ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

গরিবের ঘরে চাঁদের আলো

প্রকাশিত: ০৩:৫১, ১৬ মে ২০১৬

গরিবের ঘরে চাঁদের আলো

নিজস্ব সংবাদদাতা, মাদারীপুর, ১৫ মে ॥ দুই অদম্য মেধাবী ছাত্রী বিথী সূত্রধর ও নুপুর মালো। এরা দু’জনই এবার বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে। বিথীর বাবা একজন কাঠমিস্ত্রি আর নুপুরের বাবা জেলে। দুই পরিবারই দারিদ্র্যের কশাঘাতে জর্জরিত। এদের ভাল করে সংসারও চলে না। নুপুর মালো শিবচর পৌর এলাকার ৭নং ওয়ার্ডের নলগোড়া গ্রামের শংকর মালোর মেয়ে নুপুর মালো এ বছর খানকান্দি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পায়। তার বাবা একজন জেলে আর মা যমুনা রানী মালো গৃহিণী। বড় বোন সেতু মালো স্থানীয় সরকারী বরহামগঞ্জ কলেজে বিএ পড়েন। তার বাবার সামান্য আয়। দুইজনের পড়ালেখার খরচ বহন করা তার পক্ষে খুবই কষ্ট। এ বছর আবার নুপুর মালোর কলেজে ভর্তির টাকা সংগ্রহ করা খুবই কষ্টকর। দারিদ্র্যকে জয় করে অদম্য এই মেধাবী জিপিএ-৫ পেয়ে নুপুর মালো মা-বাবার মুখ উজ্জ্বল করেছে ঠিকই; কিন্তু পরীক্ষায় ভাল করেও উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়া নিয়ে পরিবারের মাঝে দেখা দিয়েছে শঙ্কা। বিথী সূত্রধর শিবচর পৌর এলাকার ৮নং ওয়ার্ডের নলগোড়ার গকুল সূত্রধরের মেয়ে বিথী সূত্রধর। তার বাবা পেশায় একজন কাঠমিস্ত্রি। মা পলি রানী সূত্রধর গৃহিণী। কাঠমিস্ত্রির স্বল্প আয়ে সংসার চালানোই কষ্ট। প্রতিদিনের সামান্য আয়ে তার সংসারই চলে না। মেয়ের ভাল ফলাফলে খুশি বাবা-মা। খুশি হলেও বিথীর উচ্চশিক্ষার ভবিষ্যত নিয়ে দুশ্চিন্তায় পরিবার। খানকান্দি সৈয়দ আশরাফ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইদ্রিস আলী ফকির বলেন, ‘বিথী সূত্রধর ও নুপুর মালো দুইজনই অত্যন্ত মেধাবী। তারা অসচ্ছল পরিবারের মেয়ে। তাদের লেখাপড়ার জন্য আমার বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষিকারা বেশ সাহায্য করেছেন। কিন্তু এখন তাদের উচ্চশিক্ষার পথে লেখাপড়া চালিয়ে যেতে হলে আরও সাহায্য প্রয়োজন। দিলরুবা নিজস্ব সংবাদদাতা গফরগাঁও থেকে জানান, অভাব যেন নিত্যসঙ্গী। কিছুতেই পিছু ছাড়ছিল না। তবুও দমে যায়নি দিলরুবা। অন্যের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রাইভেট পড়িয়ে মেধার জয় করেছে সে। মেধার কাছে হার মেনেছে দরিদ্র। ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষায় গফরগাঁও উপজেলার রুস্তম আলী গোলন্দাজ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মানবিক বিভাগে জিপিএ-৫ (গোল্ডেন) পেয়েছে দিলরুবা বেগম। তার পিতা বারবাড়িয়া গ্রামের দরিদ্র কৃষক আবুল হাসেম, মা জুলেখা খাতুন। দিলরুবা বেগম জানান, কখনও খেয়ে, কখনও না খেয়ে লেখাপড়া চালিয়েছি। অন্যের বাড়িতে প্রাইভেট পড়িয়ে লেখাপড়ার খরচ চালিয়েছি। তার ইচ্ছা দেশের সেরা কোন কলেজে ভর্তি হওয়া। নর্দান ভার্সিটিতে সেমিনার শনিবার নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ও ইউনিভার্সিটি অব স্কটল্যান্ডের যৌথ উদ্যোগে ‘বিদেশে উচ্চশিক্ষা ও ভবিষ্যত ক্যারিয়ার’ বিষয়ক সেমিনারের আয়োজন করা হয়। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউনিভার্সিটি অব স্কটল্যান্ডের হেড অব ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট রিকুটমেন্ট ফারহান রোহিলা। পরিচালনা করেন নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের পরিচালক ওভারসিজ জিল্লুর রহমান। Ñবিজ্ঞপ্তি
×