ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

দেশের সব খাস জমির তথ্য সংগ্রহ করে ভূমি ব্যাংক গঠনের উদ্যোগ

প্রকাশিত: ০৬:৩২, ১৪ মে ২০১৬

দেশের সব খাস জমির তথ্য সংগ্রহ করে ভূমি ব্যাংক গঠনের উদ্যোগ

রশিদ মামুন ॥ দেশের সকল খাস জমির তথ্য সংরক্ষণ করে একটি ভূমি ব্যাংক বা ল্যান্ড ব্যাংক গঠন করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এতে ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি ছাড়াও সরকারী সম্পত্তির যথাযথ হিসেব পাওয়া যাবে। বিনিয়োগকারীদের শিল্প কারখানার জন্য দীর্ঘমেয়াদী ভূমি লিজ দেয়া ছাড়াও ভূমিহীন মানুষকে পুনর্বাসনেও এসব জমি ব্যবহার করা হবে। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন ভূমি ব্যবস্থাপনায় বিপ্লব ঘটাতে পারে নতুন এই ব্যাংক। ভূমি মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, দেশে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের বড় বাধা জমি প্রাপ্তি। সরকারী এবং বেসরকারী উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গেলেই জমি নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। অথচ দেশে বিপুল পরিমাণ খাস জমি রয়েছে। সাধারণত জেলা প্রশাসকদের তত্ত্বাবধানে থাকে এসব খাস জমি। তবে বেশিভাগ জমি কোন না কোনভাবে সরকারের বেহাত হয়ে গেছে। এর বাইরে দেশে বিপুল পরিমাণ চর জেগেছে। আবার কোন কোন নদী একেবারে মরে গেছে। এসব চরের জমিও সরকারী সম্পত্তি। এর বাইরে দেশের উপকূলীয় এলাকায় বিগত কয়েক বছরে হাজার হাজার বর্গ কিলোমিটার নতুন চর জেগেছে। কিন্তু অধিকাংশ যায়গায় কোন জরিপ হয়নি। খাস জমিগুলো স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালীরা নিজেদের দখলে রেখেছে। রাজধানী ঢাকা এবং বন্দর নগরী চট্টগ্রামে প্রভাবশালীদের পেটে চলে গেছে অধিকাংশ খাস জমি। ভূমি মন্ত্রণালয়ের হিসেবে দেশে খাস জমির পরিমাণ ৩৮ লাখ ৫৩ হাজার ৭৯৪ একর। এর মধ্যে কৃষি খাস জমির পরিমাণ ২০ লাখ ৭১ হাজার ৮১৫ একর এবং অকৃষি খাস জমির পরিমাণ ১৭ লাখ ৮১ হাজার ৯৭৮ একর। সবচেয়ে বেশি সাত লাখ ৭৪ হাজার ২৪৪ দশমিক সাত একর খাসজমি রয়েছে বান্দরবান জেলায়। অপরদিকে সবচেয়ে কম দুই হাজার ৬২ দশমিক ৪৫৬ একর খাস জমি রয়েছে গোপালগঞ্জ জেলায়। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন নতুন করে সব জেলায় জরিপ করলে খাস জমির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। এর বাইরে গত কয়েক বছরে বঙ্গোপসাগরে জেগে উঠেছে বিশাল ভূখ-। যা ব্যবহার উপযোগী করার জন্য সরকার চেষ্টা চলাচ্ছে। উপকূলের কয়েকটি জায়গাতে অন্তত ২০টি ‘নতুন ভূখ-’ এখন স্থায়িত্ব পেতে চলেছে। বঙ্গোপসাগরে দুই-তিন বছর ধরে জেগে থাকা এসব দ্বীপখ- ভরা জোয়ারেও আর তলিয়ে যায় না।
×