ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

না’গঞ্জে সাত খুন

দুই মামলায় ১১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ ॥ পরবর্তী তারিখ ১৬ মে

প্রকাশিত: ০৬:০২, ১০ মে ২০১৬

দুই মামলায় ১১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ ॥ পরবর্তী তারিখ ১৬ মে

নিজস্ব সংবাদদাতা, নারায়ণগঞ্জ, ৯ মে ॥ নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুনের দু’টি মামলায় আরও ১১ জন জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। সাত খুনে নিহত সিনিয়র আইনজীবী চন্দন সরকারের স্ত্রী অর্চনা সরকার, একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও নিহতদের ময়নাতদন্ত সম্পন্নকারী ৩ সদস্যের চিকিৎসক বোর্ডের আহ্বায়ক এবং নারায়ণগঞ্জ একশ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের ৪ জন চিকিৎসকসহ ১১ জন সাক্ষ্য দেন। আদালত পরবর্তী সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ আগামী ১৬ মে ধার্য করেছেন। আদালত সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল পৌনে তিনটা পর্যন্ত জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালতে মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেন ও র‌্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ২৩ আসামির উপস্থিতিতে ১১ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। সাক্ষ্য গ্রহণের পর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা পর্যায়ক্রমে সাক্ষীদের জেরা করেন। সাক্ষ্য গ্রহণ ও জেরা শেষে আদালত আগামী ১৬ মে পরবর্তী সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ ও জেরার তারিখ ধার্য করেন। এই নিয়ে ৭ খুনের দুটি মামলায় মোট দুই মামলার বাদী ও দুইজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটসহ ৪৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হলো। এর আগে সকাল সাড়ে নয়টার মধ্যে সাত হত্যা মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেন, র‌্যাব-১১-এর সাবেক অধিনায়ক লে. কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, কমান্ডার এম এম রানা ও মেজর আরিফ হোসেনসহ ২৩ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী এ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন জানান, ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ ও জেরা করা হয়েছে। তারা হলেন- সাত খুনের ঘটনায় নিহত আইনজীবী চন্দন সরকারের স্ত্রী অর্চনা সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজিমুল আহসান, নিহত তাজুলের বাবা আবুল খায়ের, নিহত সিরাজুল ইসলাম লিটনের বড় ভাই সাইফুল ইসলাম মিন্টু, নিহত নজরুল ইসলামের আত্মীয় আকতার হোসেন, ডাঃ জলিল আহমেদ, ডাঃ আসাদুজ্জামান, ডাঃ শেখ ফরহাদ, ডাঃ মাঈনুদ্দিন, কনস্টেবল আবদুল লতিফ ও নিহত চন্দন সরকারের আত্মীয় মাধব দেব।
×