ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মোসাদের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে বেকায়দায় বিএনপি

প্রকাশিত: ০৫:৪৬, ১৫ মে ২০১৬

মোসাদের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে বেকায়দায় বিএনপি

শরীফুল ইসলাম ॥ ইসরাইলী গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এজেন্টের সঙ্গে এক বিএনপি নেতার বৈঠক ইস্যুতে দলের ভেতরে-বাইরে তোলপাড় চলছে। শুধু বিএনপিতেই নয়, বিষয়টি নিয়ে এখন সারাদেশের সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা চলছে। কি কারণে ওই বৈঠক তা দলের অনেক নেতাকর্মীই জানেন না। এ নিয়ে দেশ-বিদেশে ব্যাপক চাপের মুখে পড়েছে বিএনপি। পরিস্থিতি সামাল দিতে দলের উচ্চ পর্যায় থেকে নানামুখী তৎপরতা চালানো হচ্ছে। বিএনপির সঙ্গে ইসরাইলের সম্পর্ক রয়েছে এবং সেদেশের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এজেন্ট মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর বৈঠক হয়েছে বলে সরকার ও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জোরেশোরে প্রচার করা হলেও বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের শরিক দলের পক্ষ থেকে ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকার করা হচ্ছে। তবে ইতোমধ্যেই বিএনপি হাইকমান্ড আসলাম চৌধুরীকে তলব করে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চান। আসলাম চৌধুরী ভারতে ব্যক্তিগত সফরে গিয়ে ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এজেন্ট মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে দেখা ও ছবি তোলার ঘটনা স্বীকার করলেও বৈঠক করার কথা অস্বীকার করেন। এ পরিস্থিতিতে আসলাম চৌধুরীকে সব সময় সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন দলীয় হাইকমান্ড। এদিকে বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীসহ সাতজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে গোয়েন্দা সংস্থা। নিষেধাজ্ঞা জারির পর দেশের প্রতিটি বিমানবন্দর, নৌবন্দর ও স্থলবন্দরে সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছে। এসব জায়গায় কর্মরত কর্মকর্তাদের কাছে তার পাসপোর্ট নম্বরও দেয়া হয়েছে। কোন অবস্থায় যাতে তিনি পালিয়ে যেতে না পারেন সে বিষয়েও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে আসলাম চৌধুরী ও তাঁর পরিচিতজনদের মধ্যে আতঙ্ক ও অস্বস্তি বিরাজ করছে বলে জানা গেছে। ঘনিষ্ঠজন ছাড়া কারও সঙ্গে ফোনেও কথা বলছেন না আসলাম চৌধুরী। এ রিপোর্ট লেখার সময় তার মোবাইলে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। উল্লেখ্য, সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে মোসাদের এজেন্টের সঙ্গে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী ভারতে একাধিক বৈঠক করেছেন। ইসরাইলের সাফাদি সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল ডিপ্লোমেসি এ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস নামে একটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে আসলাম চৌধুরীর একাধিক ছবিও প্রকাশ করা হয়। পরে এ নিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিএনপি যে ষড়যন্ত্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত এর যথেষ্ট প্রমাণ তাঁদের কাছে আছে এবং যা দিয়ে তাঁরা বিএনপিকে নিষিদ্ধও করতে পারেন। সংবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশের কোন নাগরিকের ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক, রাজনৈতিক কিংবা বাণিজ্যিক কোন সম্পর্ক রাখাই দ-নীয় অপরাধ। কিন্তু এমন একটি দেশের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক ও সেদেশের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এজেন্ট মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর বৈঠক নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হলে আবারও নতুন করে রাজনৈতিকভাবে বেকায়দায় পড়ে বিএনপি। এ পরিস্থিতিতে শুক্রবার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে দলের পক্ষ থেকে এ বিষয়টি ব্যাখ্যা করেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আসলাম চৌধুরীর ভারত সফরটি ছিল ব্যক্তিগত। আর ইসরাইলের সঙ্গে বিএনপির কোন সম্পর্ক নেই। আর ক্ষমতায় যাবার জন্য ইসরাইলের সহযোগিতা নিয়ে কোন ধরনের ষড়যন্ত্রের প্রশ্নই উঠতে পারে না। বিএনপি বিশ্বাস করে কেবল নির্বাচনের মাধ্যমেই সরকার পরিবর্তন সম্ভব। আর