ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

অকৃষি খাতের প্রবৃদ্ধি মূলত কৃষি খাতের ওপর নির্ভরশীল

প্রকাশিত: ০৮:১০, ১৮ মে ২০১৬

অকৃষি খাতের প্রবৃদ্ধি মূলত কৃষি খাতের ওপর নির্ভরশীল

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ অকৃষিখাতের প্রবৃদ্ধি মূলত কৃষিখাতের ওপর নির্ভরশীল। কৃষিখাতে ১০ শতাংশ আয় বাড়লে তা অকৃষিখাতে ৬ শতাংশ আয় বাড়াবে। ‘বিশ্বব্যাংকের ডায়নামিকস অব রুরাল গ্রোথ ইন বাংলাদেশ : সাসটেইনিং প্রোভার্টি রিডাকশন’ শীর্ষক বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এলজিইডিমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য ড. শামসুল আলম, বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর চিমিয়াও ফান, বিশ্বব্যাংকের কৃষি বিভাগের ডিরেক্টর ইথেল সেন হেজার এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্বব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ মাধুর গৌতম। মন্ত্রী বলেন, গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের ফলে কৃষি ক্ষেত্রে অগ্রগতি ত্বরান্বিত হয়েছে। তবে গ্রামীণ উদ্যোক্তাদের সহায়তা করতে বিভিন্ন ব্যাংক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান তাদের কর্মতৎপরতা আরও বাড়াতে পারে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের গ্রামীণ অর্থনীতি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির একটি শক্তিশালী উৎস এবং ২০০০ সাল থেকে তা দেশের টেকসই দারিদ্র্য নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। গ্রামীণ উন্নয়নে যে নীরব গতিশীলতা এসেছে তা যেন এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধন করেছে। যদিও দরিদ্রতা ও অপুষ্টির হার এখনও নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে বেশি, তারপরও বাংলাদেশ যে অগ্রগতি সাধন করেছে তা প্রশংসনীয়। অনেক বাধা-বিপত্তির মধ্য দিয়ে দরিদ্রতা নিরসনে, অংশীদারিত্ব অগ্রগতিতে এবং মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদায় পরিণত হতে বাংলাদেশ অনেক চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হচ্ছে। বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, যদিও গ্রামীণ জীবন যাপনে কৃষি এখনও গুরুত্বপূর্ণ খাত হলেও অকৃষিখাতের গুরুত্বও ক্রমশ বাড়ছে। তাই অকৃষিখাতের উন্নয়নের দিকে নজর দিতে হবে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ভবিষ্যতে চাহিদার সাথে চাল সরবরাহ করা কোন উদ্বেগের কারণ হবে না। বরং অন্যান্য যে খাদ্যদ্রব্য রয়েছে সেগুলোর সরবরাহ দ্রুত করতে হবে। কৃষির উন্নয়ন, খাদ্য নিরাপত্তা এবং পুষ্টি পরস্পর সম্পর্কযুক্ত। একটির উন্নয়ন আর একটির সাথে সম্পর্ক যুক্ত। পুষ্টির মান বাড়াতে কার্যকর পদক্ষেপ দ্রুত গ্রহণ করতে হবে।
×