ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

জিয়া ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা

খালেদা জিয়ার আবেদন হাইকোর্টেও খারিজ

প্রকাশিত: ০৫:৫০, ১৬ মে ২০১৬

 খালেদা জিয়ার আবেদন হাইকোর্টেও খারিজ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বিচারকাজ স্থগিত এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তার সিডি তলব ও তাকে জেরা করার সুযোগ প্রদানের নির্দেশনা চেয়ে আসামি বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার করা দুটি আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। রবিবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। হাইকোর্টে খারিজের ফলে বিচারিক আদালতে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা চলতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন এ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। এদিকে এ আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রীমকোর্টে আপীল করবেন খালেদা জিয়া। বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন আইনজীবী রাগিব রউফ চৌধুরী। জানতে চাইলে এই আইনজীবী বলেন, আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে আমরা আপীল করব। তবে কবে নাগাদ আপীল করবেন সে বিষয়টি স্পষ্ট করেননি এই আইনজীবী। এর আগে ১০ মে আদালতের শুনানিতে বিএনপির চেয়ারপার্সনের পক্ষে ছিলেন এজে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন, রাগিফ রউফ চৌধুরী ও এহসানুর রহমান প্রমুখ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত এ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান। গত মঙ্গলবার আসামি ও রাষ্ট্র উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদেশের জন্য ১৫ মে দিন নির্ধারণ করে আদেশ দেন আদালত। এর আগে গত ১৭ এপ্রিল ওই দুটি আবেদন খারিজ করেন বিচারিক আদালত। পরদিন হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার কার্যক্রমের বিষয়ে করা দুটি আবেদন খারিজের রিভিশন এবং মামলার কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে আবেদন করেন বলে জানান ব্যারিস্টার রাগিফ রউফ চৌধুরী। এ মামলার কার্যক্রম ঢাকার বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে স্থাপিত অস্থায়ী বিশেষ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদারের আদালতে চলছে। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট পাঁচজনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় এ মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। খালেদা জিয়া ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন তার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএর নৌনিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
×