সংবাদদাতা, রায়পুর, লক্ষ্মীপুর ॥ লক্ষ্মীপুরের রায়পুরের সড়ক-মহাসড়কগুলো ভেঙে চুড়ে এখন বেহাল দশা। হাজার হাজার ছোট-বড় গর্ত তৈরি হয়েছে এগুলোতে। শুধু প্রধান সড়কগুলো নয়, স্থানীয় সড়কগুলোর অবস্থাও একই। দীর্ঘদিন থেকে সংস্কারের অভাবে ধীরে ধীরে এগুলো পথযাত্রীদের মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। প্রায়ই ঘটছে দূর্ঘটনা। গর্তের মাত্রা এতোটাই বেশি যে যানবাহন চলাচলে ৫-১০ হাত ভালো সড়ক খুঁজে পাওয়াও দুস্কর। গর্তের পর গর্তে এ রুটে চলাচলকারী যানবাহনের চালকরাও ত্যক্ত-বিরক্ত। ব্রেক কষতে কষতে তাদের ত্রাহী অবস্থা। রায়পুর পৌরসভা, এলজিইডি ও সড়ক বিভাগের রাস্তা মেরামত ও তৈরি কাজের শুরুতেই গলদ থাকায় তা সংস্কারের ২/৩ মাসের মধ্যেই ভেঙে চুড়ে বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়। মেরামত কাজের সময় সংশ্লিস্ট প্রকৌশল বিভাগের যথাযথ তদারকির অভাব ও বিশেষ কমিশন বাণিজ্যের কারণে সড়কগুলোতে অত্যন্ত নি¤œমানের কাজ করা হয় বলে দীর্ঘদিনের অভিযোগ। টেন্ডার হলে একজন ঠিকাদার কাজ পেলেও তা ৫/৬ দফায় বিক্রি হতে হতে সর্বশেষ যিনি কিনে নেন তিনি কোনোমতে কাজ করেই নিজের ষোলআনা বিল বুঝে নিয়ে যান। একারণে মোট বরাদ্ধের ৫০ ভাগ কাজও ঠিকমতো হয়না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ঠিকাদার জানান, ভাইরে ঘাটে ঘাটে টাকা দিলে রাস্তার কাজ কিভাবে ভালো হবে ?
উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী আক্তার হোসেন ভূঁইয়া বলেন, কোন বরাদ্ধ না পাওয়ায় সড়কগুলো মেরামত বা সংস্কার কাজ করা যাচ্ছে না। এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউপি চেয়ারম্যানরা সড়কের বিষয়ে জানালেও কিছুই করা যাচ্ছে না। তারপরও হায়দরগঞ্জ সড়কটি ইট-বালু দিয়ে সাময়িক মেরামত করে দেয়া হয়েছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: