(অধ্যায় চার), (পূর্ব প্রকাশের পর)
ক) সঠিক উত্তরে টিক () চিহ্ন দাও।
১৭. কয়লা পোড়ালে কী উৎপন্ন হয়?
ক) সালফারের অক্সইড খ) নাইট্রোজেনের অক্সাইড
গ) এমোনিয়ার অক্সাইড ঘ) আয়রনের অক্সাইড
১৮.দূষিত বায়ুর কারণে মানবদেহে কোন রোগ হয়?
ক) টাইফয়েড খ) আমাশয়
গ) ডাইরিয়া ঘ) ফুসফুসে ক্যানসার
১৯.বায়ুর প্রধান উপাদান কোনটি?
ক) অক্সিজেন খ) নাইট্রোজেন
গ) কার্বন-ডাই-অক্সাইড ঘ) হাইড্রোজেন
২০. রান্নাঘরে কোন বিষাক্ত গ্যাস উৎপন্ন হয়?
ক) নাইট্রোজেন খ) অক্সিজেন
গ) কার্বন মনোক্সাইড ঘ) কার্বন-ডাই-অক্সাইড
২১.ইটের ভাটায় ইট পোড়ানোর ফলে কোন দূষণ ঘটে?
ক) মাটি দূষণ খ) বায়ু দূষণ
গ) পানি দূষণ ঘ) শব্দ দূষণ
২২.পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস পোড়ালে বায়ুতে কোন গ্যাস বৃদ্ধি পায়?
ক) নাইট্রোজেন খ) অক্সিজেন
গ) সালফার ডাই-অক্সাইড ঘ) কার্বন-ডাই-অক্সাইড
২৩.কার্বন-ডাই-অক্সাইডের ধর্ম কোনটি?
ক) বায়ুর চেয়ে ভারী খ) বায়ুর চেয়ে হালকা
গ) নিজে জ্বলে ঘ) অন্যকে জ্বলতে সাহায্য করে
২৪.আমাদের গায়ে বায়ুপ্রবাহ এসে লাগলে আমরা ঠান্ডা অনুভব করি কেন?
ক) বায়ু তাপ ছাড়ায় বলে খ) বায়ু তাপ শোষণ করে বলে
গ) বায়ু তাপ নির্গত করে বলে ঘ) বায়ু জলীয়বাষ্প ঘনীভূত করে বলে
২৫.কয়লার সাথে নিচের কোনটি মিশে থাকে?
ক) নাইট্রোজেন খ) অক্সিজেন
গ) হাইড্রোজেন ঘ) সালফার
২৬.এসিড বৃষ্টির জন্য কোনটি দায়ী?
ক) ক্যালসিয়াম অক্সাইড খ) কার্বন-ডাই- অক্সাইড
গ) সালফার-ডাই-অক্সাইড ঘ) কার্বন
২৭. বায়ুপ্রবাহকে কাজে লাগিয়ে কীভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়?
ক) বৈদ্যুতিক পাখা ঘুরিয়ে খ) টারবাইন ঘুরিয়ে
গ) সেচপাম্প চালিয়ে ঘ) পালতোলা নৌকা চালিয়ে
২৮. খোলা জায়গায় কাপড় শুকাতে কম সময় লাগে কেন?
ক) বায়ু তাপ শোষণ করে বলে খ) বায়ু পানি শোষণ করে বলে
গ) বায়ু তাপ নির্গত করে বলে ঘ) বায়ু তাপ বর্জন করে বলে
২৯.বায়ু দূষণমুক্ত রাখার উপায় কোনটি?
ক) বনভূমির গাছপালা কেটে ফেলা
খ) ইটের ভাটা লোকালয় থেকে দূরে স্থাপন করা
গ) কলকারখানায় রাসায়নিক চিমনি ব্যবহার না করা
ঘ) বদ্ধস্থানে ধূমপান করা
৩০.নাইট্রোজেন গ্যাস নিচের কোন কাজে ব্যবহার করা হয়?