ফিলিস্তিনের অধিকার ও সার্বভৌমত্বের প্রতি বিএনপির পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। এ বিষয়ে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে গিয়ে আসলাম চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, এ বছর ৫ মার্চ ব্যবসায়িক কাজে ভারতে গিয়ে ৯ মার্চ পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করেন তিনি। সেখানে মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে তার দেখা হয়েছে। তিনি বলেন, ভারতে যাওয়ার পর অন্য একজনের মাধ্যমে সাফাদির সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। তাঁরা বিভিন্ন পর্যটন এলাকায় একসঙ্গে ঘুরেছেন, খাওয়াদাওয়া করেছেন। কিন্তু কোন বৈঠক করেননি। তিনি বলেন, আগ্রার মেয়র তাকে সংবর্ধনা জানান। তখন মেন্দি এন সাফাদিকেও সংবর্ধনা জানানো হয়। কিন্তু মেন্দি যে ইসরাইলের লিকুদ পার্টির নেতা তা তিনি জানতেন না। সাফাদির সঙ্গে ছবি তোলার বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, গণমাধ্যমে ছবি কিভাবে প্রকাশিত হলো তা বুঝতে পারছি না। আমাকে ট্র্যাপে ফেলে এটা করা হয়েছে কিনা তাও জানি না। তবে এ ঘটনায় দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণœœ হলে নেতাকর্মী ও সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চাইতেও দ্বিধা নেই। সূত্র মতে, মোসাদের সঙ্গে বিএনপিকে জড়িয়ে খবর প্রকাশের পর ঢাকায় অবস্থিত ফিলিস্তিনের দূতাবাস থেকে বিএনপির কাছ থেকে বিষয়টি জানতে চাওয়া হয়। এ পরিস্থিতিতে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল চুপেচাপে ফিলিস্তিনের দূতাবাসে গিয়ে দলের অবস্থান ব্যাখ্যা করে। এ সময় বিএনপি নেতারা জানান, ইসরাইলের সঙ্গে দলটির কোন সম্পর্ক নেই। বিএনপি সব সময় ফিলিস্তেনের পক্ষে আছে এবং থাকবে। শনিবার গুলশানের ফিলিস্তিন দূতাবাসে এক অনুষ্ঠানে ফিলিস্তিনের চার্জ দ্য এ্যাফেয়ার্স ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান বলেন, বাংলাদেশের কোন দল ইসরাইলের সঙ্গে বৈঠক করলে সেটা হবে ওই দলের রাজনৈতিক আত্মহত্যা। তিনি জানান, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ফিলিস্তিন দূতাবাসে গিয়ে মোসাদের সঙ্গে বৈঠকের কথা অস্বীকার করেছেন। শনিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান বলেন, দিল্লীতে মোসাদের সঙ্গে বিএনপির যে বৈঠক হয়েছে এটা রাষ্ট্রদ্রোহিতা। এ বছর মার্চ মাসে ভারত সফরে গিয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব লায়ন আসলাম চৌধুরীর সঙ্গে সঙ্গে আগ্রা ও দিল্লী এলাকায় ইসরাইলের সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল ডিপ্লোমেসি এ্যান্ড এ্যাডভোকেসির প্রধান ও ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এজেন্ট মেন্দি এন সাফাদির বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখা-সাক্ষাতের বেশ কিছু ছবি প্রথমে ফেসবুকে প্রকাশিত হয়। পরে এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ছবিসহ রিপোর্ট প্রকাশ হয়। ছবিতে আসলাম চৌধুরীর সঙ্গে খোশমেজাজে দেখা গেছে মেন্দি এন সাফাদিকে। এক অনুষ্ঠানে তারা দুজন ফুলের মালাও গ্রহণ করেন। আরেক ছবিতে মেন্দি এন সাফাদি ও এক নারীকে ফুলের মালা পরা অবস্থায় দেখা গেছে। সেখানে তাদের পাশে হাসিমুখে আসলাম চৌধুরী অবস্থান করছেন। জানা যায় এর আগে ইসরাইলের অনলাইন সংবাদ মাধ্যম জেরুজালেম অনলাইন ডটকম-এ বাংলাদেশ সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেখানে মেন্দি এন সাফাদি বলেছেন, শীঘ্রই সব ক্ষেত্রে বাংলাদেশের দরজা ইসরাইলীদের জন্য খুলে দেয়া হবে। নির্যাতিত মানুষের স্বাধীনতার জন্য কাজ করা একটি নৈতিক দায়িত্ব। সেজন্য আমি এসব লোকের সহায়তার জন্য রয়েছি। বাংলাদেশে নির্যাতনের কাহিনীগুলো সত্যিকারের, ফিলিস্তিনের মতো বানানো নয়। এখানে মানুষ নিপীড়িত হচ্ছে, কারণ তারা ভিন্নমতের। আমি গর্বিত যে, অনেক বাংলাদেশী ইসরাইলের প্রতি সহানুভূতিশীল। যদিও বাংলাদেশের নাগরিকদের পাসপোর্টেও লেখা থাকে, ইসরাইল ছাড়া সারা বিশ্বে তারা ভ্রমণ করতে পারবে। সেটাও আমি শীঘ্রই পরিবর্তন করতে যাচ্ছি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির এক কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, দলের নতুন কমিটিতে যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর ভারত সফরে গিয়ে ইসরাইলের এক লোকের সঙ্গে বৈঠক এবং পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত সচিত্র রিপোর্ট