ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

৮৫ রানে জয়ী সানরাইজার্স হায়দরাবাদ

বিধ্বংসী মুস্তাফিজ, উড়ে গেল মুম্বাই

প্রকাশিত: ০৬:৩৫, ৯ মে ২০১৬

বিধ্বংসী মুস্তাফিজ, উড়ে গেল মুম্বাই

পোর্টস রিপোর্টার ॥ ‘ডিফেন্ডিং’ চ্যাম্পিয়ন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে স্রেফ উড়িয়ে দিল ডেভিড ওয়ার্নার-মুস্তাফিজুর রহমানের সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগে (আইপিএলে) কাল হায়দরাবাদ জিতল ৮৫ রানের বিশাল ব্যবধানে। পরিবর্তিত ভেন্যু বিশাখাপত্তমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ১৭৭ রানের ফাইটিং স্কোর গড়ে হায়দরাবাদ। ১০ চার ও ১ ছক্কায় ৫৭ বলে ৮২ রান করে অপরাজিত থাকেন ওপেনার শিখর ধাওয়ান। সেনাপতি ওয়ার্নার আউট হন ৪৮ রান করে। জবাবে ১৬.৩ ওভারে ৯২ রানে অলআউট হয় মুম্বাই! ৩ ওভারে ১৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন টাইগার কাটার-মাস্টার মুস্তাফিজ। এ নিয়ে টুর্নামেন্টে সর্বাধিক উইকেট শিকারির (১৩) তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এলেন বাংলাদেশী বাঁহাতি পেসার। ১৪ উইকেট নিয়ে শীর্ষে মুম্বাইর কিউই রিক্রুটার মিচেল ম্যাকক্লেনঘান। দারুণ এ সাফল্যে (৯ খেলায় ৬ জয়) কলকাতা নাইট রাইডার্স ও গুজরাট লায়ন্সকে পেছনে ফেলে পয়েন্ট টেবিলের এক নম্বরে উঠে আসে ওয়ার্নারের হায়দরাবাদ। যদিও রাতে এ রিপোর্ট লেখার সময় কলকাতা ও গুজরাট লায়ন্সের খেলা চলছিল। জবাব দিতে নেমে হায়দরাবাদের দুরন্ত বোলিং লাইনআপের সামনে ‘চ্যাম্পিয়ন ইন্ডিয়ান্স শিবির শুরুতেই খেই হারায়। স্কোর বোর্ডে ৩০ রান তুলতে ৫ উইকেট হারিয়ে রীতিমতো ধ্বংসস্তূপে পতিত হয় মুম্বাই! টানা তিন ওভারের স্পেলে মাত্র ১৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে নেতৃত্ব দেন আশিষ নেহরা। ম্যাচসেরাও হয়েছেন অভিজ্ঞ এই ভারতীয় পেসার। তিনি সাজঘরে ফিরিয়েছেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা (৫), আমবাতি রাইডু (৬) ও ইংলিশ জস বাটলারকে (২)। স্রোতের বিপরীতে সর্বোচ্চ ২১ রান করে অপরাজিত থাকেন হরভজন সিং। দলের দশম ও নিজের প্রথম ওভারের প্রথম বলেই হারদিক পান্ডিয়াকে (৭) সাজঘরে ফেরান মুস্তাফিজ। দেন মাত্র ৪ রান। মজার বিষয়, দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই তুলে নেন টিম সাউদিকে! তৃতীয় ওভারের প্রথম বলে চার খেলেও শেষ ডেলিভারিতে ফিরিয়ে দেন ম্যাকক্লেনঘানকে। হয়তো চতুর্থ উইকেটও পেতে পারতেন। কিন্তু নেহরার মতো মুস্তাফিজকেও আর বোলিংয়ে আনেননি অধিনায়ক ওয়ার্নার। শেষ পর্যন্ত ৩ উইকেট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় সেনসেশনাল ‘টাইগার’ বোলারকে! আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মতো আইপিএলেও মুস্তাফিজের শুরুটা হয়েছে স্বপ্নের মতো। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে টুর্নামেন্টে নিজের প্রথম ম্যাচ থেকেই কাটার-সেøায়ারের মায়াজাল বিস্তার করে চলেছেন ‘সেনসেশনাল’ টাইগার পেসার। অভিষেকে ৪ ওভার বল করে ২৬ রান দিয়ে নিয়েছিলেন ২ উইকেট। হারা ম্যাচে তিনিই ছিলেন দলের সেরা বোলার। পরের সাত ম্যাচে মুস্তাফিজের বোলিং দেখুন: ১/২৯, ১/৩২, ১/১৯, ২/৯, ০/২১, ১/৩৪ ও ২/১৭। এর মধ্যে পাঞ্জাবের বিপক্ষে ম্যাচসেরা হওয়ার দিনে ফিগারটা ছিল অবিশ্বাস্য ৪-১-৯-২! আর কাল? ৩-০-১৬-৩!! কোন বিশেষণই মুস্তাফিজের জন্য যথেষ্ট নয়। স্কোর ॥ হায়দরাবাদ ১৭৭/৩ (২০ ওভার; ধাওয়ান ৮২*, ওয়ার্নার ৪৮, যুবরাজ ৩৯, উইলিয়ামসন ২, হেনরিক্স ১*; হরভজন ২/২৯, ম্যাকক্লেনঘান ১/৩৮, সাউদি ০/৩৫) মুম্বাই ৯২/১০ (১৬.৩ ওভার; হরভজন ২১*, কুরনাল পান্ডিয়া ১৭, পোলার্ড ১১, ম্যাকক্লেনঘান ৮, রাইডু ৬, বুমরা ৬, রোহিত ৫; নেহরা ৩/১৫, মুস্তাফিজ ৩/১৬, স্রান ২/১৮, হেনরিক্স ১/১৮, ভূবনেশ্বর ১/২৩) ফল ॥ হায়দরাবাদ ৮৫ রানে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ নেহরা (হায়দরাবাদ)।
×