেবে ‘বিলাতি ধনিয়া’ চাষাবাদ করেছে। খুব সহজে পানের বরজের ভেতরে পান লতার দুই সারির মাঝখানে খালি জমিতে স্বল্প বিনিয়োগ ও স্বল্প পরিশ্রমে চাষাবাদ করা যায়। নীলফামারীতে ৫শ’ টাকায় স্ত্রী বন্ধক স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী॥ স্ত্রীকে পাঁচশ’ টাকার বিনিময়ে কাঠুরির কাছে বন্ধক দিয়েছে ভ্যানচালক স্বামী। ওই ভ্যান চালক স্বামী লিটন আলী ওরফে ফকির সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া বাজারের সংলগ্ন তেলিপাড়ার বাবর আলীর ছেলে। তার স্ত্রীকে বন্ধক নিয়েছে সদরের চাপড়া সরনজামী ইউনিয়নের নাটুয়াপাড়ার মোহম্মদ আলীর ছেলে কাঠুরিয়া ওলেমান মিয়া। আর নববধূ শিল্পী আক্তার সদরের চাপড়া সরনজামী ইউনিয়নের শুকানপুকুর গ্রামের বশির বাউরার মেয়ে। শুক্রবার রাতে ভ্যানচালক ওলেমান মিয়ার কাছ থেকে স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিতে এলে ঘটনাটি ফাঁস হয়ে পড়ে। জানা যায়, দেড় মাস আগে ভালবেসে শিল্পী আক্তারকে বিয়ে করে ভ্যানচালক লিটন। গত বুধবার স্ত্রী শিল্পীকে পাঁচশ’ টাকার বিনিময়ে কাঠুরিয়া ওলেমান মিয়ার কাছে বন্ধক রাখে। তিন দিন পর শুক্রবার সন্ধ্যায় শিল্পীকে ফেরত আনতে গিয়ে ঘটে বিপত্তি। শিল্পী তার স্বামী লিটনের ঘরে ফেরত না এসে ওলেমানকে স্বামী হিসেবে গ্রহণ করার দৃঢ় সংকল্প করায় ত্রিমুখী দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। আর তখনই ঘটনাটি এলাকায় চাউর হয়।