ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে ॥ প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৫:৪১, ৯ মে ২০১৬

শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে সবাইকে একযোগে কাজ করতে  হবে ॥ প্রধানমন্ত্রী

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য শান্তিচুক্তির পুরোপুরি বাস্তবায়নে সব পক্ষকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, কেবল ভূমি সংস্কার ব্যতীত পার্বত্য শান্তিচুক্তির অধিকাংশই বাস্তবায়িত হয়েছে। শান্তিচুক্তি অনুযায়ী সেনা ক্যাম্পগুলোর অধিকাংশই তুলে নেয়া হয়েছে। পার্বত্য অঞ্চলের চারটি জায়গায় কেবল সেনাবাহিনীর চারটি ব্রিগেড থাকবে, বাকিগুলো পর্যায়ক্রমে সব সরিয়ে নেয়া হবে। পার্বত্য অঞ্চলের মানুষ আরও সুন্দরভাবে বসবাস করবেন এবং তাদের আর্থ-সামাজিক আরও উন্নয়ন হবেÑ সেই লক্ষ্য নিয়েই সরকার কাজ করে যাচ্ছে। পাহাড়ের ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তিতে আইন সংশোধনের ওপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভূমি সংস্কার কমিশন বার বার গঠন করা হচ্ছে। কিন্তু এই কমিশনের কাজটা ঠিকমতো হচ্ছে না। সরকার ভূমি সংস্কারের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি কমিশন একাধিকবার গঠন করলেও কমিশনের কাজ সন্তোষজনকভাবে এগোয়নি। কারণ সেখানে কিছুটা অবিশ্বাস এবং দ্বিধা-দ্বন্দ্ব কাজ করছিল। তবে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই এই অবস্থা থেকে উত্তরণ সম্ভব। পাবর্ত্য চট্টগ্রাম আইন-২০০১-এর কতিপয় সংশোধনী দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, চুক্তি বাস্তবায়নে দু’পক্ষকেই বসে ঠিক করতে হবে। ২০০১ সালে আমরা যে আইনটা করেছিলাম, সেখানে তারা কিছু সংশোধন ছেয়েছেন। এ বিষয়ে পর্যালোচনা চলছে এবং দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব এবং সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে সম্ভব সবকিছু করতেই সরকার প্রস্তুত রয়েছে। তিনি প্রশ্ন করেন, প্রাকৃতিক সৌন্দয্যের লীলাভূমি পার্বত্য চট্টগ্রামে কেন অশান্তি থাকবে? রবিবার রাজধানীর বেইলি রোডে অফিসার্স ক্লাবের পার্শ্ববর্তী স্থানে নির্দিষ্ট দুই একর জমির ওপর পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স নির্মাণের ভিত্তিফলক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। ইতোমধ্যে জিডিপি ৭ শতাংশ অতিক্রম করেছে। সবাই যার যার অবস্থান থেকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে জাতির পিতার আজন্ম লালিত স্বপ্ন ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়তে সক্ষম হব ইনশাল্লাহ। প্রধানমন্ত্রী বলেন, পার্বত্যাঞ্চলে এক সময় সংঘাত ছিল। পাহাড়ী অঞ্চলে রক্ষক্ষয়ী সংঘর্ষে হয়েছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর সেই সংঘাত বন্ধে শান্তিচুক্তি করে। যদিও শান্তিচুক্তি এত সহজ ছিল না। এখন সেই পরিস্থিতি নেই। শান্তিচুক্তির অধিকাংশ ধারা আমরা বাস্তবায়ন করেছি। পার্বত্য শান্তিচুক্তির সময় বিএনপির বিরোধিতার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি সেই শান্তিচুক্তির বিরোধিতা করেছিল। চুক্তির দিন তারা হরতাল পর্যন্ত ডেকেছিল। পার্বত্য শান্তিচুক্তির অংশ হিসেবে যখন অস্ত্র সমর্পণের আয়োজন করা হয়, তখন বিএনপি হরতাল ডেকে বলেছিল অস্ত্র সমর্পণ করা যাবে না। বিএনপি নেত্রী সে সময় বলেছিলেন, এই চুক্তি হলে নাকি ফেনী থেকে পুরো পার্বত্যাঞ্চল ভারতের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে! অবশ্য তাঁর জন্ম ভারতে বলেই হয়ত এমন কথা বলেছেন। তিনি বলেন, দেশের ভেতর থেকেই এই চুক্তির বিরোধিতা হয়েছে। কেন হয়েছে তাও জানি না, তবু সেই চুক্তি হয়েছে। আর এ কারণে পার্বত্যাঞ্চলে শান্তি ফিরে এসেছে। তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের অধিবাসীরাও বাংলাদেশের নাগরিক। সুতরাং সরকার ওই অঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ, বিদ্যুত খাত এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নয়নে ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ১৯৭০ সালে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে ভ্রমণের সময় পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে এই এলাকার ভূ-বৈচিত্র্য, নৈসর্গিক সৌন্দর্য এবং সেখানে বসবাসকারী নানা সম্প্রদায়ের বিষয়ে জানার সুযোগ হয়। যা তাঁকে এ অঞ্চলের জনগণের কল্যাণে কার্যক্রম গ্রহণে অনুপ্রাণিত করে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের সকল জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি, অবকাঠামোসহ বিভিন্ন খাতের সুষম উন্নয়নের মাধ্যমে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এ অঞ্চলের মানুষের মধ্যে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যেই আমরা শান্তিচুক্তি করি। যে চুক্তির মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামে সৃষ্ট দু’দশকের বেশি সময় ধরে চলমান রক্তক্ষয়ী সংঘাতের অবসান হয়। তিনি বলেন, ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের পর অনেক সরকারী দফতর পার্বত্য এলাকায় স্থাপিত হয়েছে, বেড়েছে কাজের সুযোগ। পার্বত্যবাসীর