ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পরিবহন ভাড়া অর্ধেকে নামিয়ে আনার পরামর্শ

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ১৮ মে ২০১৬

পরিবহন ভাড়া অর্ধেকে নামিয়ে আনার পরামর্শ

রাজন ভট্টাচার্য ॥ আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে দেশে লিটারপ্রতি কেরোসিন ও ডিজেলের মূল্য ২৬ টাকা কমানো সম্ভব বলে মনে করেন জ্বালানি ও পরিবহন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, সরকার লিটারপ্রতি তেলে লাভ করছে ২৫ টাকার বেশি। এই হিসাবে লিটারে অন্তত ২০ টাকা কমানো হলেও পরিবহন ভাড়া অর্ধেকে নামিয়ে আনা সম্ভব। এতে যাত্রীরা উপকৃত হবেন। অর্থনীতিতে ফিরবে স্বস্তি। কমবে দ্রব্যমূল্য। পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। সাধারণ যাত্রীদের স্বার্থ বিবেচনা করে উন্নত দেশগুলোতে সরকার প্রয়োজনে ভর্তুকি দিয়ে গণপরিবহন পরিচালনায় সহযোগিতা করে থাকে। তাই আমাদের দেশে গণপরিবহনের যাত্রীদের স্বার্থ নিশ্চিত করতে হলে সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সুবিধা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এদিকে পরিবহন মালিক সমিতির চাপে ১৫ মে থেকে দূরপাল্লার বাসভাড়া কমাতে পারেনি সরকার। সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ২০ মে থেকে সারাদেশে নতুন করে নির্ধারিত বাসভাড়া কার্যকর হবে। তা নিশ্চিত করতে গঠন করা হয়েছে মনিটরিং টিম। এদিকে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বাসভাড়া প্রতি কিলোমিটারে তিন পয়সা কমানোর ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করেছে যাত্রী অধিকার আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন সংগঠন। এসব সংগঠনের নেতারা বলছেন, সরকারের কাছে ভুয়া তথ্য উপস্থাপন করে যৌক্তিক ভাড়া কামানোর বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন পরিবহন নেতারা। তিন পয়সা ভাড়া কামানোর বিরোধিতা করে পরিবহন মালিকরা তা পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানিয়েছেন সরকারের কাছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শামসুল হক জনকণ্ঠকে বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দেখা যায় যানজট নিরসন ও গণপরিবহনকে সরকার সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়। কারণ এতে সুবিধাভোগী মানুষের সংখ্যা বেশি। এরই ধারাবাহিকতায় গণপরিবহনের জন্য জ্বালানি খাতে সুবিধা দেয়া হয় সবচেয়ে বেশি। প্রয়োজনে গণপরিবহনের জ্বালানিতে সরকার ভর্তুকি দেয়। যেন কম ভাড়ায় যাত্রীরা চলাফেরা করতে পারেন। তিনি বলেন, আমাদের দেশের বাস্তবতা একটু ভিন্ন। কোন কাজ সবার জন্য করতে গেলে সুবিধা কম দেয়া ছাড়া বিকল্প থাকে না। সবার জন্য হওয়ায় তেলের দাম খুব বেশি কমাতে পারেনি সরকার। তবে সুযোগ থাকলে সর্বোচ্চ দাম কমানো উচিত বলে মনে করেন তিনি। জনস্বার্থের কথা বিবেচনায় নিয়ে গণপরিবহনকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়ার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার লাভের কথা চিন্তা না করে শুধু গণপরিবহনের