ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ভেনেজুয়েলায় জরুরি অবস্থা

প্রকাশিত: ১৯:৪১, ১৪ মে ২০১৬

ভেনেজুয়েলায় জরুরি অবস্থা

অনলাইন ডেস্ক॥ ওপেকভুক্ত কয়েকটি দেশ এবং যুক্তরাষ্ট্র তার বামপন্থি সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার ষড়যন্ত্র করছে অভিযোগ করে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো দেশজুড়ে ৬০ দিনের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। শুক্রবার রাতে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে তিনি এ ঘোষণা দেন। জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হলেও এর আওতায় নেওয়া পদক্ষেপ সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানাননি মাদুরো। গেল বছর কলম্বিয়ার সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলোতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিলেন তিনি। ওই সময় ওই এলাকাগুলোর জন্য সংবিধানের মানবাধিকার সংক্রান্ত ঘোষণাগুলো বাদে অন্যান্য প্রতিশ্রুতিগুলো স্থগিত করা হয়েছিল। এর আগে ওইদিন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, তারা ভেনেজুয়েলার অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে ভেঙে পড়া নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে উঠছেন এবং মাদুরো তার মেয়াদ সম্পূর্ণ করতে পারবেন না বলে ধারণা করছেন। ভেনেজুয়েলার বিরোধীদল দেশে বিরাজমান গভীর সঙ্কটকে সামনে রেখে মাদুরোর বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের ডাক দেওয়ার চেষ্টা করছে। দেশটিতে খাদ্য ও ওষুধের অভাব দেখা দিয়েছে, বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে, ব্যাপক মুদ্রাস্ফীতির মধ্যে লুটপাটের মতো ঘটনা ছড়িয়ে পড়ছে। কিন্তু সাবেক শ্রমিক নেতা ও বাস চালক ৫৩ বছর বয়সী প্রেসিডেন্ট মাদুরো নিজের মেয়াদ পুরো করার বিষয়ে অনড় রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে ক্যু করার গোপন চেষ্টার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে অভিযুক্ত করেছেন। ব্রাজিলের বামপন্থি প্রেসিডেন্ট দিলাম রৌসেফের অভিশংসনের বিষয়টিকে ‘নমুনা’ উল্লেখ করে এরপর তার পালা বলে মন্তব্য করেছেন মাদুরো। ভাষণে মাদুরো বলেছেন, “ভেনেজুয়েলার ফ্যাসিস্ট ডানপন্থিদের অনুরোধে যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে। তারা ব্রাজিলের ক্যু’য়ের সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়েছে।” ভেনেজুয়েলার প্রয়াত সাবেক প্রেসিডেন্ট হুগো শ্যাভেজের সময় থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশটির সম্পর্ক তিক্ত হয়ে আছে। বিশেষ করে ২০০২ সালে শ্যাভেজের বিরুদ্ধে একটি অভ্যুত্থানে যুক্তরাষ্ট্র খোলাখুলি সমর্থন দেওয়ার পর থেকে সম্পর্ক আরো নাজুক হয়ে আছে। ওই অভ্যুত্থানে স্বল্প সময়ের জন্য ক্ষমতা হারিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট শ্যাভেজ।
×