অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের ধারণা, বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮১ মিলিয়ন ডলার রিজার্ভ চুরির ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের ভেতরকার ব্যক্তিদের হস্তক্ষেপ ও যোগসাজশ রয়েছে। তারা বলছেন, নতুন এই তথ্য তাদের তদন্তের পূর্ববর্তী অনেক ধারণায় পরিবর্তন আনতে পারে। তারা বলেছেন, এই ঘটনা আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং ব্যবস্থার দুর্বলতাকেই দিকেই ইঙ্গিত করছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এইসব তথ্য।
এফবিআই ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে জানিয়েছে, অন্তত একজন ব্যাংক কর্মকর্তার সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ রয়েছে তাদের কাছে। জানা গেছে, ওই কর্মকর্তা ছাড়াও আরও কয়েকজন এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থাকতে পারেন, যারা হ্যাকারদের বাংলাদেশ ব্যাংকের কম্পিউটার সিস্টেমে প্রবেশ করতে সাহায্য করেছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহা ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে বলেন, ‘এই চুরিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক না একাধিক কর্মকর্তা জড়িত ছিলেন সে সংখ্যা নিশ্চিত করেনি এফবিআই। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বলা হয়েছে, এই বিষয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রমাণ পাওয়া গেলে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা এই চুরির জন্য ওয়ার্ল্ডওয়াইড ফিনান্সিয়াল টেলিকমিউনিকেশন সোসাইটি সুইফটকে অংশত দায়ী করেছে। তবে এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে সুইফট।
ম্যানহাটনের এফবিআই কর্মকর্তা ও প্রসিকিউটররা এই চুরির ঘটনার তদন্ত করছেন। অভ্যন্তরীণ হস্তক্ষেপ বিষয়ে তাদের এই সন্দেহ আগের অনেক ধারণাই বদলে দিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারি মাসে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ অ্যাকাউন্ট থেকে ১০১ মিলিয়ন ডলার চুরি যায়। এর মধ্যে ২০ মিলিয়ন ডলার গ্রাহকের নাম ভুল করায় শ্রীলংকায় আটকে যায়, পরে তা ফেরত আনা হয়। বাকি ৮১ মিলিয়ন ডলার যায় ফিলিপাইনের একটি বেসরকারি ব্যাংকে। সেখান থেকে ক্যাসিনো হয়ে হংকংয়ে ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হয় ওই অর্থ।