ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

জুট মিল শ্রমিক নেতা চাকরিচ্যুত ॥ বিক্ষোভ

প্রকাশিত: ০৪:০১, ১৩ মে ২০১৬

জুট মিল শ্রমিক নেতা চাকরিচ্যুত ॥ বিক্ষোভ

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস ॥ খালিশপুরের রাষ্ট্রায়ত্ত ক্রিসেন্ট জুট মিলের শ্রমিক ও বাংলাদেশ রাষ্ট্রায়ত্ত জুট মিল সিবিএ-ননসিবিএ ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক সোহরাব হোসেনকে চাকরি থেকে টার্মিনেট করা হয়েছে। মিলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও মিলের দুই কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে তাকে টার্মিনেশন করা হয়। বুধবার রাতে এ সংক্রান্ত আদেশ নোটিস বোর্ডে টাঙিয়ে দেয়া হয়। এদিকে শ্রমিক নেতাকে চাকরিচ্যুত করার প্রতিবাদে ক্রিসেন্ট জুট মিলের শ্রমিকরা বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মিলের উৎপাদন বন্ধ রেখে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন। অপরদিকে দুই কর্মকর্তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে মিল কর্তৃপক্ষ খালিশপুর থানায় একটি জিডি করেছে। বাংলাদেশ রাষ্ট্রায়ত্ত জুট মিল সিবিএ-ননসিবিএ ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব জাকির হোসেন বলেন, শ্রমিক নেতা সোহরাব হোসেনকে অযৌক্তিকভাবে টার্মিনেশন করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে শ্রমিকরা ক্রিসেন্ট জুট মিলের উৎপাদন বন্ধ রেখে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন। এদিকে মিলের একাধিক সাধারণ শ্রমিক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ অনুযায়ী বিজেএমসি কর্র্র্তৃপক্ষ তাদের বকেয়া মজুরি দিয়েছেন। অন্যান্য দাবি পূরণের ব্যাপারে সরকারের প্রচেষ্টায় তারা আশাবাদী। কিন্তু সরকারকে কিছুটা সময় না দিয়ে আবার আন্দোলনে যাওয়াসহ নানা ধরনের উস্কানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন কিছু নেতা। তারা শ্রমিকদের মধ্যে সরকারবিরোধী মনোভাব সৃষ্টি করে সরকারকে বিব্রত করতে চায়। নারায়ণগঞ্জে অপহৃত যুবক উদ্ধার ॥ আটক সাত নিজস্ব সংবাদদাতা, নারায়ণগঞ্জ, ১২ মে ॥ সিদ্ধিরগঞ্জে অপহরণের ৩ দিন পর বারি নামে এক যুবককে অপহরণকারীর কবল থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় পুলিশ ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো- সবুজ, রবি, রনি, রুমান, সোহেল, ইমাম ও ফজলে রাব্বি। অপহরণকারীরা দু’বন্ধু সাইদুল ইসলাম ও বারিকে অপহরণ করে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ বুধবার রাতে অপহৃত সাইদুল ইসলামকে উদ্ধার ও অপহরণকারীদের গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার বিকেলে পুলিশ অপহরণের বিষয়টি সাংবাদিকদের অবহিত করে।জানা গেছে, ঢাকার তুরাগ এলাকার মৃত মোবারক হোসেনর ছেলে সাইদুল ইসলাম ও তার বন্ধু কোরেশ আলী মাস্টারের ছেলে বারি সোমবার সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদী এলাকায় বেড়াতে আসেন। এ সময় বারির সঙ্গে অপহরণকারী সোহেলের পূর্বপরিচয় থাকায় সোহেল ও তার লোকজন কৌশলে বারি ও সাইদুল ইসলামকে ডেকে নিয়ে একটি বাড়িতে আটকে রেখে ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এ সময় সোহেলের সঙ্গে ৬ অপহরণকারী যোগ দেয়। এক পর্যায়ে তাদের পরিবারের লোকজন অপহরণকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিতে রাজি হয়। কথা অনুযায়ী তারা প্রথমে ২টি বিকাশ নাম্বারে ৫০ হাজার ও পরে আরও ২৫ হাজার টাকা পাঠায়।
×