ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

শাহাদাতের নিষেধাজ্ঞা সাময়িক প্রত্যাহার

প্রকাশিত: ০৫:১১, ১১ মে ২০১৬

শাহাদাতের নিষেধাজ্ঞা সাময়িক প্রত্যাহার

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ মানবিক দিক বিবেচনায় পেসার শাহাদাত হোসেন রাজিবের নিষেধাজ্ঞা সাময়িক প্রত্যাহার করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে শুধু ঘরোয়া ক্রিকেট পর্যন্তই এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার থাকবে। এ নিষেধাজ্ঞা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য বহালই থাকবে। মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েই এ বিষয়টি নিশ্চিত করে বিসিবি। বিসিবির পরিচালক ও মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস জানান, ‘শাহাদাতের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নিতে সিসিডিএমকে চিঠি দেয়া হয়েছে। (শাহাদাত হোসেন) রাজিবে এর আগে আবেদন করেছিল। সেই লক্ষ্যেই মানবিক দিক বিবেচনা করে তাকে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার অনুমতি দেয়া হচ্ছে। আনুষ্ঠানিকভাবে শীঘ্রই এ ব্যাপারে জানানো হবে।’ বিসিবি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিও দেয়। আনুষ্ঠানিকভাবেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়টি জানায়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন জানান, ‘বিসিবির শৃঙ্খলা কমিটি মানবিক দিক বিবেচনা করে শাহাদাতের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। এর আগে শাহাদাত আবেদন করেছিল। যেটা কার্যকর হবে আজকে (মঙ্গলবার) থেকেই। তবে এখন শুধু ঘরোয়া ক্রিকেটেই খেলতে পারবেন শাহাদাত। তাকে জাতীয় দলের নির্বাচনের ক্ষেত্রে ভাবা হবে না।’ ২০১৫ সেপ্টেম্বরে গৃহকর্মীকে নির্যাতন করার অপরাধে তাকে সাময়িক নিষিদ্ধ করে বিসিবি। নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় জেলও খাটতে হয়েছে রাজিবকে। বর্তমানে জামিনে রয়েছেন। গত ২৮ এপ্রিল নিজের কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত হয়ে দেশবাসীর কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন রাজিব। বলেছিলেন, ‘নিজের একটি অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার জন্য আমি অনুতপ্ত। ক্রিকেটের স্বার্থে, জীবিকা নির্বাহের তাগিদে দ্রুতই ক্রিকেটে ফিরতে চাই। এ ব্যাপারে দেশবাসী ও ক্রিকেট বোর্ডসহ সকলের কাছে মিনতি করছি অতীতের ভুল শুধরে আপনাদের আগের শাহাদাত হয়ে ফিরতে চাই আমি। নিজের অতীত কৃতকর্মের জন্য আমি অনুতপ্ত।’ জানা গেছে, সোমবার বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে এ বিষয়ে কথাও বলেছেন রাজিব। মুহূর্তেই তার নিষেধাজ্ঞাও উঠে গেছে। শাহাদাতের নিষেধাজ্ঞা কেন উঠল? এ প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাহী বলেন, ‘একটা অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার কারণে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় শাহাদাত হোসেন রাজিবকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে শাহাদাত বোর্ডের কাছে আবেদন করেন। এছাড়া বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন থাকায় আমরা স্পষ্ট কোন কিছু বলতে পারছিলাম না। পরে আমরা জেনেছি, শাহাদাতের সঙ্গে বাদীর একটি সমঝোতা হয়েছে। এর একটি ডকুমেন্ট সে বোর্ডে জমা দিয়েছে। আদালত থেকে পুরোপুরি রায় বা সিদ্ধান্ত না আসার আগ পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে। শুধু সে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলতে পারবে।’
×