ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

খুলনায় দুই বিস্মৃত বধ্যভূমির ফলক উন্মোচন

প্রকাশিত: ০৬:৩৫, ১৭ মে ২০১৬

খুলনায় দুই বিস্মৃত বধ্যভূমির ফলক উন্মোচন

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস ॥ মহান মুক্তিযুদ্ধকালে সারাদেশে অসংখ্য গণহত্যার ঘটনা রয়েছে। অনেকেই সে সম্পর্কে জানেন না। সে সব ঘটনা বর্তমান প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার জন্য ইতিহাসের এই কলঙ্কজনক স্থান চিহ্নিত করে স্মৃতিফলক স্থাপনের কাজ করে চলেছে ‘১৯৭১ : গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর ট্রাস্ট।’ এরই অংশ হিসেবে সোমবার বিকেলে খুলনার পৃথক দুটি স্থানে বিস্মৃত ২টি গণহত্যার কাহিনী সংবলিত স্মৃতিফলক উন্মোচন করা হয়। বিকেল চারটায় খুলনা মহানগরীর হ্যানে রেলওয়ে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে স্মৃতিফলক উন্মোচন করেন জাদুঘর ট্রাস্টের সভাপতি বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ প্রফেসর ড. মুনতাসীর মামুন। সন্ধ্যায় ফুলতলা উপজেলাধীন জামিরা বাজারের চারাবাটি ঘাট এলাকার বধ্যভূমিতে স্মৃতিফলক উন্মোচন করেন ট্রাস্টি সহ-সভাপতি বরেণ্য চিত্রশিল্পী হাশেম খান। স্মৃতিফলক উন্মোচন উপলক্ষে হ্যানে রেলওয়ে মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কেসিসি’র স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর শামসুজ্জামান মিয়া স্বপন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ‘১৯৭১ : গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর ট্রাস্ট’-এর সভাপতি প্রফেসর ড. মুনতাসীর মামুন বলেন, একাত্তরের নির্মমতা ভোলার নয়। মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীরা আমাদের দেশটিকে আবারও পাকিস্তানী কায়দায় পরিচালনা করার জন্য নানা ধরনের ষড়যন্ত্র চক্রান্ত করেছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার শীর্ষস্থানীয় মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীদের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বিচার ও সাজা দেয়ার ঘটনায় তারা এখন দেশটিকে জঙ্গী রাষ্ট্রে পরিণত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। এই অপশক্তির বিরুদ্ধে আমাদের সবসময় সতর্ক থাকতে হবে। ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এ কারণে বধ্যভূমি-গণহত্যাস্থলগুলো চিহ্নিত করা হচ্ছে। তিনি স্মৃতিফলক সংরক্ষণের জন্য স্থানীয় জনগণের প্রতি আহ্বান জানান। ফুলতলার জামিরা বাজারের চারাবাটিতে স্মৃতিফলক উন্মোচন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফুলতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাবুদ্দিন জিপ্পী।
×