ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

কুকুরের ধাওয়ায় ইসলামিক স্টেট!

প্রকাশিত: ০৬:৪৭, ১৩ মে ২০১৬

কুকুরের ধাওয়ায় ইসলামিক স্টেট!

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের তাড়া খেয়ে মধ্যপ্রাচ্যে ব্যতিব্যস্ত দায়েশ (ইসলামিক স্টেট) নামের সন্ত্রাসী সংগঠনটি। রুশ বিমান বাহিনী তাদের হামলা বন্ধ করলেও সিরীয় বাহিনীর ক্রমাগত আক্রমণ দায়েশকে সিরিয়ায় কোণঠাসা করে ফেলছে। অধিকৃত নগরী পালমিরা থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিতে বাধ্য হয় সংগঠনটি। কিন্তু ইরাকে এখনও বেশ দাপটের সঙ্গেই কার্যক্রম পরিচালনা করছে দায়েশ। মার্কিন জোট বিমান হামলার মাধ্যমে ইরাক থেকে দায়েশকে ধ্বংস করার চেষ্টা করলেও শুধু বিমান হামলা চালিয়ে ইরাকে অতটা কার্যকর ফলাফল লাভ করা যাচ্ছে না। সম্প্রতি ইরাকে মার্কিন ও ব্রিটিশ বাহিনীর সঙ্গে দায়েশের বেশ কয়েক দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ দায়েশ সদস্যদের করা এক অ্যামবুশ থেকে বেঁচে যায় ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর একটি দল। দায়েশের প্রায় ৫০ সদস্যের একটি দল ইরাকের কুর্দি সীমান্তে এ্যামবুশ করে অপেক্ষা করছিল ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর ওই দলটির। ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর কাছে এই এ্যামবুশ সম্পর্কে কোন তথ্য না থাকায়, তারা ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছিল এ্যামবুশের কাছে। কিন্তু সঙ্গে থাকা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুরের কারণে প্রায় অনাকাক্সিক্ষতভাবেই বেঁচে যায় ব্রিটিশ সেনারা। সেদিন ব্রিটিশ সেনারা কুর্দি পেশমার্গা যোদ্ধাদের একটি দলকে প্রশিক্ষণ দিয়ে মোট চারটি কনভয়ে করে নিজেদের ব্যারাকে ফিরছিলেন। কোন কিছু সন্দেহ হওয়ার আগেই একটি কনভয় বাড়িতে বানানো বোমায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়। ঘটনার আকস্মিকতা কাটতেই ব্রিটিশ সেনারা প্রস্তুতি নিচ্ছিল ফিরতি আক্রমণের। কিন্তু সন্ত্রাসীরা তাদের পেছন থেকে হামলা চালানো শুরু করে। তখন সেনাদের ভেতর থেকে একজন সঙ্গে থাকা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুরটিকে এই ভেবে ছেড়ে দেন যেন কুকুরটি পালিয়ে বাঁচতে পারে। কিন্তু কুকুরটি পালিয়ে বাঁচার বদলে রাগান্বিত হয়ে উল্টো দায়েশ যোদ্ধাদের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। কুকুরটি প্রথমেই এক দায়েশ যোদ্ধার গলায় এবং মুখে কামড় বসিয়ে দেয়। এরপর দ্বিতীয় এক যোদ্ধার হাতে এবং পায়ে বসায় মোক্ষম কামড়। আলাসতিয়ান নামে ওই কুকুরটি হামলায় ওই দুই দায়েশ যোদ্ধা পালাতে বাধ্য হয়। শেষ পর্যন্ত কোন প্রকার ক্ষতি ছাড়াই কুকুরটি হামলা চালিয়ে ফিরে আসে ব্রিটিশ সেনাদের কাছে। এ নিয়ে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে কুকুরের বীরত্বের দ্বিতীয় নজির