ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

রমজানে ভেজালমুক্ত দুধ সরবরাহ নিশ্চিত করার উদ্যোগ

প্রকাশিত: ০৫:৪৭, ৯ মে ২০১৬

রমজানে ভেজালমুক্ত দুধ সরবরাহ নিশ্চিত করার উদ্যোগ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আসন্ন রমজানে ভেজালমুক্ত দুধ সরবরাহ নিশ্চিত করতে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। বিশেষ করে মিল্ক ভিটার দুধ নকল করে যেসব কোম্পানি বাজারে প্যাকেটজাত দুধ সরবরাহ করবে, তাদের ইতোমধ্যেই সতর্ক করা হয়েছে। এ সতর্ক অমান্য করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। র‌্যাব জানিয়েছে, বাজারে মিল্ক ভিটার মতো দেখতে অনেকগুলো কোম্পানি তরল দুধ প্যাকেটজাত করে বিক্রি করছে। এগুলো সম্পর্কে ইতোমধ্যে অনুসন্ধান করে চিহ্নিত করা হয়েছে। এখন পালা অভিযানের। রমজানের আগে যে কোন সময় তা শুরু করা হবে। এদিকে, একই ভাবে তৎপর হয়েছে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ। এসব প্যাকেটজাত ভেজাল দুধের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের সচেতন থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান। রবিবার তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এ কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নকল কোম্পানির মোড়ক দেখতে ঠিক মিল্ক ভিটার মতো। নামটা ভিন্ন হলেও লেখার ফন্ট ও রং এক রকম হওয়ায় দূর থেকে মিল্ক ভিটা বলে ভুল হওয়াটা স্বাভাবিক। এভাবেই সমবায়ভিত্তিক আধা-সরকারী প্রতিষ্ঠান মিল্ক ভিটার সুনাম ব্যবহার করে গ্রাহকদের প্রতারিত ও শিশুস্বাস্থ্যের ক্ষতি করছেন এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী। এ ধরনের ১২টি প্রতিষ্ঠানের সন্ধান পেয়েছে সরকার। এসব প্রতিষ্ঠানের বিরদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ। এজন্য র‌্যাবের সহায়তাও চাওয়া হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী প্রাইম, রিয়াল মিল্ক, ডেইরি ফ্রেস, আফতাব মিল্ক, আলট্রা মিল্ক, পিউরা মিল্ক ও মিল্ক ফ্রেস নামে মিল্ক ভিটার মতো দেখতে সাতটি প্যাকেট সাংবাদিকদের সামনে হাজির করেন। মিল্ক ভিটা জীবাণুমুক্ত করে গ্রাহকদের জন্য নিরাপদ দুধ সরবরাহ করে জানিয়ে মশিউর রহমান বলেন, ‘দুধ জীবাণুমুক্ত করে বাজারজাতকরণের মেশিন মিল্ক ভিটা ছাড়া আর দু-একটি কোম্পানির আছে। এসব কোম্পানির কাছে ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করার মতো মেশিন নেই। মিল্ক ভিটা শিশুখাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বয়স্কদেরও মিল্ক ভিটা খাওয়ানো হয়। মিল্ক ভিটা মনে করে এসব দুধ খাওয়ালে ব্যাকটেরিয়া বাচ্চাদের শরীরে ঢুকে ক্ষতি হয়ে যাবে। মিল্ক ভিটার মতো প্যাকেটে দুধ বাজারজাত করে গ্রাহকদের বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। অল্প শিক্ষিত গরিব মানুষ এটা দেখে চিনতে পারবে না। মনে করবে এটাই বোধ হয় মিল্ক ভিটা।’ বাজারে মিল্ক ভিটার মতো ১২ ধরনের প্যাকেটে দুধ বিক্রি হচ্ছে জানিয়ে মশিউর রহমান বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে র‌্যাবের মহাপরিচালকের সঙ্গে কথা বলেছি। প্যাকেটগুলো পাঠিয়ে দিলে তিনি দেখে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন। একই সঙ্গে আমরা আমাদের আইনজীবীদের সঙ্গেও এ বিষয়ে কথা বলব।’ প্যাকেটে বিএসটিআইয়ের লোগো আছে, আমি জানি না বিএসটিআইয়ের অনুমোদন আছে কি-না। সংগ্রহ করা দুধগুলো বিএসটিআইতে পাঠানো হবে পরীক্ষার জন্য। যারা ট্রেডমার্ক দেয় তাদেরও এ বিষয়টি জানাব। কেউ যাতে নকল দুধ তৈরি করতে না পারে আমরা সেদিকে নজর দিয়েছিÑ বলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য রাঙ্গা। এক প্রশ্নের জবাবে সমবায় প্রতিমন্ত্রী জানান, শতভাগ গ্যারান্টি দিতে পারি, মিল্ক ভিটাই একমাত্র রিফাইন করে দুধ বাজারে ছাড়ছে। অন্যরা দুধের সঙ্গে বিভিন্ন জিনিস মিশিয়ে দিচ্ছে। মিল্ক ভিটায় কোনো ধরনের প্রিজারভেটিব ব্যবহার করা হয় না। মিল্ক ভিটা কখনও ভেজাল কিছু তৈরি করবে না।
×