ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

টঙ্গীতে দুই যুবককে কুপিয়ে হত্যা

প্রকাশিত: ০৫:৫০, ১৬ মে ২০১৬

টঙ্গীতে দুই যুবককে কুপিয়ে হত্যা

নিজস্ব সংবাদদাতা, টঙ্গী, ১৫ মে ॥ টঙ্গীতে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে দুই যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে একদল দুর্বৃত্ত। নিহতরা হল টঙ্গী এরশাদনগর পুনর্বাসন এলাকার আলা মিয়ার ছেলে শরিফ (৩৫) ও হারুন মিয়ার ছেলে জুম্মন (২৫)। পুলিশ রবিবার সকালে চানকিরটেক বিল এলাকা থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে। নিহত জুম্মনের স্ত্রী সোহাগী জানান, জুম্মন বেশিরভাগ সময় শরিফের সঙ্গে চলাফেরা করত। সে শনিবার রাত ১১টায় বাসা থেকে বেরিয়ে যায়। এরপর সর্বশেষ রাত ১২টায় মোবাইল ফোনে জুম্মনের সঙ্গে তার কথা হয়। জুম্মন তখন শরিফের বাসায় আছে বলে তাকে জানায়। শরিফের মেয়ে সুইটি জানায়, শনিবার রাত একটার দিকে হাসান নামের এক যুবক শরিফকে বাসা থেকে ডেকে নেয়। তখন শরিফের সঙ্গে জুম্মনও যায়। এরপর রাতে তারা আর বাসায় ফেরেনি। সকালে পাশের চানকিরটেক বিলের প্রায় একশ’ গজ দূরত্বের ব্যবধানে শরিফ ও জুম্মনের লাশ দেখে স্থানীয়রা থানায় খবর দেয়। শরিফের ঘাড় ও পিঠে ধারালো অস্ত্রের উপর্যুপরি কোপের জখম রয়েছে। ঘাড় থেকে মাথা প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে। নিহত জুম্মনের আঘাতের ধরনও প্রায় একই। তবে জুম্মনের শুধু মাথা ও ঘাড়ে উপর্যুপুরি কোপের আঘাত রয়েছে। তার লাশ একটি বাড়ির গেটের সামনে আংশিক কাত হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। নিহত শরিফের মামা এরশাদনগর ৪৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি আব্দুল জলিল জানান, শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের টঙ্গীর ৪৯ নম্বর ওয়ার্ড শাখার সভাপতি ছিলেন শরিফ হোসেন। শরিফের বাড়িতে তিনটি সিসি ক্যামেরা রয়েছে। কারা তাকে ডেকে নিয়েছে ওই সিসি ক্যামেরার ছবি দেখলেই বলা যাবে। কারা কি কারণে তাকে হত্যা করতে পারে এ বিষয়ে তিনি এখন জানলেও বলবেন না বলে জানান। তবে তার ধারণা, শরিফের হত্যাকারীদের চিনে ফেলায় জুম্মনকেও হত্যা করা হয়েছে। এদিকে টঙ্গী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফিরোজ তালুকদার জানান, তাদের কি কারণে হত্যা করা হয়েছে সেটা তদন্ত চলছে।
×