ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

‘যাদবপুরের ইন্টারনাল সেন্সরশিপের দাবি মেনে নেওয়া যায় না’

প্রকাশিত: ১৯:৩৬, ১৫ মে ২০১৬

‘যাদবপুরের ইন্টারনাল সেন্সরশিপের দাবি মেনে নেওয়া যায় না’

অনলাইন ডেস্ক ॥ বুদ্ধ ইন আ ট্রাফিক জ্যাম। এই ছবির স্ক্রিনিং ঘিরেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। কেন ইন্টারনাল সেন্সরশিপের দাবি তুলেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ? ছবির বিষয়বস্তুই বা কী? সব কিছু নিয়ে মুখ খুললেন ছবির পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী। প্রশ্ন: বুদ্ধ ইন আ ট্রাফিক জ্যাম-এর গল্পটা ঠিক কী? উত্তর: আজকের দিনে ছাত্রজীবনে রাজনীতিই এই ছবির গল্প। আমার মনে হয় এটা একটা পরিকল্পিত সন্ত্রাস। যা সমাজের জন্য খুবই ভয়াবহ। প্রশ্ন: এর মধ্যেই তো বিভিন্ন ক্যাম্পাসে ছবির প্রদর্শন হয়েছে… উত্তর: কারণ পড়ুয়ারাই এই ছবির আসল দর্শক। ওরাই আমাদের আমন্ত্রণ জানায়। বিভিন্ন ক্যাম্পাসে গিয়ে আমরা ছবিটা দেখাই। কোনও স্ট্র্যাটেজি নিয়ে এটা করা হয়নি। প্রশ্ন: দিল্লিতে কোনও সমস্যা হয়নি। কিন্তু যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তো ছবিটা প্রবল বিতর্কের মুখে পড়েছিল। ইন্টারনাল সেন্সরশিপের বিষয়ে প্রায় দাঙ্গা বেধে গিয়েছিল। উত্তর: হ্যাঁ। ওরা ছবিটা সেন্সর করতে চেয়েছিল। যেটা মেনে নেওয়া যায় না। এর পর শেষ মুহূর্তে অডিটোরিয়ামের বুকিংটাই বাতিল করে দেয়। তার পর পড়ুয়ারাই সিদ্ধান্ত নেয় ছবিটা খোলা মাঠেই দেখানো হবে। প্রশ্ন: এই ছবিতে তো অনেক দিন পর আপনার স্ত্রী অভিনয় করলেন, গানও গেয়েছেন… উত্তর: হ্যাঁ। পল্লবী খুবই ট্যালেন্টেড। যখন ঠিক করলাম ছবিতে ফৈজ আহমেদ ফৈজের কবিতা রাখব, তখনই মনে হল পল্লবীকে দিয়ে গাওয়াতে হবে। শুধু হারমোনিয়ামের সঙ্গে গেয়েছে পল্লবী। প্রশ্ন: তবে খুব বেশি প্রেক্ষাগৃহে তো ছবিটা মুক্তি পায়নি? উত্তর: সেটা একটা সমস্যা। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে বেশি সংখ্যক স্ক্রিনে রিলিজ করা সত্যিই একটা খুব বড় ব্যাপার। প্রশ্ন: আইএসবি হায়দরাবাদের সঙ্গে ছবির যোগ কোথায়? উত্তর: আইএসবি হায়দরাবাদের একদল পড়ুয়া একটা তথ্যচিত্র বানাতে চাইছে। সেখান থেকেই ছবিটা শুরু হয়েছে। এখান থেকেই রাজনীতিটা এসেছে। প্রশ্ন: ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন অনুপম খের। ওঁকে নিয়ে যে বিতর্ক তা কি ছবির ওপর কোনও প্রভাব ফেলেছে? উত্তর: অবশ্যই। ছবিটা একটা আলাদা মোমেন্টাম পেয়ে গেছে। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
×