ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রোমে সেরেনার মধুর প্রতিশোধ

প্রকাশিত: ০৬:৩৯, ১৫ মে ২০১৬

রোমে সেরেনার মধুর প্রতিশোধ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ মিয়ামি ওপেনের শেষ ষোলোতে সেরেনা উইলিয়ামসকে পরাজয়ের স্বাদ উপহার দিয়েছিলেন সভেতলনা কুজনেতসোভা। অবশেষে সেই হারের মধুর প্রতিশোধটাও নিয়েছেন আমেরিকান তারকা। শুক্রবার রোম ওপেনের কোয়ার্টার ফাইনালে বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ তারকা সেরেনা উইলিয়ামস ৬-২ এবং ৬-০ সেটে রীতিমতো উড়িয়েই দেন রাশিয়ার কুজনেতসোভাকে। টুর্নামেন্টের নবম বাছাই কুজনেতসোভাকে হারাতে এদিন সেরেনার সময় লাগে মাত্র ৫১ মিনিট। ২১টি গ্র্যান্ডসøাম জয়ের মালিক সেমিফাইনালে রোমানিয়ার ইরিনা ক্যামেলিয়া বেগুর মুখোমুখি হন। শেষ আটে ইরিনা বেগু ৬-২ এবং ৭-৬ সেটে হারান জাপানের মিসাকি ডোইকে। এছাড়াও রোম ওপেনের কোয়ার্টার ফাইনালের বাধা পেরিয়েছেন স্পেনের গারবিন মুগুরুজা এবং আমেরিকার মেডিসন কেইস। সেমিফাইনালে উঠার জন্য শনিবারই একে অন্যের মুখোমুখি হন কেইস-মুগুরুজা। এদিকে টানা দ্বিতীয় মাস্টার্স ফাইনালের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেছেন বৃটিশ ও সার্বিয়ান তারকা এ্যান্ডি মারে ও নোভাক জোকোভিচ। শুক্রবার রোম ওপেনের কোয়ার্টার ফাইনালে সহজইে উতরে গেছেন শীর্ষ সারির এই দুই তারকা। গত সপ্তাহেই মাদ্রিদ মাস্টার্সের ফাইনালে জোকোভিচের কাছে শিরোপা হারানো মারে বেলজিয়ামের ডেভিড গোফিনকে ৬-১, ৭-৫ সেটে পরাজিত করে শেষ চারের টিকেট নিশ্চিত করেছেন। অন্যদিকে বিশ্বের এক নাম্বার তারকা জোকোভিচ স্পেনের পঞ্চম বাছাই রাফায়েল নাদালকে ৭-৫, ৭-৬ (৭/৪) সেটের কঠিন লড়াইয়ে পরাজিত করে রোম ওপেনের অষ্টম শিরোপার কাছাকাছি চলে এসেছেন। ২০১১ সালের পর এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো শেষ চারে পৌঁছান এ্যান্ডি মারে। সেমিফাইনালে তার প্রতিপক্ষ ফরাসী খেলোয়াড় লুকাস পৌলি। অন্যদিকে শেষ চারে জোকোভিচের প্রতিপক্ষ জাপানিজ শীর্ষ বাছাই কেই নিশিকোরি। বিশ্বের ষষ্ঠ বাছাই এই জাপানিজ কোয়ার্টার ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার ডোমিনিক থিয়ামকে সরাসরি সেটে পরাজিত করে সেমিফাইনালে জায়গা করে নেন। গত মাসে মন্টে কার্লো মাস্টার্সের সেমিফাইনালে মারে নাদালের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন। গত সপ্তাহে জোকোভিচের কাছেও ফাইনালে পরাজিত হয়েছেন। কিন্তু ক্লে কোর্টে নিজের উন্নতি নিয়ে দারুণ সন্তুষ্ট মারে। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এই ধরনের সার্ফেসের সাথে মানিয়ে নেবার জন্য আমি অনেক কষ্ট করেছি যার পুরস্কার এখন পাচ্ছি। গত দুই বছর এই ধরনের কোর্টে ভাল করার কোন আশাই আমার ছিল না। কিন্তু এখন সেই পরিস্থিতির ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে।’ শীর্ষ সারির খেলোয়াড়দের মধ্যে নাদাল ও জোকোভিচ ইতালির রাজধানীতে গত ১১টি শিরোপা ভাগাভাগি করে নিয়েছেন। ২০০৫ সালে নাদাল প্রথমবারের মতো এই টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হন। কিন্তু এবার শিরোপা জয়ের ক্ষেত্রে জোকোভিচকেই এগিয়ে রাখছেন সংশ্লিষ্টরা। কেননা এই মুহূর্তে দুর্দান্ত পারফর্মেন্স উপহার দিচ্ছেন তিনি। নিজের অসাধারণ ফর্ম ধরে রেখে ক্লে কোর্টের সম্রাট খ্যাত নাদালকে একের পর এক ম্যাচে কাবু করছেন। এই নিয়ে টানা সাত ম্যাচে জোকোভিচের কাছে হার মানলেন নাদাল।
×