ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ওয়াশিংটনে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক

অর্থ পাচার রোধ ও উদ্ধারে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র যৌথভাবে কাজ করবে

প্রকাশিত: ০৬:১৬, ১৫ মে ২০১৬

অর্থ পাচার রোধ ও উদ্ধারে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র যৌথভাবে কাজ করবে

এনা, নিউইয়র্ক থেকে ॥ বাংলাদেশে এখন সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা হচ্ছে অর্থ পাচারের ঘটনা। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পাচার করা হয়েছে ৮১ মিলিয়ন ডলার। এছাড়াও বিভিন্ন ব্যাংক ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে বাংলাদেশের অর্থ বিদেশে পাচার হয়েছে এবং হচ্ছে। তবে এর মধ্যে আলেচিত পাচার হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে রিজার্ভের অর্থ পাচার। বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচারের ঘটনা সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশ থেকে এভাবে অর্থ পাচার হোক তা সরকার চায় না। আবার সরকারের মিত্র দেশগুলোও চায় না। তাই বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচার কীভাবে বন্ধ করা যায় এবং দোষীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেয়া যায় তা নিয়ে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যৌথ মতবিনিময় সভা শুরু হয়েছে। ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত এ যৌথ সভায় অংশ নেয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি প্রতিনিধি দল ওয়াশিংটন এসেছেন। প্রতিনিধি দলের সদস্যরা হচ্ছেন কাস্টমস ইন্টিলিজেন্টস কমিশনের ডিরেক্টর জেনারেল ড. মঈনুল খান, দুদকের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর নওশেদ আহমেদ চৌধুরী, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের যুগ্ম পরিচালক ড. নূরুল আমিন ও মাদক অধিফতরের উপ-পরিচালক আহসানুল কবির। প্রতিনিধি দলের সদস্য কাস্টমস ইন্টিলিজেন্স কমিশনের ডিরেক্টর জেনারেল ড. মঈনুল খান এনাকে জানান, আমাদের বৈঠক শুরু হয়েছে। এই বৈঠক ওয়াশিংটনে ৮ থেকে ১৪ মে পর্যন্ত। ইতিমধ্যেই তারা আইআরএস এবং আমেরিকার বিচার বিভাগের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। আরও বৈঠক করবেন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডেপার্টমেন্টের কর্মকর্তা, এফবিআই, এ্যাটর্নি জেনারেল ও ডিইএর কর্মকর্তাদের সঙ্গে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচার নিয়ে বাংলাদেশ সরকার যেভাবে উদ্বিগ্ন একইভাবে উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র সরকারও। যে কারণেই আমরা যৌথভাবে বৈঠক করছি কীভাবে বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচার বন্ধ করা যায়, বিভিন্ন পাচার হওয়া অর্থ কীভাবে ফেরত আনা যায় এবং যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের কীভাবে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা যায়।
×