নিয়ে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা চলছে। নেতাকর্মীরা এ বিষয়ে জানতে চাইলেও আমরা কিছুই বলতে পারছি না। অনেক সিনিয়র নেতাই এ নিয়ে ধোয়াশার মধ্যে রয়েছেন। কি কারণে আসলাম চৌধুরী ওই ইসরাইলী লোকের সঙ্গে দেখা করলেন তা দলের অনেক সিনিয়র নেতাও বলতে পারছেন না। এ ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিকভাবে আবার কোন বৈরী পরিস্থিতিতে পড়তে হয় কি না এমন আশঙ্কাও কারও কারও মধ্যে রয়েছে। মোসাদের এজেন্টের সঙ্গে আসলাম চৌধুরীর বৈঠক নিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে খবর প্রকাশ হলে সম্প্রতি আসলাম চৌধুরীকে তলব করে বিষয়টির সত্যতা জানতে চান খালেদা জিয়া। এ সময় আসলাম চৌধুরী নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন। তবে ইসরাইলী নেতার সঙ্গে দেখা-সাক্ষাতের বিষয়ে কিছু না বললেও তার সঙ্গে তোলা ছবি প্রকাশের বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন খালেদা জিয়া। দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকেও বিষয়টি নিয়ে কথা হয় এবং পরিস্থিতি সামাল দিতে কিছু কৌশল নির্ধারণ করা হয়। আর এ বিষয়ে সবাই কথা না বলে মহাসচিবসহ দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের কথা বলার দায়িত্ব দেয়া হয়। এরই প্রেক্ষিতে বিএনপি মহাসচিব সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি ব্যাখ্যা করেন। সূত্র মতে, আসলাম চৌধুরীর বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নিতে শুরু করেছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। পত্রিকা এবং ফেসবুকে পাওয়া ছবি নিয়ে তারা খোঁজখবর নিচ্ছেন। ইসরাইলী গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে বৈঠকের সত্যতা পেলে আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এমনকি তাকে গ্রেফতারও করা হতে পারে। প্রসঙ্গত: চট্টগ্রামের সীতাকু- উপজেলার বাসিন্দা আসলাম চৌধুরী ২০০৩ সালে জিয়া পরিষদের মাধ্যমে সরাসরি রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষে তিনি কনফিডেন্স সিমেন্টের এ্যাকাউন্ট্যান্ড হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। সেখান থেকে অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি ব্যবসা শুরু করেন। এরপর তিনি লায়ন্সেরও গবর্নর হন। ওয়ান-ইলেভেনে তিনি বিএনপির পক্ষে কাজ করেন। এরপর ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বিএনপির মনোনয়ন পান। ২০০৯ সালে দলের জাতীয় কাউন্সিলের পর তিনি বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলার বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এবং একপর্যায়ে আহ্বায়কের দায়িত্ব পান। একজন ধনাঢ্য ব্যবসায়ী হওয়ায় বিএনপির বিভিন্ন কর্মকা-ে প্রচুর অর্থ ব্যয় করেন আসলাম চৌধুরী। এরই পুরস্কারস্বরূপ তাকে এবারের জাতীয় কাউন্সিলের পর দলের যুগ্ম-মহাসচিবের দায়িত্ব দেয়া হয়। তবে রাতারাতি তার পদোন্নতিতে বিএনপির বড় একটি অংশ ক্ষুব্ধ। অভিযোগ রয়েছে, বড় ধরনের আর্থিক লেনদেনের কারণে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিবের পদ পেয়েছেন আসলাম চৌধুরী। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান জনকণ্ঠকে বলেন, আসলাম চৌধুরী ভারতে ব্যক্তিগত সফরে গিয়ে কি করেছেন জানি না। বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া তাকে ডেকেছিলেন। তবে চেয়ারপার্সনকে আসলাম চৌধুরী কি জানিয়েছেন তাও জানি না। তবে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছি। কারণ আমাদের অবস্থান ফিলিস্তিনের পক্ষে। তাই আমরা ফিলিস্তিনের জনগণের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ২০ দলীয় জোটের শরিক দল লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান জনকণ্ঠকে বলেন, মোসাদের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর। ২০ দল বা বিএনপি ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় যেতে চায় না। তবে বিএনপি বা ২০ দলকে হেয় প্রতিপন্ন করতেই সরকার এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে। ২০ দলীয় জোটের আরেক শরিক দল জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান বলেন, মোসাদের এজেন্টের সঙ্গে বিএনপি নেতার বৈঠকের সত্যতা সম্পর্কে আমার কাছে তথ্য নেই। আমরা ফিলিস্তিনের পক্ষে আছি এবং থাকব। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন বলেন, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন সেটিই আমার এবং আমাদের দলের বক্তব্য।
×