জন্য তেলের মূল্য আরও কমাতে পারে। সামান্য তেলের মূল্য কমিয়ে মানুষকে যে সুবিধা দেয়ার চিন্তা করা হচ্ছে তা কতটুকু সফল হবেÑ এ নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। তিনি বলেন, যদি লক্ষ্যই হয় গণপরিবহনের যাত্রীদের সুবিধা নিশ্চিত করা, তাহলে বেশি কমিয়ে তা নিশ্চিত করতে হবে। এতে রাস্তায় যানজট কমবে। কমবে ভাড়া। পাবলিক পরিবহনে যদি কম ভাড়ায় আরামদায়ক ভ্রমণ করা যায় তাহলে প্রাইভেটকারসহ অন্যান্য পরিবহনে চলা যাত্রীরা বাসে উঠতে শুরু করবেন। বিআরটিএ সচিব শওকত আলী জনকণ্ঠকে বলেছেন, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে তেলের মূল্য নির্ধারণ করে জ্বালানি মন্ত্রণালয়। এক্ষেত্রে আমাদের করণীয় কিছু নেই। তেলের মূল্য যত কমবে এর সঙ্গে সমন্বয় করে ভাড়া কমানো হয়। ফের তেলের দাম কমলে ভাড়াও কমবে বলে জানান তিনি। জ্বালানি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সরকারের পক্ষ থেকে ডিজেলের করপূর্ব মূল্য ধরা হয়েছে ৫২ টাকা ১৮ পয়সা। এর সঙ্গে মূসক ধরা হয়েছে ৭ টাকা ৮৩ পয়সা। কর উত্তর মূল্য দেখানো হয়েছে ৬০ টাকা এক পয়সা। লিটারপ্রতি ডিজেল ও কেরোসিনে ৫ টাকা লাভে ৬৫ টাকায় গ্রাহক পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে জ্বালানি তেল। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কর উত্তর মূল্যসহ বিভিন্ন খাতে সরকার ব্যয় বেশি দেখিয়ে প্রতিলিটার ডিজেল ও কেরোসিনে সর্বোচ্চ ২৬ টাকা পর্যন্ত লাভ করছে। বিগত দিনের লোকসান পুষিয়ে নিতেই এ কৌশল অবলম্বন করছে বলে মনে করেন তারা। গত ২৫ এপ্রিল মধ্যরাত থেকে অকটেন ও পেট্রোলের দাম লিটারপ্রতি ১০ টাকা এবং কেরোসিন ও ডিজেলের দাম তিন টাকা কমিয়েছে সরকার। তেলের দামের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এর আগে বাসসহ অন্যান্য গণপরিবহনের ভাড়া বাড়ানো হয়েছিল। সে যুক্তি দেখিয়ে এবার ভাড়া কমানোরও দাবি ওঠে যাত্রী অধিকার আন্দোলনে যুক্তদের। জ্বালানি তেলের দাম কমার পর দূরপাল্লায় বাসভাড়া কমানোর বিষয়টি আলোচনায় আসে। বিভিন্ন মহলে দাবির প্রেক্ষিতে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও ঘোষণা দিয়েছিলেন, তেলের দাম কমার পর ভাড়া কমানো হবে। লিটারপ্রতি এক টাকা জ্বালানি তেলের দাম কমলে কিলোমিটারপ্রতি এক পয়সা ভাড়া কমানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন মন্ত্রী। শেষ পর্যন্ত কথা রাখেন তিনি। তেলের দাম কমার পর ব্যয় বিশ্লেষণ কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে ভাড়া নির্ধারণের প্রস্তাব তৈরি করতে বিআরটিএকে নির্দেশ দেয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) পরিবহন কর্তৃপক্ষসহ ব্যয় বিশ্লেষণ কমিটির সঙ্গে বৈঠক করে। বৈঠকে পবিরহন নেতারা প্রতি কিলোমিটারে দুই পয়সা ভাড়া কমানোর দাবি জানান। কিন্তু বিআরটিএর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তিন পয়সা কমানোর। এর যুক্তি হিসেবে বলা হচ্ছেÑ তেলের দাম যত বাড়ে প্রতি কিলোমিটারে এক পয়সা হারে ভাড়া বাড়ে। বৈঠক শেষে বিআরটিএর পক্ষ থেকে আন্তঃজেলায় প্রতি কিলোমিটারে তিন পয়সা ভাড়া