ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

মো. শাহজাহান

দেশীয় শিল্প এবং আগামীর বাজেট ঋাবনা

প্রকাশিত: ০৬:৪৬, ১৫ মে ২০১৬

দেশীয় শিল্প এবং আগামীর বাজেট ঋাবনা

সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্ব অর্থনীতি ক্রমশ অস্থির হয়ে পড়েছে। আর আঁচ কিছুটা হলেও এদেশের অর্থনীতিতে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। এই অস্থিরতা যেন সাধারণ মানুষ আর বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থার সঙ্কট তৈরি না করে। কারণ যদি তা হয়, তাহলে বাংলাদেশের অর্থনীতি ঝুঁকির মধ্যে পড়বে। তবে এতে এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আগামী ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরের বাজেটে দেশীয় শিল্প স্বার্থরক্ষার ওপর জোর দেয়া হবে। একইসঙ্গে কর রেয়াতের সুবিধা প্রত্যাহার করা হতে পারে। তবে সরকারী বিনিয়োগের পাশাপাশি বেসরকারী বিনিয়োগ বাড়ানোর ওপর বিশেষ নজর দেয়া হবে।অর্থমন্ত্রীার মতে, আমাদের অর্থনীতি বড় হচ্ছে। প্রতি অর্থবছরই বাজেটের আকার বাড়ছে। আগামী ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরের বাজেট ৩ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা থেকে ৩ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা হতে পারে। তবে বর্তমান সরকারের চলতি মেয়াদের শেষ বাজেট ৫ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে। আগামী বাজেটে জ্বালানি ও বিদ্যুত, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ও অবকাঠামো খাতকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। আমাদের বাজেট বড় হচ্ছে এর সঙ্গে বাজেট বাস্তবায়নের হার বাড়াতে মন্ত্রণালয়গুলোর সক্ষমতা বাড়াতে হবে। বর্তমানে বাজেট বাস্তবায়নের হার নিয়ে অনেক প্রশ্ন রয়েছে। এসব প্রশ্ন দূর করে কিভাবে বাস্তবায়ন বাড়ানো যায় সেদিকে নজর দিতে হবে। শীঘ্রই জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করা হবে। মুদ্রা বিনিময় হার কাক্সিক্ষত পর্যায়ে রাখা হবে। দেশে এখন রাজনৈতিক ও সামাজিক অবস্থা নিয়ন্ত্রণে মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। এটা যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে না যেতে পারে সেদিকেও নজর রাখা হবে।‘ তবে আমাদের শুল্ক আদায়ের হার অন্যান্য দেশের তুলনায় কম। এটাকে বাড়াতে হবে। শুল্ককর পরিশোধে যাতে সাধারণ মানুষ উৎসাহী হয় সেদিকে সংশ্লিষ্টদের নজর দিতে হবে। সরকারের মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর মধ্যে জ্বালানি খাতে ভ্যাট-ট্যাক্স পরিশোধে সবচেয়ে বেশি অনীহা দেখা যায়। আগামী অর্থবছরে এ প্রবণতা দূর করতে হবে। সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভ্যাট-ট্যাক্স সময়মতো পরিশোধ করতে হবে। স্বাস্থ্য খাতে অনেক উন্নতি হয়েছে। যা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। আমাদের প্রায় ১৩ হাজার ৩০০টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। এসব ক্লিনিক দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষদের স্বাস্থ্য সেবায় বিশেষ ভূমিকা রাখছে। আর এমডিজি অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। কমিউনিটি ক্লিনিকের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। রাজনীতিবিদদের অর্থনীতির মূলনীতি ঠিক রাখতে হবে। আর সাধারণ মানুষ ও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থার সঙ্কট যাতে তৈরি না হয়, খেয়াল রাখতে হবে সেদিকে। ভবিষ্যত অর্থনৈতিক পরিকল্পণায় ভর্তুকির ব্যাপারে স্পষ্ট এবং যথাযথ পরিকল্পনা থাকতে হবে। আর অপ্রয়োজনীয় ভর্তুকি কমাতে হবে। আন্তর্জাতিক অর্থনীতির ওপর এখন দেশীয় অর্থনীতি অনেকটা নির্ভর করে। তাই অর্থনৈতিক পরিকল্পনায় আন্তর্জাতিক অর্থনীতির গতি প্রকৃতি মাথায় রাখতে হবে। বাংলাদেশ এখনও উচ্চপ্রবৃদ্ধির দেশ। এই ধারাকে ধরে রাখতে সবাইকে সবচেয়ে বেশি দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে।
×