ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সিএইচসিপির দুর্নীতি তদন্তে এমআরএ ॥ মিলেছে সত্যতা

প্রকাশিত: ০০:০৫, ১৯ মে ২০১৬

সিএইচসিপির দুর্নীতি তদন্তে এমআরএ ॥ মিলেছে সত্যতা

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা (এনজিও) কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রজেক্ট (সিএইচসিপি)’র ফান্ড থেকে চেয়ারম্যান, পরিচালক ও অর্থ সমন্বয়কারীর যোগসাজশে ছয় কোটি টাকা আত্মসাতসহ ভূয়া সীল ও জালিয়াতির মাধ্যমে সরকারের কয়েক লাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকি, জাল ষ্ট্যাম্প ব্যবহার, সংস্থার নারী কর্মকর্তাদের যৌণ নিপিড়নের অভিযোগের সত্যতা মিলেছে মাইক্রো ক্রেডিট রেগুলেটরী অথরিটি (এমআরএ)’র তদন্ত রিপোর্টে। গত ৬ মে এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ দৈনিক জনকন্ঠে প্রকাশিত হওয়ার পর ৮মে দুর্নীতিবাজ অবৈধ সভাপতি সুধীর অধিকারী তার পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। অন্যদিকে সিএইচসিপি’র পরিচালনা পর্ষদের অবৈধ উপদেষ্টা ও খ্রিষ্ঠ সমাজের সংগঠন ঢাকা ওয়াইএমসিএ’র সভাপতি পদ থেকে দূর্নীতির অভিযোগে উইলিয়াম প্রলয় সমদ্দার বাপ্পীকে বহিস্কার করা হয়েছে। তবে এখনও বাপ্পী সিএইচসিপি’র অবৈধ কমিটির লোকজনকে বাঁচাতে মরিয়া রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সংস্থাটি শুরুতে আর্থ সামাজিক উন্নয়ন ও গ্রামীণ অর্থনীতিকে গতিশীল করতে নারীদের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে বিনা সুদে ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্প চালুর নির্দেশনা ছিল। শুরুতে সংস্থাটির কর্মকর্তারা এসব কাজ করলেও পর্যায়ক্রমে উন্নয়ন প্রকল্প বাদ দিয়ে ১৯৮৪ সাল থেকে দাতা দেশ জার্মানি (ইজেডই) সরকারের অর্থ সহায়তায় মাইক্রো ক্রেডিটের কাজ শুরু করেন। সংস্থার গঠণতন্ত্রে দুই বছর মেয়াদী কমিটি নবায়নের কথা থাকলেও একটানা ২১বছর চেয়ারম্যানের পদ আগলে রাখেন জনৈক সুবীর অধিকারী। তার প্রত্যক্ষ মদদে সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ডাঃ সঞ্জিব কুন্ডু ও অর্থ সমন্বয়কারী জেমস মহানন্দ মন্ডল সংস্থার টাকা লুটপাটের মহোৎসবে মেতে ওঠেন। সূত্রে আরও জানা গেছে, অনেক কর্মকর্তা তাদের দূর্নীতির প্রতিবাদ করায় চাকুরিচ্যুত হয়েছে।
×