কমানোর প্রস্তাব পাঠানো হয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ে। বৈঠকে মালিক সমিতির প্রস্তাবে বলা হয়, ঢাকা-সিলেটের দূরত্ব ২৫০ কিলোমিটার। ৪০ সিটের একটি গাড়ি একবার ঢাকা থেকে সিলেটে গেলে ৭৫ লিটার জ্বালানি তেল খরচ হয়। এ হিসেবে কিলোমিটারপ্রতি তিন পয়সা হারে প্রতি যাত্রীর ভাড়া কমে সাড়ে সাত টাকা। ৪০ সিটের কমে ৩০০ টাকা। লিটার প্রতি তিন টাকা হারে হ্রাসকৃত মূল্যে জ্বালানি তেলের দাম হয় ২২৫ টাকা। অর্থাত লোকসান হয় ৭৫ টাকা। এছাড়াও ঢাকা-রংপুর রুটে ৩০০ কিলোমিটার রাস্তায় মালিকদের লস হয় ৭৫ টাকা। ঢাকা চট্টগ্রামে লোকসান হয় ৫০ টাকা। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার বাসভাড়া কমানোর প্রজ্ঞাপন জারি করে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়। আগামী ১৫ মে থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহানগরী বাদে সারাদেশে ডিজেলচালিত পরিবহন ভাড়া কিলোমিটারপ্রতি ৩ পয়সা কমানোর ঘোষণা দেয়া হয়। এ হিসেবে প্রতি কিলোমিটারে এখন থেকে এক টাকা ৪৫ পয়সার স্থলে এক টাকা ৪২ পয়সা ভাড়া হবে। জানতে চাইলে নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে জনকণ্ঠকে বলেন, সরকার দূরপাল্লার বাসভাড়া প্রতি কিলোমিটারে ৩ পয়সা কমিয়ে সাধারণ জনগণের সঙ্গে তামাশা করেছে। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা হয়েও বিআরটিএ নিরপেক্ষতা ক্ষুণœ করে বাস-মালিকদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। আমরা মনে করি, কিলোমিটারপ্রতি ৩ পয়সার স্থলে অন্তত ৩০ পয়সা কমানো উচিত ছিল। এতে জনগণের পরিবহন ব্যয় বাড়লেও পকেট ভারি হবে বিত্তশালী মালিকদের। তিনি বলেন, সরকার তো আন্তর্জাতিক বাজারমূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ডিজেল, পেট্রোল ও অকটেনের মূল্য কমায়নি। ডিজেলের মূল্য প্রতি লিটারে ২০ টাকা কমালেও সরকার তথা বিপিসি প্রতি লিটারে ৫-৬ টাকা লাভ করতে পারত। এতে সড়ক ও নৌপথে পণ্য পরিবহন ব্যয় কমত। ফলে দ্রব্যমূল্যও হ্রাস পেত। কিন্তু সরকার সে পথে না হেঁটে উল্টো পথে হাঁটছে। ২০১২ সালের ১ জানুয়ারি তেলের দাম যখন লিটারে ৫ টাকা বেড়েছিল, তখন প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া বাড়ানো হয়েছিল পনের পয়সা । কিন্তু এখন তেলের দাম লিটারে ৩ টাকা কমেছে। আগের বৃদ্ধির সূত্র মানা হলে প্রতি কিলোমিটারে ৯ পয়সা হারে ভাড়া কমানোর কথা। কিন্তু বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) মাত্র ৩ পয়সা হারে ভাড়া কমানোর সুপারিশ করে। তাতেও আহাজারি শুরু করেন বাস মালিকরা। এতে নাকি মহাক্ষতির মুখে পড়বেন তারা। যাত্রী অধিকার আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন সংগঠনের গবেষণায় বলা হচ্ছেÑ জ্বালানির মূল্য কমানো হলেও পরিবহন মালিকরা ভাড়া না কমানোর জন্য নানা অজুহাত উপস্থাপন করছে। বিগত ২৬ বছরে ৪ দফা জ্বালানি তেলের মূল্য কমলেও দেশের পরিবহন খাতে ভাড়া কমেনি। গত ২৫ অক্টোবর ২০০৮ সালে ৫৫ টাকার ডিজেল ৭ টাকা কমে ৪৮ টাকা হলে পরিবহন ভাড়া যাত্রীপ্রতি কিলোমিটারে ৭ পয়সা কমানো হয়। গত ১২ জানুয়ারি ২০০৯ সালে ৪৮ টাকার ডিজেলের মূল্য কমে ৪৪ টাকা নির্ধারণ করায় যাত্রীপ্রতি বাসভাড়া প্রতি কিলোমিটারে চার পয়সা কমানো হয়। এরপর পরিবহন মালিকদের দাবির প্রেক্ষিতে পরিবহন সেক্টর শিল্প খাত ঘোষণা ও জ্বালানির মূল্য ৪৪ টাকা থেকে কমে ৪০ টাকা হলে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বাসভাড়া যাত্রীপ্রতি কিলোমিটারে ৫ পয়সা কমানোর ঘোষণা দেয়া হয়। প্রকৃতপক্ষে কোন বাস-মিনিবাসে কমানো ভাড়া কার্যকর করা যায়নি। লিটারপ্রতি ২০ টাকা তেলের দাম কমানোর দাবি ॥ ডিজেলের মূল্য প্রতি লিটারে আরও ২০ টাকা কমিয়ে হ্রাসকৃত জ্বালানি তেলের মূল্যের সঙ্গে সমন্বয় করে বাস, লঞ্চ ও রেলের ভাড়া অর্ধেকে নামিয়ে আনার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। সংগঠনের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়Ñ গতকাল সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় ঘোষিত বাসের ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে যাত্রীপ্রতি ৩ পয়সা কমানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছে সংগঠনটি। সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়, বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে ডিজেলের মূল্য প্রতি লিটারে আরও ২০ টাকা কমানো হলে দেশে গণপরিবহনে ভাড়া অর্ধেকে নামিয়ে আনা যাবে। পাশাপাশি কৃষি, ক্ষুদ্র শিল্পসহ দেশের নিম্নআয়ের লোকজনের অর্থনীতিতে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসবে। দ্রব্যমূল্য কমবে, অর্থনীতির গতিপ্রবাহ বৃদ্ধি পাবে। মানুষের জীবনে স্বস্তি আসবে। এতে মধ্য-আয়ের দেশে যাত্রা সুনিশ্চিত হবে। সংগঠনের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, সরকার জ্বালানি তেলের মূল্য মাত্র ৩ টাকা কমিয়ে বাসভাড়া প্রতি কিলোমিটারে মাত্র ৩ পয়সা কমানোর ঘোষণা দিলেও দেশের যাত্রী সাধারণ এতে কোন উপকৃত হবে না। তবে প্রতি ট্রিপে দূরপাল্লায় বাস মালিকেরা ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত জ্বালানি বাবদ লাভবান হবেন। কিন্তু কমানো ভাড়া কোন গণপরিবহনে বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না। এসব ক্ষেত্রে কোন সময় একমাত্র ডিজেলে চালিত লঞ্চ ও রেলের ভাড়া কমানো হয়নি। সরকার জনস্বার্থে জ্বালানির মূল্য কমালেও গুটিকয়েক পরিবহন মালিক এ সুবিধা ভোগ করছে, দেশে যাত্রী সাধারণসহ সকল ক্ষেত্রে আপামর জনগণ এর সুফল থেকে বারবার বঞ্চিত হয়েছে বলে বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়। এমতাবস্থায় অনতিবিলম্বে ডিজেলের মূল্য আরও ২০ টাকা কমিয়ে বাস, লঞ্চ ও ট্রেনের ভাড়া অর্ধেকে নামিয়ে আনার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানানো হয়। এদিকে জ্বালানি তেলের দাম কমার প্রেক্ষিতে দূরপাল্লার বাসভাড়া কিলোমিটারপ্রতি ৩ পয়সা কমানোর ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ এক বিবৃতিতে বলেছেন, যে ‘নামমাত্র’ হারে বাসভাড়া কমানোর প্রস্তাব বিআরটিএ করেছে, তা হাস্যকর, অগ্রহণযোগ্য এবং বাস্তবায়ন অযোগ্য। এটা জনগণের সঙ্গে নির্মম তামাশা ছাড়া আর কিছুই নয়।
×