ক) ফল পাকাতে খ) অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রে
গ) মাছ-মাংস সংরক্ষণে ঘ) কোমল পানীয় বোতলে
উত্তর : ১.নাই্েরটাজেন ২.অক্সিজেন ৩.কার্বন মনোক্সাইড ৪. কার্বন ডাই-অক্সাইড ৫.অক্সিজেন ৬.অক্সিজেন ৭.অক্সিজেন ৮.ইউরিয়া সার ৯.নাইট্রোজেন। ১০.কার্বন ডাই-অক্সাইড ১১. কার্বন ডাই-অক্সাইড ১২. কার্বন ডাই-অক্সইড ১৩.কার্বন ডাই-অক্সাইড ১৪.বিদ্যুৎ উৎপাদন ১৫. কার্বন ডাই-অক্সইড ১৬.কার্বন মনোক্সাইড ১৭.সালফারের অক্সাইড ১৮. ফুসফুসে ক্যানসার ১৯.নাইট্রোজেন ২০.কার্বন মনোক্সাইড ২১. বায়ু দূষণ ২২.কার্বন ডাই-অক্সাইড ২৩.বায়ুর চেয়ে ভারী ২৪.বায়ু তাপ শোষণ করে বলে ২৫. সালফার ২৬.সালফার ডাই-অক্সাইড ২৭.টারবাইন ঘুরিয়ে ২৮. বায়ু পানি শোষণ করে বলে। ২৯. ইটের ভাটা লোকালয় থেকে দূরে স্থাপন করা ৩০.মাছ-মাংস সংরক্ষণে।
খ) শূন্যস্থান পূরণ কর:
১. আমাদের ঘিরে আছে------।
২.অক্সিজেন আমাদের গ্রহণ করা খাদ্য ভেঙ্গে--- উৎপাদন করে।
৩. শ্বাসকষ্টের রোগীদের অনেক সময় সিলিন্ডার থেকে--- দেওয়া হয়।
৪. রান্নাঘরে বিষাক্ত-----উৎপন্ন হয়।
৫. ইউরিয়া সার প্রস্তুতিতে বায়ুর---- গ্যাস ব্যবহার করা হয়।
৬. পরিবেশের একটি----উপাদান বায়ু।
৭.---- ছাড়া আগুন জ্বলে না।
৮. পর্বতের চূড়ায়--- পরিমাণ কম থাকে।
৯.---প্রস্তুতিতে বায়ুর নাইট্রোজেন ব্যবহার করা হয়।
১০. গাছের বৃদ্ধির জন্য-- সার দেওয়া হয়।
১১.অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রে---- গ্যাস ব্যবহার করা হয়।
১২.কার্বন মনোক্সাইড---গ্যাস
১৩. কয়লা পোড়ালে বায়ুতে--- উৎপন্ন হয়।
১৪.বায়ুপ্রবাহকে ব্যবহার করে----ঘুরিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়।
১৫. বায়ুপ্রবাহকে কাজে লাগিয়ে----- চালান হয়।
১৬.---- আমাদের জন্য খুব দরকারি।
১৭.----বায়ু তাপকে শোষণ করে।
১৮.----উৎপন্ন হওয়ার আরেকটা জায়গায় হলো রান্নার চুলা।
১৯.কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস বায়ুর চেয়ে----।
২০.বোতলে কোমল পানীয়ের সাথে--- কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস মিশানো হয়।
২১. কার্বন- ডাই-অক্সাইড গ্যাস আগুনের উপর একটি--- তৈরি করে।
২২. মাটিকণার ফাঁকে ফাঁকে --- থাকে।
২৩.বায়ুর স্বাভাবিক উপাদান পরিবর্তন হওয়াকে--- বলে।
২৪.বায়ু প্রধানত দূষিত হয়----ফলে।
২৫.--- চুলা ব্যবহারের ফলে বায়ুদূষণ রোধ করা যায়।
২৬.---- বায়ুর কারণে উচ্চ রক্তচাপ দেখা দেয়।
২৭. সালফারের অক্সাইড বৃষ্টির পানিতে মিশে বৃষ্টির পানিকে--- করে
২৮.পানির নিচে আমরা--- গ্রহণ করতে পারি না।
২৯. পানিতেও--- মিশে থাকে।
৩০. পানিতে যে বায়ু আছে সেই বায়ু থেকে মাছ---- গ্রহণ করে বেঁচে থাকে।
৩১.এসিডযুক্ত বৃষ্টি সকল জীবের জন্য----।
উত্তরমালা: ১.বায়ু ২.শক্তি ৩.অক্সিজেন ৪.কার্বন মনোক্সাইড ৫. নাইট্রোজেন ৬. গুরুত্বপূর্ণ ৭. অক্সিজেন ৮. অক্সিজেনের ৯. ইউরিয়াসার ১০. ইউরিয়া ১১.কার্বন ডাই-অক্সাইড ১২. বিষাক্ত ১৩. সালফারের অক্সাইড ১৪. টারবাইন ১৫. পালতোলা নৌকা ১৬. বায়ু ১৭. প্রবাহিত ১৮.কার্বন মনোক্সাইড ১৯. ভারী ২০. আবরণ ২১.বায়ু ২২.বায়ু দূষণ ২৩. মানুষের কর্মকা-ের ২৪. উন্নত ২৫. দূষিত ২৬. এসিডযুক্ত ২৭.শ্বাস ২৮. বায়ু ২৯.অক্সিজেন ৩০. ক্ষতিকর।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর:
১. বায়ুর চারটি উপাদানের নাম লিখ।
উত্তর: বায়ুর চারটি উপাদানের নাম হল: নাইট্রোজেন, অক্সিজেন, কার্বন-ডাই-অক্সাইড ও জলীয়বাষ্প।
২. বায়ু কাকে বলে?
