ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

পরাজিত প্রার্থীর হামলায় নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যানের পুত্র মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে

প্রকাশিত: ০৬:১৭, ১৫ মে ২০১৬

পরাজিত প্রার্থীর হামলায় নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যানের পুত্র মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পরাজিত প্রার্থীর হামলায় আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানের পুত্র সোহাগ রাজধানীর এ্যাপোলো হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে। নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার চরসুবুদ্দি ইউনিয়ন পরিষদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচনে পরাজিত হয়ে তা-ব চালায়। ওই হামলায় সোহাগ ছাড়াও আহত হয়েছেন আরও অনেকে। হামলাকারীরা নির্বাচিত চেয়ারম্যানের বাড়িসহ আশপাশের বাড়িতে ব্যাপক লুটপাট চালিয়েছে। ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে অনেক বাড়িঘর। অনেককে বাড়িঘর ছেড়ে চলে যেতে হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় দুটি পৃথক মামলা হয়েছে। পুলিশ অবশ্য হামলাকারী আবদুল মোমেনকে গ্রেফতার করেছে। গত ৭ মে ইউনিয়নটিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে জয়ী হন হাজী নাসির উদ্দিন। আর বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন আব্দুল মোমেন। বিদ্রোহী প্রার্থী আগেও ওই এলাকার আব্দুল্লাহপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে উত্তেজনার বশবর্তী হয়ে গুলি চালানোসহ নানা কর্মকা-ের কারণে ব্যাপক সমালোচিত হন। যার কারণে নির্বাচন তার ভরাডুবি হয়। নির্বাচনে হারার পর তিনি অগ্নিমূর্তি ধারণ করেন। পুরোপুরি এলাকায় সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করার চেষ্টা করেন। তারই ধারাবাহিকতায় গত শুক্রবার মোমেন মিয়ার নেতৃত্বে অন্তত ৩০ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দিনদুপুরে নির্বাচিত চেয়ারম্যানের বাড়িসহ আশপাশের বাড়িতে হামলা চালায়। চেয়ারম্যানের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করে। হামলায় বাধা দিতে গেলে চেয়ারম্যানের ছেলে সোহাগকে মারাত্মক মারধর করে। মারধরের এক পর্যায়ে সোহাগ অজ্ঞান হয়ে পড়েন। এরপর হামলাকারীরা বাড়িতে ব্যাপক লুটপাট চালিয়ে পালিয়ে যায়। দ্রুত সোহাগকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। রাতেই সোহাগকে এ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার মাথায় আঘাত লেগেছে। তিনি এখন হাসপাতালের আইসিওতে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। এ ব্যাপারে নরসিংদীর রায়পুরা থানায় পৃথক দুইটি মামলা হয়েছে। এদিকে ঘটনার পর পরই পুলিশ মোমেন মিয়াকে গ্রেফতার করে। আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠিয়েছে। সাভারে নারী শ্রমিকসহ ৪ জনের লাশ উদ্ধার নিজস্ব সংবাদদাতা, সাভার, ১৪ মে ॥ সাভারে এক নারী শ্রমিকসহ ৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতরা হলো- নীলফামারী জেলার জিয়াউর রহমানের দু’পুত্র জীবন (১৯) ও নাছির (১৬) ও আতিয়ার হোসেন ছেলে শাহাদাত (১৪)। এদের মধ্যে দু’ভাই হেমায়েতপুর এলাকায় একটি সিএনজি অটোর দোকানে ও শাহাদাত স্থানীয় একটি খাবারের দোকানে কাজ করত। নিহত নারী শ্রমিকের নাম সুমি আক্তার (২২)। সে স্থানীয় ‘আল-মুসলিম’ নামের একটি পোশাক কারখানায় কর্মরত ছিল। শনিবার দুপুরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভার মডেল থানাধীন হেমায়েতপুরের ‘প্রান্ত ডেইরি ফার্ম’ নামের একটি দুগ্ধ খামারের পভতরে একটি কক্ষ থেকে তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। সুমির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় নিজ কক্ষের ভেতর থেকে।
×