ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পাসের হার ৮৮ দশমিক ২৯ শতাংশ;###;শিক্ষাক্ষেত্রে উন্নয়নে ধারাবাহিকতার প্রমাণ ॥ শিক্ষামন্ত্রী

বেড়েছে সাফল্য ॥ এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল

প্রকাশিত: ০৫:৪৯, ১২ মে ২০১৬

বেড়েছে সাফল্য ॥ এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশের দশ শিক্ষা বোর্ডের অধীন এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলে পাসের হার বাড়লেও এবার কমেছে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা। গত বছর ৮৭ দশমিক শূন্য চার শতাংশ পাস করলেও এবার পাস করেছে ৮৮ দশমিক ২৯ শতাংশ। সর্বোচ্চ গ্রেড জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা দুই হাজার ১৪০ জন কমে দাঁড়িয়েছে এক লাখ নয় হাজার ৭৬১ জনে। সাধারণ আট বোর্ডে পাসের হার ও জিপিএ-৫ দুই সূচকেই বেড়েছে। তবে মাদ্রাসা বোর্ডের ফল আগের বছরের চেয়ে খারাপ হওয়ায় কমে গেছে দশ বোর্ডের জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা। বাকি সকল সূচকেই আগের সকল ভাল ফলকে ম্লান করে প্রতিটি সূচকেই শিক্ষার্থীদের সাফল্য চলে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। পাসের হারে এগিয়ে আছে রাজশাহী আর জিপিএ-৫-এ যথারীতি ঢাকা শিক্ষা বোর্ড। বিষয়ওয়ারী ভাল ফলে সবচেয়ে এগিয়ে বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা। এবার দশ শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষায় অংশ নেয়া ১৬ লাখ ৪৫ হাজার ২০১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ১৪ লাখ ৫২ হাজার ৬০৫ জন। শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা এবার চার হাজার ৭৩৪টি, যা গত বছর ছিল পাঁচ হাজার ৯৫টি। কেউ পাস করেনি এমন প্রতিষ্ঠান এবার ৫৩টি, যা গত বছর ছিল ৪৭টি। এবার মোট ২৮ হাজার ১০৭টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। বুধবার সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে কপি হস্তান্তরের পর দুপুর একটায় সচিবালয়ের সংবাদ সম্মেলন করে সারাদেশের ফল প্রকাশ করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এরপরই স্ব স্ব কেন্দ্র, বিদ্যালয়, শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট, মোবাইলে এসএমএস পাঠিয়ে ফল জানতে পারে পরীক্ষার্থীরা। সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রীর পাশে শিক্ষা সচিব মোঃ সোহরাব হোসাইন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ফাহিমা খাতুনসহ মন্ত্রণালয় ও বোর্ডের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে এবার ভাল ফলের নানা কারণ থাকলেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অষ্টম শ্রেণীর জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার ইতিবাচক প্রভাবেই এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার এ সাফল্য। ওই পরীক্ষার সুফল পাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। কারণ এবার যারা এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে, তারা জেএসসি ও জেডিসিতে একটি ছাকনির ভেতর দিয়েছে এসেছে। কারণ সকলকেই জেএসসি বা জেডিসিতে পাস করে আসতে হয়েছে। এরা সকলেই মেধাবী হিসেবে ছিল পরীক্ষিত। ইংরেজী, বিজ্ঞান, গণিতের মতো বিষয়গুলো শিক্ষার্থীদের কাছে চ্যালেঞ্জিং হলেও এবার এসব বিষয়ে ভাল করেছে শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও ভাল ফলের পেছনে আছে আরও কিছু কারণ। তবে খাতা মূল্যায়নে উদারতা ও সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতি সম্পর্কে ক্রমেই ভাল ধারণা হওয়ায় শিক্ষার্থীরা ফলাফলে এর সুফল পাচ্ছে বলে বলছেন শিক্ষক-কর্মকর্তারাসহ সংশ্লিষ্টরা। ফলাফলকে শিক্ষার উন্নয়নে নেয়া নানা উদ্যোগ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকদের প্রচেষ্টার ফল অভিহিত করে পরীক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। মন্ত্রী বলেন, এসএসসির এবারের ফলাফলে শিক্ষাক্ষেত্রে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা প্রমাণিত হয়েছে। কারণ, ফলাফলের বিভিন্ন সূচকেই ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। ইংরেজী, বিজ্ঞান, গণিতের মতো বিষয়গুলো শিক্ষার্থীদের কাছে চ্যালেঞ্জিং। এ জন্য এসব বিষয়ে বিশেষ নজর দেয়া হয়েছে। সার্বিক ফল ইতিবাচক উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, এই ফলাফলে আমরা অসন্তুষ্ট নই। তবে আরও ভাল