ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সন্ত্রাসী গ্রেফতার ও অস্ত্র উদ্ধারের আহ্বান ইসির

প্রকাশিত: ০৭:৩৫, ১১ মে ২০১৬

সন্ত্রাসী গ্রেফতার ও অস্ত্র উদ্ধারের আহ্বান ইসির

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ইউপিতে বাকি দু’দফায় নির্বাচন সুষ্ঠু ও সহিংসতামুক্ত পরিবেশে অনুষ্ঠানের জন্য এবার ভিন্ন উপায় অবলম্বনের চেষ্টা করছে ইসি। বিশেষ করে পঞ্চম ও শেষ দফায় যাতে কোন প্রকার সহিংতার ঘটনা না ঘটে সেজন্য ভোটের আগেই নির্বাচনী এলাকায় তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ও অস্ত্রবাজদের গ্রেফতার করতে চায়। এ ছাড়াও ভোটারদের কথা বিবেচনা করে নির্বাচনী এলাকায় নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করতে নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে ইসির পক্ষ থেকে। ইতোমধ্যে নির্বাচনী এলাকায় এসব কর্মকা- পরিচালনার জন্য কমিশনের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব বরাবর চিঠি দেয়া হয়েছে। আগামী ২৮ মে পঞ্চম দফায় এবং ৪ জুন ষষ্ঠ ও শেষ দফায় ইউপিতে ভোট গ্রহণ করা হবে। প্রথম থেকেই নির্বাচন সুষ্ঠু করার কথা ইসির পক্ষ থেকে বলা হলেও চার দফায় নির্বাচনে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে এতে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এ কারণে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্যাপক সমালেচনার মুখে পড়ে ইসি। যদি প্রত্যেক দফা নির্বাচনে ইসির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। তারপরও নির্বাচনে প্রাণহানির ঘটনা ইসিকে বেকায়দায় ফেলে দিয়েছে। নির্বাচনে সহিংসতার বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর নির্দেশনা দেয়ার পরও কাজ হয়নি। কিছু কিছু এলাকায় নির্বাচনী অনিয়মের সঙ্গে প্রিসাইডিং অফিসারসহ দায়িত্বপ্রাপ্ত অনেকের জড়িত থাকার অভিযোগও রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ পাওয়া গেছে। দু’দফা নির্বাচনের ব্যাপক সমালোচনার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে দ্বিতীবার বৈঠক করেও সহিংসতা রোধ করতে পারেনি ইসি। এ অবস্থায় পঞ্চম ও ষষ্ঠ দফায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী অস্ত্রবাজদের ও বহিরাগতদের বিরুদ্ধে নির্বাচনের আগেই ব্যবস্থা গ্রহণের পরিকল্পনা করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন মনে করছে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার না হওয়া, নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্তদের পক্ষপাতিত্ব ও কার্যক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তার কারণেই বিচ্ছিন্ন সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও নির্বাচনের আগে সংশ্লিষ্ট এলাকায় তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার না করায় এর প্রভাব নির্বাচনের ওপর এসে পড়ছে। নির্বাচন কমিশনার জাবেদ আলী জানিয়েছেন সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেই নির্বাচনে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। সুষ্ঠু ভোট অনুষ্ঠানে প্রয়োজনীয় নির্দেশনাও সংশ্লিষ্টদের দেয়া হচ্ছে। ইসি সচিব মোঃ সিরাজুল ইসলাম বলেন, দুটি ধাপের ইউপি নির্বাচন এখনও বাকি রয়েছে। বাকি এ দু’দফায় সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোটের পরিবেশ নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। গত সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবের বরাবর পাঠানো ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপসচিব ফরহাদ আহাম্মদ খানের স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়েছে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন ও মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী দিন দিন নির্বাচনী সহিংসতা বাড়ছে। কোথাও কোথাও সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটেছে। বেশকিছু লোক হতাহত হয়েছেন।
×