ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

হলোকাস্ট নিয়ে কার্টুন

প্রকাশিত: ০৬:৪৪, ১৮ মে ২০১৬

হলোকাস্ট নিয়ে কার্টুন

ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান ইসরাইল নিয়ে আবারও কার্টুন প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাবেদ জারিফ এ কার্টুন প্রতিযোগী বন্ধ করা হবে না বলেও ঘোষণা দেন। জাবেদ দাবি করেন তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতোই বাক স্বাধীনতা হরণের বিপক্ষে নয়। যুক্তরাষ্ট্র যেমন কু ক্লাক্স ক্লান বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করেনি তেমনি ইরানও এই কার্টুন বন্ধ করবে না। ইতোমধ্যে এই কার্টুন প্রতিযোগিতা ঘিরে ইসরাইলজুড়ে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ও ইসরাইল যৌথভাবে তেহরানে আয়োজিত এই কার্টুন প্রতিযোগিতার সমালোচনা করেছেন। ইরানের স্থানীয় দৈনিক হামশারি এ প্রতিযোগিতার মূল উদ্যোক্তা। এ বছর দ্বিতীয়বারের মতো দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধে কনসানট্রেশন ক্যাম্পে নিপীড়িত ইহুদীদের কটাক্ষ করে এ কার্টুন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। ২০০৫ সালে নবী মোহাম্মদ (স) নিয়ে ডেনিশ পত্রিকার কার্টুন আঁকা নিয়ে বিশ্বব্যাপী ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছিল। তখন পশ্চিমা সংবাদমাধ্যম এমন বিক্ষোভকে বাক স্বাধীনতার হস্তক্ষেপ বলে উড়িয়ে দেয়। কিন্তু, হলোকাস্ট নিয়ে কার্টুন আঁকায় ইরানের সমালোচনা করায় তাদের দ্বিমুখী চরিত্র বেরিয়ে আসে বলে জানান ইরানের এক মুখপাত্র। নিউইয়র্ক টাইমস তাদের সম্পাদকীয়তে মন্তব্য করেছেন, নবী মোহাম্মদ (স) নিয়ে যখন কার্টুন আঁকা হয়েছিল তখন তা বিশ্বব্যাপী কোটি মুসলমানের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত এনেছিল। কিন্তু, পশ্চিমা বিশ্বের নেতারা এই কার্টুন আঁকাকে বাক স্বাধীনতা অধিকার দাবি করেছিলেন। আজ তারাই হলোকাস্ট নিয়ে কার্টুন আঁকার বিরোধী। ইরানের অধিকাংশ রাজনীতিক ইহুদীদের হলোকস্টকে একটি মিথ বলে আখ্যায়িত করেন। তাদের অধিকাংশের মত হলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাজি বাহিনীর হাতে নিহত ইহুদীর সংখ্যা ৬ মিলিয়ন নয় বরং আরও অনেক কম। ইসরাইল ও ইরান প্রতিদ্বন্দ্বী দুই রাষ্ট্র। ইরানের ইসলামিক বিপ্লব সংঘটিত হওয়ার পর হতে দুই রাষ্ট্রের এমন দৌরাত্ম্য। ইসরাইলবিরোধী হামাস ও হিযবুল্লাহ সংগঠন দুটিকে ইরান অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করে ইসরাইলের অভিযোগ। মোট ৫০টি দেশের ১৫০টি কর্টুন এই প্রতিযোগিতায় স্থান পায়। এখানে দেখানো হয়েছে ইসরাইল রাষ্ট্র নিজেদের দখল দারিত্বকে বৈধ করতে বিশ্বব্যাপী হলোকাস্টের মিথ্যা কাহিনী শোনায়। চলমান ডেস্ক
×