ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মারেকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন জোকোভিচ

প্রকাশিত: ০৬:২৯, ১০ মে ২০১৬

মারেকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন জোকোভিচ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ মাদ্রিদ ওপেনেও চ্যাম্পিয়ন নোভাক জোকোভিচ। দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বী এ্যান্ডি মারেকে হারিয়ে ক্যারিয়ারের ২৯তম মাস্টার্স শিরোপা জয়ের স্বাদ পেলেন বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের নাম্বার ওয়ান তারকা। রবিবার ফাইনালে সার্বিয়ান তারকা নোভাক জোকোভিচ ৬-২, ৩-৬ এবং ৬-৩ সেটে হারান বৃটিশ টেনিস তারকাকে। সেইসঙ্গে দ্বিতীয়বারের মতো মাদ্রিদ মাস্টার্স ওপেনের শিরোপা নিজের শোকেসে তোলেন তিনি। মাদ্রিদ মাস্টার্স জয়ের পর দারুণ উচ্ছ্বাসিত জোকোভিচ। এই আত্মবিশ্বাস নিয়েই এখন রোমে খেলতে যাবেন সার্বিয়ান তারকা। মৌসুমের প্রথম ক্লে কোর্ট টুর্নামেন্ট মন্টে কার্লোতে চতুর্থ রাউন্ডে হেরে যান ২৮ বছর বয়সী নাদাল। সেখানে চেকপ্রজাতন্ত্রের অখ্যাত খেলোয়াড় জিরি ভেসেলির কাছে পরাজিত হয়ে বিদায় নিতে হয়েছিল জোকোভিচকে। অথচ তার আগে দোহা, অস্ট্রেলিয়ান ওপেন, ইন্ডিয়ান ওয়েলস এমনকি মিয়ামি মাস্টার্সের শিরোপা নিজের করে নেন তিনি। রবিবার এ্যান্ডি মারেকে পরাজিত করে চলতি বছরের পঞ্চম শিরোপা নিজের শোকেসে তুলেন বিশ্ব টেনিস র‌্যাংকিংয়ের নাম্বার ওয়ান এই তারকা। মন্টে কার্লো মাস্টার্সে হারের পর আবারও স্বরুপে ফিরতে পেরে জোকোভিচ খুবই আনন্দিত। এ সম্পর্কে ১১টি গ্র্যান্ডসøাম জয়ের মালিক বলেন, ‘মৌসুমের প্রথম চার মাস আমার দারুন কেটেছে। মন্টে কার্লোতে একটু আগে ভাগেই বিদায় খেলারই একটি অংশ। সে কারনেই নিজেকে আবারও মেলে ধরতে কিছুটা সময়ের প্রয়োজন ছিল। সেজন্য পুনরায় নিজেকে প্রস্তুত করার জন্য তিন সপ্তাহ যথেষ্ঠ ছিল। পুরো প্রস্তুতি নিয়েই আমি মাদ্রিদে খেলতে আসি। এখানকার কন্ডিশনের সাথে মানিয়ে নিতে একটু আগেই আমি মাদ্রিদে চলে এসেছিলাম। অবশ্যই রোম ও ফ্রেঞ্চ ওপেনে যাবার আগে দারুন কিছু সময় এখানে কাটিয়ে গেলাম। আত্মবিশ্বাসও বেশ খানিকটা বেড়েছে।’ নাদাল-জোকোভিচের লড়াইটা দীর্ঘদিনের। গত ১৩ বারের মোকাবেলায় এই নিয়ে ১২ বার মারের বিপক্ষে জয়ী হলেন জোকোভিচ। চলতি বছরে এটা জোকোভিচের পঞ্চম শিরোপা। ১৯৮৭ সালে এক সপ্তাহের ব্যবধানে জন্ম নেন জোকোভিচ ও মারে। ২০০৬ সালে মাদ্রিদের চতুর্থ রাউন্ডে প্রথমবারের মতো একে অপরের মুখোমুখি হয়েছিলেন তারা। তখন মাদ্রিদ ওপেন খেলা হতো হার্ডকোর্টে। সেই সময়ই প্রথম জয় দিয়ে মারের বিপক্ষে আধিপত্য শুরু করেছিলেন জোকোভিচ। এবার ছিল তাদের প্রথম লড়াইয়ের এক দশক পূর্তি। এবারও মারের বিপক্ষে সেই আধিপত্য ধরে রেখেছেন জোকোভিচ। অবিশ্বাস্যই বলতে হয়। প্রকৃতপক্ষে টেনিস কোর্টে দুর্দান্ত গতিতেই ছুটছেন নোভাক জোকোভিচ। গত মৌসুমেও কোর্টে তার রাজত্ব দেখেছে টেনিস বিশ্ব। চার গ্র্যান্ডসøাম টুর্নামেন্টের তিনটিতেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, ২০১১ সালেও একই মৌসুমে তিনটি গ্র্যান্ডসøাম জয়ের রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি। টেনিস ইতিহাসের ষষ্ঠ পুরুষ খেলোয়াড় হিসেবে একই ক্যালেন্ডারে তিন গ্র্যান্ডসøাম জয়ের স্বাদ পেয়েছিলেন ৬৪টি শিরোপা জেতা নোভাক জোকোভিচ। এই মৌসুমেও পারফর্মেন্সের ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের শিরোপা জেতা জোকোভিচের লক্ষ্য এখন আগামী মাসেই শুরু হতে যাওয়া ফ্রেঞ্চ ওপেনে। যেখানে গত মৌসুমে স্টানিসøাস ওয়ারিঙ্কার কাছে হেরে ছিটকে পড়েন তিনি। মাদ্রিদ মাস্টার্স জিতেই শীর্ষ বাছাই জানিয়ে দিলেন সেরা ফর্ম নিয়েই রোঁলা গ্যাঁরোয় যাবেন তিনি। তবে মারে ভক্তদের জন্য দুঃসংবাদ হলো জোকোভিচের কাছে হারায় টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের দ্বিতীয় স্থান থেকে ছিটকে গেলেন বৃটিশ তারকা। তার জায়গা দখল করে নিয়েছেন সুইজারল্যান্ডের জীবন্ত কিংবদন্তি রজার ফেদেরার। তবে মাদ্রিদে হারলেও প্রতিপক্ষের পারফর্মেন্সের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন মারে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘শুরু থেকেই অবিশ্বাস্য খেলেছে সে। আসলে কখনও কখনও এমনটা হয়।
×