ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পাশের হারে ছেলেদের তুলনায় এগিয়ে মেয়েরা

প্রকাশিত: ০০:১১, ১১ মে ২০১৬

পাশের হারে ছেলেদের তুলনায় এগিয়ে মেয়েরা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের অংশগ্রহণ ও উত্তীর্ণের সংখ্যা বেড়েছে। সব শিক্ষাবোর্ডে ছাত্রের তুলনায় ছাত্রীরা শূন্য দশমিক ১৯ শতাংশ বেশি পাস করেছে। এমন মন্তব্য শিক্ষামন্ত্রীর। এছাড়াও ফলাফল বিশ্লেষণ করেও দেখা গেছে মেয়েদের জয়জয়কার। এবারের ফলাফলে, কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে মেয়েদের পাসের হার ৮২ দশমিক ৯৫ শতাংশ‌। ছেলেদের পাসের হার ৮৫ দশমিক ২৩ শতাংশ। যশোর শিক্ষা বোর্ডে মেয়েদের পাসে হার ৯২ দশমিক ৩২ শতাংশ আর ছেলেদের পাসের হার ৯১ দশমিক ৪০ শতাংশ। চট্টগ্রাম বোর্ডে মেয়েদের পাসের হার ৮৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ। ছেলেদের পাসের হার ৯০ দশমিক ৯৭ শতাংশ। বরিশাল বোর্ডে মেয়েদের পাসের হার ৮০ দশমিক ০৮ শতাংশ আর ছেলেদের পাসের হার ৭৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ। সিলেট শিক্ষাবোর্ডে মেয়েদের পাসের হার ৮৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ। আর ছেলেদের পাসের হার ৮৫ দশমিক ৭৯ শতাংশ। দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে মেয়েদের পাসের হার ৮৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ। ছেলেদের পাসের হার ৮৯ দশমিক ২৫ শতাংশ। মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডে মেয়েদের পাসের হার ৮৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ। আর ছাত্রদের পাসের হার ৮৮ দশমিক ৯১ শতাংশ। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে মেয়েদের পাসের হার ৮৬ দশমিক ২৬ শতাংশ। ছাত্রদের পাসের হার ৮২ দশমিক ০৩ শতাংশ। এভাবে প্রত্যেকটা শিক্ষাবোর্ডে গড় পাসের হারের দিক থেকে ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে মেয়েরা। তবে জিপিএ-৫ পাওয়ার দিক থেকে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে। এবার ১০টি শিক্ষাবোর্ডে মোট জিপিএ ৫ পেয়েছে ১ লাখ ৯ হাজার ৭শ’ ৬১জন। এর ‍আগে বুধবার দুপুরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ জানান মেয়েদের এগিয়ে যাওয়ার কথা। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ছেলেরা আরেকটু বেশি মনোযোগ দিয়ে পড়লে তারা মেয়েদের সমান ফল করতে পারবে। তিনি বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার পাসের হার ১ দশমিক ২৫ ভাগ বেড়েছে। মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ও বিজ্ঞান বিভাগে উত্তীর্ণের সংখ্যা বেড়েছে। সব সূচকে ফলের মান বৃদ্ধির পেছনে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বেশ কিছু ভূমিকা রেখেছে। এর মধ্যে বিনামূল্যে ও সঠিক সময়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই তুলে দেয়া, টেলিভিশনে দেশের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সেরা শিক্ষকদের পাঠদান প্রচার, নকল বিরোধী ব্যাপক প্রচারণা ও তথ্য প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার উল্লেখযোগ্য। মন্ত্রী বলেন, পুরো শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য এ তথ্যগুলো খুবই ইতিবাচক। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গৃহীত নানা পদক্ষেপ, শিক্ষার্থী-শিক্ষক-অভিভাবকদের অক্লান্ত প্রচেষ্টাসহ সমগ্র শিক্ষা পরিবারের সার্বিক সহযোগিতায় এ অবস্থায় পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে।
×