ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

শেবাচিমে পানীয় জলের তীব্র সংকট ॥ দুর্ভোগে রোগী

প্রকাশিত: ২৩:৫৭, ৯ মে ২০১৬

শেবাচিমে পানীয় জলের তীব্র সংকট ॥ দুর্ভোগে রোগী

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ দক্ষিণাঞ্চলের সর্ববৃহৎ চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের সামনের চারটি গভীর নলকূপের মধ্যে দুটি নলকূপ গত চারদিন ধরে বিকল হয়ে পড়ায় পানীয় জলের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এতে করে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সহস্রাধীক রোগী ও তাদের স্বজনেরা। সূত্রমতে, প্রতিদিন এ হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন সহস্রাধিক রোগী। রোগীদের সেবা ও পরিচর্যার জন্য তাদের সাথে থাকা স্বজনের সংখ্যাও থাকেন প্রায় সমপরিমাণ। এ পরিমাণ রোগী ও স্বজনদের বিশুদ্ধ পানি সংগ্রহের অবলম্বন হচ্ছে হাসপাতালের প্রধান ফটকের দু’পাশে স্থাপন করা চারটি গভীর নলকূপ। অথচ চারটি নলকূপের মধ্যে দুটি গত চারদিন ধরে বিকল হয়ে আছে। ফলে বিশুদ্ধ পানির জন্য চরম দুর্ভোগে পড়েছেন শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসারত রোগী ও তাদের স্বজনরা। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন একাধিক রোগীর স্বজনেরা জানান, হাসপাতালের ওয়ার্ডে পানি সরবরাহের ব্যবস্থা থাকলেও সেগুলো খাবার উপযোগী নয়। তাই তাদের বিশুদ্ধ পানি নিতে হয় বাইরের নলকূপ থেকে। চারটি নলকূপের দুটি গত চারদিন ধরে বিকল থাকায় সচল দুটির পাশে সবসময় ভিড় লেগেই থাকে। এক বোতল পানি নেবার জন্য ১৫/২০ মিনিট রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। তারা আরও জানান, রোগীর ওয়ার্ড থেকে নলকূপের দূরত্ব পায় ২ থেকে ৩’শ মিটার। ৪/৫ তলা থেকে নেমে নলকূপের কাছে এসে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। গত কয়েকদিনের তীব্র তাপদাহের কারণে পানি সংগ্রহকারীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। হাসপাতালে পানি সরবরাহ ও লাইন রক্ষাণাবেক্ষণের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান হচ্ছে গণপূর্ত বিভাগের মেডিকেল উপ-বিভাগ। ওই ইউনিটের সিভিল শাখার অফিস সহকারী লুৎফর রহমান বলেন, গত সোমবার বিকেলে দুটি নলকূপ বিকল হয়ে গেছে। সংস্কার করার জন্য মালামাল কেনা হচ্ছে। তিনি বলেন, এতবড় হাসপাতালের জন্য চারটি গভীর নলকূপ যথেষ্ট নয়। ফলে সারাদিন চাপাচাপি করার কারণে নলকূপগুলোর পানি তোলার ওয়াসারসহ অন্যান্য সরঞ্জাম প্রায়ই বিকল হচ্ছে। শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ এসএম সিরাজুল ইসলাম জানান, হাসপাতালে আগে নলকূপ ছিল মাত্র একটি। সম্প্রতি সময়ে আরও তিনটি নলকূপ স্থাপন করায় রোগী ও স্বজনদের দুর্ভোগ কিছুটা লাঘব হয়েছে। তবে আরও নলকূপের প্রয়োজন রয়েছে। তিনি বলেন, মাত্র চারটি নলকূপ থাকায় অতিরিক্ত চাপের কারণে প্রায়ই একটি-দুটি বিকল থাকছে। স্থানীয় মাদকাসক্তরা হাতলসহ অন্যান্য সরঞ্জাম চুরি করে নিয়ে যাওয়ার কারণে সবগুলো নলকূপ একসাথে সচল রাখা যাচ্ছে না। বর্তমানে বিকল থাকা দুটি নলকূপ সচল করার জন্য গণপূর্ত বিভাগের প্রকৌশলীকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
×