তৈরি হলো। এজন্য অবশ্য আলাসতিয়ানকে বীরোচিত সম্মাননা দেয়া হয়েছে। মূল্যহীন ১০০ ট্রিলিয়ন ডলারের নোট অস্বাভাবিক মুদ্রাস্ফীতি হওয়ায় জিম্বাবুইয়ের রিজার্ভ ব্যাংককে অবশেষে একশ’ ট্রিলিয়ন জিম্বাবুইয়ান ডলারের নোট বের করতে হয়েছে। তবে বর্তমানে নোটটির কোন বাজার মূল্য নেই বললেই চলে। ২০০৯ সালেও দেশটি নিজেদের মুদ্রার পরিবর্তে অন্য দেশের মুদ্রাকে মূল্যমান হিসেবে ব্যবহার করত। কারণ অস্বাভাবিক মুদ্রাস্ফীতির কারণে তাদের পাঁচহাজার শতাংশ মুদ্রা মূল্যহীন হয়ে পড়লে দেশটিতে নিজেদের মুদ্রা ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়। জিম্বাবুইয়ের রিজার্ভ ব্যাংক গবর্নর জন মাগুদার মতে বিভিন্ন ধরনের মুদ্রা ব্যবহারের ফলে দেশটিতে মুদ্রাস্ফীতি হয়েছে-২.৩ শতাংশ। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন ধরনের মুদ্রা ব্যবহার ফলে আমরা দেশটিতে মুদ্রাস্ফীতি অনেকাংশে কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি এবং এটা জাদুর মতো কাজ করেছে।’ তবে এদিকে মুদ্রাস্ফীতির কারণে যে পরিমাণ একশ’ ট্রিলিয়ন ডলারের নোট ব্যবহার করা হতো তা এ বছরেরই এপ্রিল মাস পর্যন্ত মার্কিন ডলারের সঙ্গে বিনিময় করা যাবে। তখন মার্কিন ডলারের তার মূল্য দাঁড়াবে মাত্র ০.৪০ মার্কিন ডলার। এর আগে ২০০৯ সালে দেশটিতে যখন মুদ্রাস্ফীতি হার দাঁড়ায় ২৩ কোটি শতাংশ তখন জিম্বাবুইয়ের রিজার্ভ ব্যাংক থেকে কোন রকম বিবেচনা ছাড়াই মার্কিন ডলারকে নিজেদের সরকারী মুদ্রা হিসেবে ঘোষণা দিয়ে দেয়। সেই কথা বলতে গিয়ে মাগুদা বলেন, ‘আমি অর্থনীতির এমন ধস আগে কখনই দেখিনি, ওই সালটি সত্যিই ছিল আমাদের জন্য একটি বিরাট ক্ষত। আমরা আর এরকম অর্থনীতি বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে চাই না।’ ‘দেশে আগে থেকেই মুদ্রা ছাপিয়ে রাখতে হবে। কারণ বিশ্ববাজারে দ্রব্যমূল্যের দাম যে কোন সময় পরিবর্তন হতে পারে যার ফলে মানসিক চাপ বাড়ে আর পরিণামে দেখা দেয় মুদ্রাস্ফীতি। এ ব্যাপারে জিম্বাবুইয়ের একজন ব্যবসায়ী বলেন, ‘এটা সত্যিই ভয়ানক যখন আপনাকে এক কাপ কফি পান করার আগেই টাকা দিতে হয়। কারণ আপনি যদি অপেক্ষা করেন তাহলে মুহূর্তের মধ্যেই সেই কফির দাম বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।’ বর্তমানে জিম্বাবুইয়ের মুদ্রা বিনিময়ের জন্য মার্কিন ডলারকে প্রাধান্য দেয়া হলেও অন্যরাও চাইলে তা পারবেন এমনটি বললেন, গবর্নর মাগুদা। তিনি আরও বললেন, ‘আমদানি রফতানির জন্য চাইলে যে কেউ দক্ষিণ আফ্রিকার র‌্যান্ড এমনকি চীনের ইয়েনও ব্যবহার করতে পারবেন। মার্কিন ডলার হলো আমাদের রিজার্ভ মুদ্রা।’ এদিকে এ বছরই জিম্বাবুইয়ে তাদের নতুন মুদ্রার সঙ্গে সবাইকে পরিচয় করিয়ে দেবে যা শুধুমাত্র মার্কিন ডলারের সঙ্গে বিনিময় করা যাবে। এদিকে সম্প্রতি তাদের একশ’ ট্রিলিয়ন নোটকে তারা বন্ড নোট হিসেবে ব্যবহার করবে যার পরিমাণ হবে ২০ মার্কিন ডলার। সাত-সতেরো প্রতিবেদক
×