উত্তর: পৃথিবীর চারদিকে ঘিরে থাকা বর্ণহীন, গন্ধহীন, নিরাকার, গ্যাসসীয় মিশ্র পদার্থকে বায়ু বলে?
৩. বায়ু প্রবাহ কী?
উত্তর: বায়ু স্থিরভাবে কোন জায়গায় থাকে না। সর্বদাই একস্থান থেকে অন্যস্থানে প্রবাহিত হয়, একে বায়ু প্রবাহ বলে।
৪.বায়ু দূষণ কাকে বলে?
উত্তর: বায়ুর স্বাভাবিক উপাদান পরিবর্তন হওয়াকে বায়ুদূষণ বলে।
৫. বায়ুতে কার্বন ডাই-অক্সাইডের বৃদ্ধির কারণ কি?
উত্তর: কয়লা, পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস পোড়ানোর ফলে বায়ুতে কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস বৃদ্ধি পায়।
৬. কোমল পানীয় বোতলের ছিঁপি খুলছে বুদবুদ বের হয় কেন?
উত্তর: কোমল পানীয়ের সাথে কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস মিশানো হয় তাই বোতলের ছিঁপি খুললে বুদবুদ বের হয়।
৭. কোমল পানীয়ে ঝাঁঝালো স্বাদ পাওয়া যায় কেন?
উত্তর: বোতলে কোমল পানীয়ের সাথে উচ্চচাপে কার্বন-ডাই- অক্সাইড গ্যাস মিশানো হয়। এর ফলে পানীয়ে ঝাঁঝালো স্বাদ পাওয়া যায়।
৮. এসিড বৃষ্টি কী?
উত্তর: কয়লা পোড়ালে বায়ুতে উৎপন্ন সালফার অক্সাইড বৃষ্টির পানিতে মিশে বৃষ্টির পানিকে এসিডযুক্ত করে। এই এসিডযুক্ত বৃষ্টি হলো এসিড বৃষ্টি।
৯. খাদ্য সংরক্ষণে কোন গ্যাস ব্যবহার করা হয়?
উত্তর: মাছ, মাংস, ফল, চিপস, টিন বা প্যাকেটজাতীয় ইত্যাদি খাদ্য সংরক্ষণে নাইট্রোজেন গ্যাস ব্যবহার করা হয়।
১০. দূষিত বায়ুর ফলে কী কী রোগ হয়?
উত্তর: দূর্ষিত বায়ুর কারণে মানবদেহে এলার্জি, কাশি, হাঁপানি, ব্রঙ্কাইটিস, উচ্চ রক্তচাপ, মাথা ব্যথা, ফুসফুসে ক্যানসার ইত্যাদি মারাত্মক রোগ হয়।
১১. ইটের ভাটা দূষণের প্রভাব কিভাবে কমানো যায়?
উত্তর: ইটের ভাটা লোকালয় থেকে দূরে স্থাপন করে এবং রাসায়নিক চিমনি ব্যবহার করে বায়ু দূষণের প্রভাব কমানো যায়।
১২. কোথায় কোথায় বায়ু আছে?
উত্তর: আমাদের চারপাশেই বায়ু আছে। এছাড়া ভূপৃষ্ঠের মাটিকণার ফাঁকে ফাঁকে বায়ু আছে, পানিতেও বায়ু মিশে আছে। এক কথায়, পৃথিবীর সর্বত্রই বায়ু আছে।
১৩.বায়ু প্রবাহিত হলে আমাদের গায়ে লাগলে আমাদের ঠান্ডা লাগে কেন?
উত্তর: প্রবাহিত বায়ু তাপকে শোষণ করে তাই আমাদের গায়ে বায়ু প্রবাহ এসে লাগলে আমাদের ঠা-া লাগে।
১৪. পর্বত আরোহীরা সিলিন্ডারে অক্সিজেন নিয়ে যায় কেন?
উত্তর: উঁচু পর্বতের চূড়ায় অক্সিজেনের পরিমাণ কম থাকে তাই পর্বত আরোহীরা উঁচু পর্বতে উঠতে গেলে সিলিন্ডারে করে অক্সিজেন নিয়ে যায়।
১৫. ডুবুরিরা যখন কোন কিছু খুঁজতে নদী বা সমুদ্রে যায় তখন সিলিন্ডারে অক্সিজেন নিয়ে যায় কেন?
উত্তর: পানির নিচে শ্বাস গ্রহণ করা যায় না, তাই ডুবুরিরা যখন কোন কিছু খুঁজতে নদী বা সমুদ্রে যায় তখন সিলিন্ডারে অক্সিজেন নিয়ে যায়।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: