ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

‘নুসরাত-বিশ্বাসের কণ্ঠস্বর’ গ্রন্থের প্রকাশনা নিয়ে সঙ্গীতানুষ্ঠান

প্রকাশিত: ০৬:০৫, ১৮ মে ২০১৬

‘নুসরাত-বিশ্বাসের কণ্ঠস্বর’ গ্রন্থের প্রকাশনা নিয়ে সঙ্গীতানুষ্ঠান

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সব মিলিয়ে চমৎকার এক আয়োজন। বই প্রকাশনাকেন্দ্রিক আয়োজনটি পরিণত হলো সঙ্গীতাসরে। যাকে নিয়ে রচিত হয়েছে গ্রন্থটি তিনি হচ্ছেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত সুফী শিল্পী নুসরাত ফতেহ আল খান। এই শিল্পীর জীবন ও সঙ্গীত নিয়ে দীর্ঘ এক দশক গবেষণা করেছেন ফরাসী লেখক ড. পিয়্যের-অ্যাঁলা বো। সেই গবেষণার ভিত্তিতে লিখেছেন নুসরাত-বিশ্বাসের কণ্ঠস্বর বা ‘নুসরাত, দ্য ভয়েস অব ফেইথ’ শীর্ষক গ্রন্থ। ইতোমধ্যে বইটি ফরাসী, ইংরেজী ও উর্দু ভাষায় প্রকাশিত হয়েছে। আর আগামী বছরের শুরুতে প্রকাশিত হচ্ছে বাংলায়। এ প্রকাশনা অনুষ্ঠানকে স্মরণীয় করে রাখতেই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অনন্য এ সঙ্গীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দো ঢাকার লা গ্যালারিতে গ্রন্থটি নিয়ে আলোচনার সঙ্গে গানের পরিবেশনায় সাজানো হয় অনুষ্ঠান। আয়োজনের শুরুতেই প্রদর্শিত হয় নুসরাত ফতেহ আলী খানের সঙ্গীত পরিবেশনার ভিডিওচিত্র এবং তাকে নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র। এরপর আলোচনা শেষে শুরু হয় সঙ্গীত পরিবেশনা। কবিগান ও লালনের গানের সমন্বয়ে মনোমুগ্ধকর হয়ে উঠে সঙ্গীতাসরটি। লালন সাঁইজির বাণীকে আশ্রয় করে সুর ছড়ান প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী ফরিদা পারভীন। মানুষকে জানা ও বোঝার অভিপ্রায় উঠে আসে গানের চরণে। চর্চিত কণ্ঠের মাধুর্যে শিল্পী গেয়ে শোনানÑ সত্য বল সুপথে চল/ওরে আমার মন/সত্য সুপথ না চিনিলে/পাবি নে মানুষের দরশন...। এরপর একে একে পরিবেশন করেন ‘জাত গেল জাত গেল বলে’, ‘পারে কে যাবি নবীর নৌকাতে আয়’ ও ‘পাখি কখন জানি উড়ে যায়’ শিরোনামের তিনটি গান। অনুষ্ঠানের শেষধাপে দুই বাউল শিল্পীর কবিগানের পরিবেশনাটি শ্রোতাদের মাঝে ছড়িয়ে দেয় নির্মল আনন্দ। গানের ভেতর থেকেই প্রশ্ন ও জবাব দেয়ার এ পালায় অংশ নেন আরিফ দেওয়ান ও আলেয়া বেগম। নুসরাত-বিশ্বাসের কণ্ঠস্বর শীর্ষক গ্রন্থটির ওপর আলোচনা করেন অধ্যাপক কায়সার হক। এছাড়াও আলোচনায় অংশ নেন ফরাসী রাষ্ট্রদূত সোফি ওবে ও পাকিস্তানের ডেপুটি হাইকমিশনার সামিনা মেহতাব। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দো ঢাকার পরিচালক ব্রুনো প্লাস। আলোচনায় বক্তারা বলেন, ফতেহ আলী খানের ছিল জাদুকরী গলা। সুফী কবিদের ভাব ও বাণী প্রসার তার লক্ষ্য ছিল। তিনি একদম সহজ সরল ছিলেন। তার সময়ের তিনি একজন উল্লেখযোগ্য মানুষ। সুফী সংগীতের বিশ্বব্যাপী প্রসারে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। যেহেতু ড. পিয়্যের অনেক সময় কাটিয়েছেন নুসরাতের সঙ্গে তাই তার জীবন সম্পর্কে গভীর পর্যালোচনা উঠে এসেছে গ্রন্থটিতে। ফিল্ম আর্কাইভের ৩৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্্যাপিত ॥ মঙ্গলবার ছিল বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের ৩৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। চলচ্চিত্রের পোস্টার প্রদর্শনী ও আলোচনার মধ্য দিয়ে উদ্্যাপিত হলো দিবসটি। এ উপলক্ষে সকালে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় সুফিয়া কামাল জাতীয় গণগ্রন্থাগার প্রাঙ্গণে। এতে বক্তারা বলেন, চলচ্চিত্র শুধু কাহিনী তুলে ধরে না। সমাজ, দেশ ও মানুষের কথা বলে। সুতরাং চলচ্চিত্রকে সংরক্ষণ করতে হবে। আর দুই বছর পরেই বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ প্রতিষ্ঠার চার দশকে পা দেবে। কিন্তু সেখানে সেভাবে চলচ্চিত্র সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়নি। নতুন প্রজন্মের কাছে সত্য ইতিহাস তুলে ধরতে চলচ্চিত্র সংরক্ষণ করা জরুরী। গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান মিলনায়তনে ফিল্ম আর্কাইভের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে গণগ্রন্থাগারের উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠানের উ™ে^াধন করেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। তিনি বলেন, স্বাধীনতার ইতিহাস যাতে কেউ বিকৃতি করতে না পারে সে জন্য বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। অতীতে বিএনপি-জামায়াত স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতি করেছে। ভবিষ্যত প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানাতে স্বাধীনতা সংগ্রাম নিয়ে আরও চলচ্চিত্র নির্মাণসহ সেগুলো সংরক্ষণেরও আহ্বান জানান তিনি। উ™ে^াধনপরবর্তী আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য সচিব মুর্তজা আহমেদ। অতিথি ছিলেন অভিনেতা আকবর হোসেন পাঠান (ফারুক), পেয়ারী বেগম, সঙ্গীতজ্ঞ আজাদ রহমান, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব মানজারে হাসীন মুরাদ প্রমুখ। এতে সভাপতিত্ব করেন ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন। রণজিৎ দাশকে নিবেদিত আডা ও কবিতা পাঠ ॥ পশ্চিমবঙ্গের কবি রণজিৎ ? দাশকে ঘিরে ঢাকায় একটি আড্ডা বসেছিল। মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরসি মজুমদার মিলনায়তনে ছিল সেই কবিতা পাঠ ও আড্ডা ‘সীমানাহীন কবিতার স্বতন্ত্র অপরাহ্ণ’। কবিতা পড়েন রণজিৎ দাশ, ফরিদ কবির, ফারুক ওয়াসিফ, কুমার চক্রবর্তী, শামীম রেজা, চৈতী আহমেদ, নওশাদ জামিল, হিজল যোবায়ের, রুদ্র হক প্রমুখ। আড্ডার সঞ্চালনা করেন কবি মাসুদুজ্জামান।
×