ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের কাউয়ারচরে সরকারি জমি দখলের হিড়িক

প্রকাশিত: ০১:২৭, ২৫ জুন ২০১৬

কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের কাউয়ারচরে সরকারি জমি দখলের হিড়িক

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া ॥ হাইকোর্টের রিট পিটিশনের আদেশ মোতাবেক সাতদিনের মধ্যে এসব বিলবোর্ড কিংবা সাইন বোর্ড অপসারনের জন্য পটুয়াখালীর জেলা প্রশসক বিভিন্ন আবাসন কোম্পানিকে ২০১১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর নোটিশ দিয়েছিল। শুধু বিলবোর্ড সাইনবোর্ড নয় বর্ণিত ভূমির উপরে যাবতীয় গৃহ ও অন্যান্য ইমারত কিংবা তার অংশ বিশেষ অপসারনের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়। নইলে সরকার বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বরাবরে বাজেয়াপ্ত করা হবে। কিন্ত আজ অবধি অধিকাংশ সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড কিংবা কোন স্থাপনা আবাসন কোম্পানি অপসারন করেনি। এ জমির দখল নিয়ে আবার কখনও চলে মোটর সাইকেলে দেশীয় অস্ত্রের মহড়া। গ্রামের মানুষ হয়ে পড়েন তটস্থ। কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত এরিয়া চিহ্নিতের পরে কাউয়ারচর এলাকায় বেড়িবাঁধের বাইরে কুয়াকাটা এসেটসহ বিভিন্ন আবাসন কোম্পানি এক নম্বর খাস খতিয়ানের বিভিন্ন দাগের উপরে সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেয়। উচ্চ আদালতের নির্দেশনার পরে জেলা প্রশাসনের ওই নোটিশের কার্যক্রম আজ পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয়নি। সরকারী ভূমির অবৈধ দখল ছেড়ে দেয়ার জন্য সৈকত এরিয়ার সকল আবাসন ব্যবসায়ী কিংবা কোম্পানিকে এভাবে নোটিশ দেয়া হয়েছে। কিন্তু কার্যকর কোন ব্যবস্থা প্রায় পাঁচ বছরেও গৃহীত হয়নি। ভূমি প্রশাসনের অবহেলার কারনে এসব সাইনবোর্ড কিংবা বিলবোর্ড এখনও খাস জমির ওপরে দাড়িয়ে আছে। ফলে একদিকে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা উপেক্ষিত হচ্ছে, অপরদিকে সরকারি শত শত একর খাস জমি স্থায়ীভাবে বেহাতের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, এখনও কুয়াকাটা এসেট, বসুধাসহ অসংখ্য আবাসন কোম্পানি কিংবা ব্যবসায়ীর সাইনবোর্ড-বিলবোর্ড দাড়িয়ে আছে। রয়েছে বহু ব্যক্তিগত সাইনবোর্ড। নিজেদের জমি দাবি করে এসব স্থাপন করা হয়েছে। বসুধা কোম্পানি দাবি করেছে তারা সরকারি কোন জমিতে সাইনবোর্ড তোলেননি। এদের পাল্টা অভিযোগ তাদের জমিতেও কুয়াকাটা এসেট জোর করে মস্তান লাগিয়ে সাইনবোর্ড টানিয়েছে। অথচ কুয়াকাটার খাজুরা থেকে কাউয়ার চর পর্যন্ত সমুদ্র সৈকত এরিয়ায় কোন ধরনের স্থাপনা তোলা যাবে না। তোলা হলেও তা উচ্ছেদে কিংবা অপসারনে সুপ্রীমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রিট পিটিশন নং-৫১৬২/২০১১ এর আদেশ দেয়া রয়েছে। এরপর থেকে শুধু নোটিশ আর চিঠি চালাচালি করেই স্থানীয় প্রশাসন তাদের দৌড়ঝাপ শেষ করেছেন। কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এমনকি সাইনবোর্ড-বিলবোর্ড ছাড়াও চিহ্নিত সমুদ্র সৈকত এরিয়ায় রয়েছে বিভিন্ন ধরনের পাকা আধাপাকা নির্মানাধীন স্থাপনা। কেউ কেউ দেয়াল বানাচ্ছে। মোটকথা কাউয়ার চরে সরকারি জমি দখলের হিড়িক চলছে। পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক একেএম শামীমুল হক সিদ্দিক জানান, শীঘ্রই উচ্চ আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়নে এসব দখলবাজদের উচ্ছেদ করতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
×