করতে চাই। এখনও খুশি আছি, আরও খুশি হতে চাই। পরীক্ষার ফলাফলের লক্ষণগুলো বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইতিবাচক। মান বৃদ্ধির এই লক্ষণগুলো শিক্ষা ক্ষেত্রে এগিয়ে আসার প্রবণতার ফল। একই সঙ্গে যারা পাস করতে পারেনি তাদের উদ্দেশে বলছি, তোমরা হতাশ হবে না। শিক্ষামন্ত্রী সরকারের অঙ্গীকারের কথা উল্লেখ করে বলেন, গত কয়েক বছর ধরে পরীক্ষা শেষের ৬০ দিনের মধ্যে পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে আসছে সরকার। এবারও তার ব্যত্যয় হয়নি। ৫৭তম দিনে ফল প্রকাশ করা হলো। এক সময় নকলের প্রবণতা ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন মোটামুটি তা কমিয়ে এনেছি। প্রশ্নপত্র নিয়ে ব্যবসা করত, বিভ্রান্তি তৈরি করত- প্রশ্ন ফাঁস হওয়া বন্ধ হয়েছে। তবে সকল ক্ষেত্রেই আমরা শতভাগ ভাল করতে পেরেছি তা নয়। আমরা এগিয়ে যেতে চাই। মন্ত্রী জানান, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। গতবারের মতো এবারও সম্পূর্ণ পেপারলেস ফল প্রকাশিত হচ্ছে। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ই-মেইল ঠিকানায় নির্ধারিত সময়ে ফল পৌঁছে গেছে। প্রতিষ্ঠানসমূহ প্রয়োজনে ফল ডাউনলোড করে প্রিন্ট করতে পারছে। সাফল্যের পেছনে ॥ শিক্ষার্থীদের আকাশচুম্বী সাফল্য এবারও চমকে দিয়েছে সকলকে। সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেয়ার ভীতিকে জয় করে পাসের হার বেড়ে যাওয়া, মাদ্রাসা বোর্ড ছাড়া অধিকাংশ বোর্ডেই জিপিএ-৫ প্রাপ্তির বৃদ্ধি, ঝরে পড়া কমে যাওয়া থেকে শুরু করে ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটেছে সব সূচকেই। ২০০১ সালে গ্রেডিং পদ্ধতির প্রথম বছর যেখানে জিপিএ-৫ পেয়েছিল মাত্র ৭৬ জন এবং সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এবার এক লাখ ৯ হাজার ৭৬১ জনে। কিন্তু মাধ্যমিক স্তরের পাবলিক পরীক্ষার এই সাফলের পেছনের কারণ কী? খাতা মূল্যায়নকারী শিক্ষক ও বিশেষজ্ঞদের অভিমত, সরকার বিশেষত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নেয়া পদক্ষেপ শিক্ষার গুণগত মানে পরিবর্তন এনেছে এ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। তবে অষ্টম শ্রেণীর জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার ফলেই এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার এ সাফল্য। এখন ওই পরীক্ষার সুফল পাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। এছাড়া কঠোর মনিটরিংয়ে শ্রেণীকক্ষে নিয়মিত শিক্ষা নিশ্চিত করা, সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতিতে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের আওতা বৃদ্ধি, ইংরেজী ও গণিতসহ বিজ্ঞান বিষয়ে ভাল ফল আর গ্রেডিং ও সৃজনশীল পদ্ধতি সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণার কারণে এসেছে এ সাফল্য। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলছিলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছরের ফলের মান বৃদ্ধির সূচকে কিছু ইতিবাচক লক্ষণ প্রকাশ পেয়েছে। এর পেছনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কিছু উদ্যোগ ভূমিকা রেখেছে। যেমন-বিনামূল্যে সঠিক সময়ে শিক্ষার্থীদের হাতে পাঠ্যপুস্তক পৌঁছে দেয়া, টেলিভিশনে দেশের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সেরা শিক্ষকদের পাঠদান প্রচার, নকল বিরোধী ব্যাপক প্রচারণাসহ নকল প্রতিরোধে বিভিন্নমুখী উদ্যোগ ও তথ্য প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার। এ বছর ২৩টি বিষয়ে সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতিতে পরীক্ষা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, গত বছর থেকে গণিত, উচ্চতর গণিত এবং শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্যবিজ্ঞান ও খেলাধুলা বিষয়ে সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতিতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর পাসের হার বেড়েছে এক দশমিক ২৫ শতাংশ। মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। বিজ্ঞান শাখায় অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি উত্তীর্ণের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। পুরো শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য এ তথ্যগুলো খুবই ইতিবাচক। