ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ইনজুরিতে জাতীয় ফুটবল দলের ক্যাম্প ছাড়লেন ডিফেন্ডার মিশু

চেনা গুরু ক্রুইফকে পেয়ে খুশি শিষ্যরা

প্রকাশিত: ০৬:৩০, ২০ মে ২০১৬

চেনা গুরু ক্রুইফকে পেয়ে খুশি শিষ্যরা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ কথায় আছে, ‘মনে শান্তি আছে তো সব আছে।’ বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের ফুটবলারদের এখন হয়েছে একই অবস্থা। ডাচ্ কোচ লোডভিক ডি ক্রুইফের অধীনে গত দুই বছর ধরে খেলে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছিল মামুনুলরা। ক্রুইফকে বিদায় করে দেয়ার পর বাফুফে আরও তিন কোচ আনে। কিন্তু তাদের কেউই দলে স্থায়ী হননি (ফ্যাবিও লোপেজ, মারুফুল হক এবং গঞ্জালো সানচেজ মোরেনো)। এই স্বল্প সময়ে তাদের সঙ্গে খেলোয়াড়দের সেভাবে বোঝাপড়া বা সুসম্পর্কও গড়ে ওঠেনি। ফলে বাফুফে উপলব্ধি করে- আগামী ২ ও ৭ জুন এএফসি এশিয়ান কাপের প্লে অফ ম্যাচে তাজিকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে বাংলাদেশের কোয়ালিফাই করার ক্ষেত্রে ক্রুইফ ছাড়া তাদের কোন গতি নেই! তবে ক্রুইফের এবারের দায়িত্ব স্বল্প মেয়াদের জন্য। সময়টা এক মাস। বাফুফে চাচ্ছিল এমন কাউকে, যিনি বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের ভালমতো চেনেন, এখানকার আবহাওয়াসহ সবকিছু যার নখ দর্পণে ... ক্রুইফ হচ্ছেন তেমনই একজন। এ জন্যই ক্রুইফকে বেছে নেয়া। বৃহস্পতিবার জাতীয় দলের অনুশীলন অনুষ্ঠিত হয় কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোঃ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে। এদিনই ছুটি কাটিয়ে ডেনমার্ক থেকে ফিরে ক্যাম্পে যোগ দেন দলের সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার সহ-অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। গত মঙ্গলবার ভোরে নিজ দেশ হল্যান্ড থেকে ক্রুইফ আবারও পা রাখেন বাংলাদেশের মাটিতে। সেদিনই তিনি তার শিষ্যদের মুখোমুখি হন অনুশীলনে। তাকে পেয়ে চাঙ্গা হয়ে ওঠে জাতীয় দলের ফুটবলাররা। সবাই বেশ উৎফুল। বিশেষ করে দলের সিনিয়র খেলোয়াড়রা। দীর্ঘ ভ্রমণের পরও তাই ক্লান্তির ছাপ ছিল না জামালের চোখে মুখে। ক্যাম্প কেমন মনে হচ্ছে? ‘কোন সমস্যা নেই। সব ঠিকই আছে।’ জামালের জবাব। ক্রুইফকে পেয়ে দারুণ আনন্দিত ডিফেন্ডার ওয়ালী ফয়সাল, রায়হান হাসান, রেজাউল করিম, মিডফিল্ডার মাসুক মিয়া, গোলরক্ষক মাজহারুল ইসলাম হিমেল, রাসেল মাহমুদ লিটনরা। ক্যাম্প প্রসঙ্গে হিমেল বলেন, ‘ক্যাম্প বেশ ভালভাবেই এগিয়ে চলছে। কোন সমস্যা হচ্ছে না।’ ক্যাম্পের পাশাপাশি তাজিকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ প্রসঙ্গে রায়হান বলেন, ‘তাজিকিস্তান ভাল দল। কিন্তু ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে আমরা ওদের বিপক্ষে নিশ্চিত জেতা ম্যাচ ড্র করেছি। ওদের শক্তিমত্তা এবং দুর্বলতা দুটোই আমরা জানি।’ ক্রুইফ আসায় সিনিয়র খেলোয়াড়রা খুশি হলেও, ক্যাম্পে থাকা জুনিয়র খেলোয়াড়রা বেশ সর্তক! কৌশিক বড়ুয়া, মান্নাফ রাব্বি, নুরুল আবসার, মোঃ সবুজ, সৈয়দ রাশেদ তূর্যদের ক্রুইফ বা ক্যাম্প সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে, তারা কোন কথা বলেননি। কোচ-অফিসিয়ালদের নিষেধাজ্ঞার কারণেই মূলত তরুণরা কোন মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকছেন। এর পেছনে অবশ্য একটি কারণও আছে। কেননা ক্রুইফ যোগ দিয়েই পুরনো খেলোয়াড়দের ওপর আস্থা রাখার কথা বলেছিলেন। যেহেতু পুরনোদের নিয়েই ভাবছেন ক্রুইফ, সেহেতু প্রাথমিক দলে সুযোগ পাওয়া নতুন খেলোয়াড়রা ক্যাম্প কিংবা তাজিকিস্তান ম্যাচ নিয়ে কোন কথা বলেননি। এদিকে বেশ কিছুদিন ক্যাম্পে থাকার পর ইনজুরি আক্রান্ত ডিফেন্ডার আতিকুর রহমান মিশু ক্যাম্প ছেড়ে চলে গেছেন। গোড়ালির ইনজুরিতে ভুগছেন তিনি। যাওয়ার আগে মিশু বলেন, ‘আসলে ইনজুরি লুকিয়ে খেলতে চাই না আমি। তাজিকিস্তানের ম্যাচ দুটি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি চাই যারা ম্যাচে শতভাগ দিতে পারবে, তারাই যেন চূড়ান্ত দলে থাকে। শুধু শুধু ইনজুরি নিয়ে দলের বোঝা হয়ে পড়ে থেকে লাভ কি?
×