ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

যশোরে গির্জায় ডাকাতিকালে গণপিটুনিতে নিহত ১

প্রকাশিত: ০৭:৪০, ১১ মে ২০১৬

যশোরে গির্জায় ডাকাতিকালে  গণপিটুনিতে  নিহত ১

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ ঝিকরগাছার শিমুলিয়ায় খ্রীস্টান মিশনারি গির্জায় ডাকাতিকালে গণপিটুনিতে এক ডাকাত নিহত ও তিন ডাকাত আহত হয়েছে। সোমবার রাত একটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ডাকাত লালুর বাড়ি মেহেরপুরে। আহতরা হলো- ফরিদপুরের চরবিষ্ণুপুর এলাকার হাফিজুর বিশ্বাসের ছেলে মনিরুল ইসলাম ও ইংরেজ বিশ্বাসের ছেলে আমিরুল ইসলাম এবং মাদারীপুরের শিবচরের দক্ষিণ কামারকান্দি এলাকার সুজন হোসেন। শিমুলিয়া গির্জার ফাদার আনন্দ সেবাস্তিয়ান জানান, সোমবার রাত সোয়া একটার দিকে ২৫-৩০ জনের একদল ডাকাত শিমুলিয়া গ্রামের গির্জায় হানা দেয়। ডাকাতরা আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত ছিল। তারা মিশনের হোস্টেলের ছেলেদের এবং নৈশপ্রহরীদের বেঁধে বিভিন্ন ঘরের তালা ভেঙ্গে লুটপাট করে। ডাকাতরা নগদ এক লাখ ৭০ হাজার টাকাসহ প্রায় তিন লাখ টাকার মালামাল লুট করে। ডাকাতদের কয়েকজনের শরীরে কোন কাপড় ছিল না বলেও তিনি উল্লেখ করেন। ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খবির আহমেদ জানান, ডাকাতিকালে গির্জার লোকজনের চিৎকারে গ্রামবাসী সংগঠিত হয়ে চার ডাকাতকে ধরে ফেলে। পরে তাদের গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই লালু ডাকাতের মৃত্যু হয়। আহত হয় বাকি তিনজন। খবর পেয়ে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে। আহতদের প্রথমে ঝিকরগাছা এবং পরে যশোর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। আহত তিন ডাকাত আটক অবস্থায় যশোর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাদের কাছ থেকে ডাকাতি হওয়া টাকার মধ্যে ৪২ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এদিকে, ডাকাতির খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালে ঘটনাস্থলে যান যশোরের পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান। তিনি গির্জ ঘুরে দেখেন ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন। বাকিদের আটক করে ডাকাতি হওয়া মালামাল উদ্ধারে অভিযান শুরু হয়েছে। কুষ্টিয়ায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ডাকাত নিহত ॥ নিজস্ব সংবাদদাতা কুষ্টিয়া থেকে জানান, কুষ্টিয়ায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক ডাকাত নিহত হয়েছে। নিহতের নাম আসাদুল ইসলাম (৩৬)। সোমবার গভীর রাতে মিরপুরের কালিগড়া মাঠের কাছে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, সোমবার রাত আড়াইটার দিকে কুষ্টিয়া-মেহেরপুর সড়কের কালিগড়া মাঠের কাছে একদল সন্ত্রাসী ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছেÑ এমন সংবাদের ভিত্তিতে মিরপুর থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধের একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে সেখানে তল্লাশি চালিয়ে গুলিবিদ্ধ আসাদুলকে পাওয়া যায়। তাকে উদ্ধার করে মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ দুটি সাটারগান, তিন রাউন্ড রাইফেলের গুলি, বন্দুকের তিনটি কার্তুজ ও গাছ কাটার কাজে ব্যবহৃত একটি করাত উদ্ধার করে। ওসি জানান, নিহত আসাদুল ইমলাম নিজ নামে গঠিত সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধান নেতা ছিল। তার বিরুদ্ধে আলমডাঙ্গা থানায় দুটি হত্যা মামলা, হরিণাকু-ু থানায় দুটি হত্যা মামলা ছাড়াও মিরপুর থানায় খুন, ডাকাতি ও অপহরণ মিলে মোট অর্ধডজন মামলা রয়েছে। নিহত আসাদুল মিরপুর উপজেলার আমলা ইউনিয়নের রাধানগর গ্রামের মৃত এজাহার ফকিরের ছেলে।
×