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গৃহীত নানা পদক্ষেপ, শিক্ষার্থী-শিক্ষক-অভিভাবকগণের অক্লান্ত প্রচেষ্টাসহ সমগ্র শিক্ষা পরিবারের সার্বিক সহযোগিতায় এ অবস্থায় পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে মন্তব্য করে শিক্ষা পরিবারের সকলকে অভিনন্দন জানান শিক্ষামন্ত্রী। এবার দেশের সেরা বোর্ড রাজশাহী। অভাবনীয় এ সাফল্যের প্রতিক্রিয়া জানাতে এ বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোঃ আবুল কালাম আজাদ বলছিলেন, সরকারের ‘বই উৎসব’, প্রথম শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত বিনামূল্যে বই বিতরণ দেশের শিক্ষা ক্ষেত্রে বড় পরিবর্তন এনেছে। সমাজের উচ্চবিত্ত থেকে একেবারে নি¤œবিত্ত পরিবারের মেধাবী শিক্ষার্থীরা এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের সুপ্ত মেধাকে বিকশিত করতে পেরেছে। সর্বোপরি শিক্ষার্থীদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা, শিক্ষক ও অভিভাবকদের নিরলস পরিশ্রম আর বোর্ডের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা আর নিবিড় পর্যবেক্ষণের কারণে এ সাফল্য অর্জন সম্ভব হয়েছে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে এবারো সর্বোচ্চ জিপিএ-৫ পেয়েছে। ৪০ হাজার ৮৪৪ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে এ বোর্ডে। পাসের হার ৮৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ। এ বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. শ্রীকান্ত কুমার চন্দ বলছিলেন, আসলে সৃজনশীল প্রশ্ন শিক্ষার্থীরা ভালভাবে আয়ত্ত করতে পারছে। এছাড়াও ইংরেজী, গলিত এবং সৃজনশীল বিষয় সম্পর্কে শিক্ষকদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ, অভিভাবকদের সচেতনতা বৃদ্ধি, পাঠলাভের প্রতি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বৃদ্ধি ও বোর্ডের নিয়মিত মনিটরিংয়ের কারণেই ভাল ফল অর্জন হয়েছে। বোর্ডগুলোর খাতা মূল্যালয়ের সঙ্গে জড়িত ছিলেন যারা সেই শিক্ষকরা একটা অভিযোগ সব সময়েই বলেন যে, খাতা নেয়ার সময়েই বলে দেয়া হয় শিক্ষার্থীদের স্বার্থের দিকে নজর রাখবেন। এক কথা মানতে গিয়ে নম্বর বেশি দেয়ার একটা প্রবণতা তৈরি হয়েছে। কারণ নম্বর খুব কম দিলে কিংবা বেশি ফেল করে বসলে প্রধান পরীক্ষক বা অন্যরা ডেকে বসেন পরীক্ষকদের। এসব ঝামেলা এড়াতে বেশি নম্বর দেন শিক্ষকরা। বরাবরের মতো এবারো ভাল ফলের কারণে উল্লসিত মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল এ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা। প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ ড. শাহান আরা বেগম বলছিলেন, গত বছরের তুলনায় সামগ্রিকভাবে আমাদের ভাল ফল হলেও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের ফল খারাপ হয়েছে। কেননা, এ বিভাগ থেকে এ প্লাসের সংখ্যা কমে গেছে। সৃজনশীল গণিত পরীক্ষায় এ বিভাগের শিক্ষার্থীরা ভাল করতে পারেনি। বরাবরের মতো এই ভাল ফলের কৃতিত্ব সম্পর্কে তিনি বলেন, শিক্ষক, মাতা-পিতা ও ছাত্র এই চারের সমন্বিত প্রচেষ্টার কারণেই সাফল্য ধরে রাখা যাচ্ছে। তবে দেশের সার্বিক ভাল ফলের জন্য তিনি জোর দিলেন পাঠ্যবই পড়ার ওপর। বলছিলেন, ভাল ফলের জন্য পাঠ্যবই পুরোটা পড়ার বিকল্প নেই। আইডিয়াল স্কুলে ক্লাস নাইনেই পুরো বই শেষ করা হয়। যা গ্রাম বা মফস্বলের স্কুলে করা হয় না। নাইনে বই শেষ করার কারণে আমাদের ছেলেমেয়েরা ক্লাস টেনে প্রচুর সময় পায়। এছাড়া বাবা-মাও ব্যাপক সিরিয়াস থাকেন। ফলে বরাবরের মতো ভাল ফল আসে। এবারের দাখিল পরীক্ষায় মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী যেমন কমেছে, তেমনি কমেছে পাসের সংখ্যাও। পাসের হার ও জিপিএ-৫ এর ক্ষেত্রে আগের বছরের তুলনায় খারাপ ফল অর্জন করেছে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। এবার মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৮৮ দশমিক ২২ শতাংশ। গত বছর ৯০ দশমিক ২০ শতাংশ ছিল। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে পাঁচ হাজার ৮৯৫ জন। গতবার এ সংখ্যা ছিল ১১ হাজার ৩৩৮। এ বোর্ডের এমন চিত্র কেন হলো? এ প্রশ্নে মাদ্রাসা বোর্ড চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম ছায়েফ উল্ল্যাহ বলছিলেন, আসলে সকল বছরই যে সমান মেধাবী শিক্ষার্থী থাকে তা নয়। তবে এবার আমাদের বোর্ডে সমাজ বিজ্ঞান ও ইসলামের ইতিহাস সৃজনশীল বিষয়ে খুবই খারাপ করেছে শিক্ষার্থীরা। এতই খারাপ করেছে যে পুরো ফলই খারাপ হয়েছে। পাসের হার কমেছে, কমেছে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যাও।
×