ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

কলাপাড়ায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ

প্রকাশিত: ২১:৩৭, ১৩ মে ২০১৬

কলাপাড়ায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া ॥ মুসা গাজী নামের ষাটোর্ধ এক শ্রমজীবীকে বেধড়ক লাঠিপেটা করা হয়েছে। মারধরে ক্ষান্ত থাকেনি, তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে দেয়া হয়নি। শুক্রবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে হাসপাতাল থেকে ৮/৯ সন্ত্রাসী তাকে হাসপাতাল থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। তার স্ত্রী মুকুল বেগম বলেন, ‘ ৮/১০জন পোলাপানে হাসপাতাল দিয়া সকালবেলা নামাইয়া দেছে।’ টিয়াখালী ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান সৈয়দ মশিউর রহমান শিমুর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভূক্তভোগী মুসা গাজী এখন বিনা চিকিৎসায় শরীরের ফুলা- জখম এবং আঘাতের চিহ্ন নিয়ে বাড়িতে পড়ে থাকতে বাধ্য হয়েছে। মুসা গাজীর অভিযোগ, তার খাস জমিতে ১৭ বছরের বসতঘরের ভিটি উচু করতে চেয়ারম্যান নিষেধ করছিল। একারনে তাকে বৃহস্পতিবার দুপুরে চারজন চৌকিদার পাঠিয়ে ডেকে আনা হয়। এরপর পরিষদে নিয়ে তাকে লাঠিপেটা করা হয়। ইউপি মেম্বার বিএনপি নেতা ইব্রাহিম হাওলাদারকেও এঘটনার জন্য দায়ী করেছেন মুসা গাজী। মুসা গাজীর দাবি তাকে উচ্ছেদ করে ওই জায়গা দখলের জন্য মারধর করা হয়েছে। ফের হামলা কিংবা মারধরের শঙ্কায় মুসা গাজী এখন স্বাভাবিকভাবে কথা পর্যন্ত বলতে পারছেন না। টিয়াখালী ইউনিয়নের সাতানি গ্রামে বাড়ি মুসা গাজীর। তার দুই হাতে ও পিঠে লাঠির আঘাতের চিহ্ন ফুলা-জখম রয়েছে। চিকিৎসক রেফায়েত হোসেন তাকে বৃহস্পতিবার রাতে স্যালাইন পুষ করেছেন। সকালে দেয়া হয়েছে ইনজেকশন। শুক্রবার দুপুর ১২ টার দিকে গিয়ে মুসার খোজ করলে নার্সরা কিছুই জানাতে পারেন নি। তাদের কাগজপত্রে মুসা গাজী ভর্তি রয়েছে বলে জানান। এব্যাপারে কলাপাড়া স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুল মান্নানকে মোবাইল করলে তিনি রিসিভ করেন নি। হটলাইনেও কাউকে পাওয়া যায়নি। টিয়াখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈয়দ মশিউর রহমান জানান, মুসা গাজী অন্যের জমি দখল করে ঘর তুলছিল। বাধা দেয়ার পরও শোনেনি। এনিয়ে পরিষদে মামলা হয়েছে। চৌকিদার দিয়ে ডেকে এনে ঘর তুলতে নিষেধ করা হয়েছে। মারধরের কথা সম্পুর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। মারধরের ঘটনা ষড়যন্ত্র। কলাপাড়া থানার ওসি জিএম শাহনেওয়াজ জানান, তার কাছে এসংক্রান্ত কেউ কোন অভিযোগ দেয়নি।
×