ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাকা মেডিক্যালের বার্ন ইউনিট ও জবিতে অগ্নিকাণ্ড

প্রকাশিত: ০৫:৫০, ১৮ মে ২০১৬

ঢাকা মেডিক্যালের বার্ন ইউনিট ও জবিতে অগ্নিকাণ্ড

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা মেডিক্যালের বার্ন ইউনিটে অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটেছে। ফায়ার সার্ভিসের দমকল কর্মীরা এ দুটি স্থানে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। ফায়ার সার্ভিসের সূত্র জানায়, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে এ দুটি স্থানে আগুন লাগে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। স্থানীয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) নতুন একাডেমিক ভবনে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। সাত তলা ওই ভবনের সাত তলায় প্রথম আগুন লাগে। পরে তার ষষ্ঠ ও পঞ্চম তলায় তা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা টানা ৪০ মিনিট চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানান, ওই নতুন ভবনটির সাত তলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় সদরঘাটের ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট ৪০ মিনিট চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক মোঃ সালেহ জানান, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে সেখানে আগুন লেগে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সকাল সোয়া ৮টার দিকে সাত তলা ভবনে আগুন লেগে তা ষষ্ঠ ও পঞ্চম তলায় তা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে সদরঘাট ও গুলিস্তান থেকে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় ৪০ মিনিট পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নূর মোহাম্মদ বলেন, সাত তলার ডিন অফিস থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। তবে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ার আগেই নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। ক্ষয়ক্ষতি তেমন হয়নি। বার্ন ইউনিটে আগুন ॥ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের তৃতীয় তলায় এক চিকিৎসকের তালাবদ্ধ কক্ষে অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটে। পরে আতঙ্কে তৃতীয় তলার রোগীরা ছোটাছুটি শুরু করেন। এ সময় ইয়াসমীন (৩৫) নামে এক নারী অজ্ঞান হয়ে পড়েন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র অফিসার ইব্রাহিম জানান, মঙ্গরবার দুপুর মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে বার্ন ইউনিটের ৩১৭ নম্বর কক্ষে আগুন লাগে। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালানো হয়। ২০ মিনিট চেষ্টা চালিয়ে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। ইলেক্ট্রিশিয়ান মোঃ জীবন জানান, রুম বন্ধ থাকা সত্ত্বেও এসি চালু ছিল। রুম বন্ধের সঙ্গে সঙ্গে এসিও বন্ধ করে দিলে হয়ত এত ধোঁয়ার সৃষ্টি হতো না। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের রোগী মনির হোসেন জানান, ইলেক্ট্রিকের শক থেকে আমার দু’হাত পুড়ে গেছে। এজন্য আমি আজই (মঙ্গলবার) বার্ন ইউনিটে ভর্তি হয়েছি। এখানেও আগুনের হাত হতে নিস্তার নেই। বার্ন ইউনিটের আবাসিক সার্জন পার্থ শংকর পাল জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এসির শর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মেডিক্যাল সূত্রে জানা যায়, বার্ন ইউনিটের তিন তলার ওই রুমটি ডাক্তারদের চেম্বার ছিল। তবে অগ্নিকাণ্ডের সময় ওই কক্ষে কোন চিকিৎসক না থাকায় হতাহতের কোন ঘটনা ঘটেনি।
×