ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

হবিগঞ্জে শিশু হত্যার দায়ে পাঁচজনের ফাঁসি

প্রকাশিত: ০৪:৩৭, ১০ মে ২০১৬

হবিগঞ্জে শিশু হত্যার দায়ে পাঁচজনের ফাঁসি

নিজস্ব সংবাদদাতা, ৯ মে, হবিগঞ্জ ॥ বানিয়াচঙ্গের পল্লী আগুয়ায় পৈত্রিক সম্পত্তি সংক্রান্ত সৃষ্ট জটিলতা নিয়ে চাঞ্চল্যকর শিশু জিয়াউল হত্যাকা- মামলার রায়ে ৫ জনকে ফাঁসির দ-ে দ-িত করেছে আদালত। দ-িতরা হলেনÑ রঞ্জু মিয়া, রেনু মিয়া, আহাদ মিয়া, হাবিব মিয়া ও হত্যাকা-ের শিকার শিশুর সৎভাই আলী হায়দার। সোমবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মাফরোজা পারভীন এ রায় দেন। উল্লেখ্য, সম্পত্তি নিয়ে আগুয়া গ্রামের মৃত মিরাজুল ইসলামের তের বছর বয়সী শিশুপুত্র জিয়াউল হকের সঙ্গে সৎভাই আলী হায়দারের দ্বন্দ্ব চলছিল। এর জের ধরে ১৯৯৪ সালের ১৩ মে স্থানীয় পাচা সিঙ্গার হাওড়ে নিয়ে জিয়াউলকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। টাঙ্গাইলে স্বামী নিজস্ব সংবাদদাতা টাঙ্গাইল থেকে জানান, স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত। দ-িত ব্যক্তির নাম আবুল হোসেন। সোমবার টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শরিফ উদ্দিন আহমেদ এ রায় প্রদান করেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার অপর আসামি আবুল হোসেনের স্ত্রী জালানী বেগমকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত। বাগেরহাটে দুইজনের যাবজ্জীবন স্টাফ রিপোর্টার বাগেরহাট থেকে জানান, আল আমিন শেখ বাপ্পা নামের এক কলেজছাত্রকে হত্যার দায়ে দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়েছে আদালত। সোমবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১ আদালতের বিচারক জাকারিয়া হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন। একই সাথে আদালত দ-প্রাপ্ত প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদ- দেন। গৃহকর্ত্রীর ঢেলে দেয়া গরম পানিতে ঝলসে গেল রুজিনা নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা, ৯ মে ॥ সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বেলকা ইউনিয়নের বেকির চর গ্রামের গৃহকর্মী রুজিনা আকতার ঢাকার সাভারে কাজ করার সময় গৃহকর্ত্রীর নিক্ষিপ্ত গরম পানিতে দগ্ধ হয়ে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে এখন চিকিৎসাধীন। রবিবার দুপুরে পরিবারের লোকজন গাইবান্ধা সদর আধুনিক হাসপাতালে তাকে ভর্তি করে। হাসপাতালের বেডে সে এখন অসহ্য যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে। মেয়েটি আট মাস আগে সাভার পৌরসভার কর্মচারী রুবেল মিয়ার বাসায় কাজের মেয়ে হিসেবে যোগ দেয়। রুবেল মিয়া ও তার স্ত্রী শাহনাজ বেগম দু’জনেই চাকরিজীবী হওয়ায় মেয়েটিকে বাড়িতে দরজা-জানালা বন্ধ করে তালা দিয়ে রাখতেন। এতে রুজিনা হাঁফিয়ে উঠেছিল। সে তখন ওই বাড়িতে কাজ করতে অস্বীকৃতি জানায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রুবেল মিয়া ও তার স্ত্রী শাহনাজ মেয়েটির ওপর শারীরিক নির্যাতন করে। গত শুক্রবার রুজিনা বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়তে চাইলে গৃহকর্ত্রী শাহনাজ বেগম ক্ষিপ্ত হয়ে তার শরীরে গরম পানি ঢেলে দেয়।
×