জীবনমানের উন্নয়ন হয়েছে। ঢাকা ও অন্যান্য শহরে পার্বত্যবাসীর যাতায়াত বেড়েছে। তিনি বলেন, ঢাকায় অবস্থানের জন্য এতদিন তাদের নিজস্ব কোন ভবন ছিল না। রাজধানীতে পার্বত্য চট্টগ্রামবাসীর জন্য একটি ঠিকানা করে দেয়ার বিষয়টি মাথায় রেখেই ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স’ নির্মাণের জন্য বেইলি রোডে দুই একর জমি বরাদ্দ দেয়া হয়। এ কমপ্লেক্সে এসে পার্বত্য অঞ্চলের মানুষ যেন বুঝতে পারে, এটাই তাদের এলাকা। সেভাবেই এই কমপ্লেক্স করা হচ্ছে উল্লেখ করে কমপ্লেক্সটির কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত গণপূর্ত মন্ত্রীকে তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী বলেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, এই কমপ্লেক্স জাতীয় মূল স্রোতধারার সঙ্গে পার্বত্যবাসীকে যুক্ত করার কেন্দ্র হিসেবে ভূমিকা পালন করবে। শেখ হাসিনা বলেন, শান্তিচুক্তির স্বাক্ষরের পর আওয়ামী লীগ সরকারের সময় পার্বত্যবাসীর জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে তিনটি পার্বত্য জেলায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে ১ হাজার ৩৬৯ কিলোমিটার রাস্তা হচ্ছে। তিন পার্বত্য জেলায় ৮৭৩ কিলোমিটার বিদ্যুত সঞ্চালন লাইন নির্মাণ ও প্রত্যেক ঘরে বিদ্যুত পৌঁছানোর জন্য ৮৭৯ কোটি টাকার প্রকল্প নেয়া হয়েছে। কারিগরি প্রতিষ্ঠান করা হয়েছে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন কর্মসূচী বাস্তবায়ন করা হয়েছে। থ্রি জি সুবিধাসহ মোবাইল নেটওয়ার্ক সম্প্রসারিত হয়েছে। তিনি বলেন, পাহাড়ী জনগণের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের মানোন্নয়নে রাঙ্গামাটিতে একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং একটি মেডিক্যাল কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছি। পার্বত্য চট্টগ্রামের সার্বিক উন্নয়নের জন্য ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় উন্নয়ন কৌশল ও অগ্রাধিকার নির্ধারণের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদী উন্নয়ন কর্মসূচী গ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। পার্বত্যাঞ্চলের উন্নয়নেও কাজ করছি। এ অঞ্চলে পর্যটকরা যেন আরও বেশি আকৃষ্ট হন, সেজন্য ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। পার্বত্য জনগণের শিক্ষার প্রসারে সরকারের পদক্ষেপ তুলে ধরতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে মাতৃভাষার শিক্ষাদানের জন্য বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর ভাষায় বর্ণমালা সংরক্ষণ এবং নিজ নিজ ভাষায় শিক্ষাদানের কাজ শুরু হয়েছে। প্রত্যন্ত এলাকায় হোস্টেলসহ পর্যাপ্ত সংখ্যক বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয় স্থাপন হবে। দুর্গম এই এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা হলেই তা আবাসিক প্রতিষ্ঠান হবে। এ অঞ্চলের জন্য পুলিশ বাহিনীতে কনস্টেবল থেকে এএসআই পদমর্যাদার চাকরিতে ৫০ ভাগ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কোটা সংরক্ষণ করা হচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিন পার্বত্য জেলায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ইনস্টিটিউটগুলো পার্বত্য অঞ্চলের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ধারা ও ঐতিহ্য এবং স্বকীয়তা সমুন্নত রাখতে সচেষ্ট রয়েছে। বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালে প্রথমবারের মতো সার্কেল চিফদের ১ হাজার টাকা এবং হেডম্যানদের ১০০ টাকা হারে সম্মানীভাতার প্রচলন করেছিলেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরাই সার্কেল চিফের সম্মানী ১০ হাজার টাকা, হেডম্যানদের সম্মানী ১ হাজার টাকা এবং কারবারিদের সম্মানী ৫০০ টাকায় উন্নীত করেছি। বিভিন্ন মৌজায় হেডম্যানদের অফিস তৈরি করে দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন উপলক্ষে তাঁকেও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের মানুষ আরও সুন্দরভাবে বসবাস করবেন এবং তাদের আর্থ-সামাজিক আরও উন্নয়ন হবেÑ সেই আশাই আমরা পোষণ করি। কারণ রাস্তাঘাট আছে, উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করার ব্যবস্থা হয়েছে। কাজেই আর্থ-সামামাজিক উন্নয়ন আরও দ্রুততর হবে এবং বিভিন্ন জায়গায় পর্যটন কেন্দ্রও গড়ে তোলার আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। তিনি বলেন, ওই এলাকাটা এত চমৎকার জায়গা তা যেন পর্যটকদের জন্য দেখার মতো হয় সে ব্যবস্থা আমরা করে দিয়েছি। এই অঞ্চলটাকে আরও সুন্দরভাবে গড়ে তোলার জন্য আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি। সেখানে তরিতরকারি, ফল-মূল, হাঁস-মুরগি পালনসহ বিভিন্ন অর্থনৈতিক কর্মকা- যেন ব্যাপকভাবে হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ সার্বিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়নের এই অভিযাত্রায় তিনি পার্বত্যবাসীকেও একই গতিতে শামিল করতে চান। অনুষ্ঠানের শুরুতেই জনসংহতি সমিতির সভাপতি ও চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা) বলেন, পার্বত্য শান্তিচুক্তির পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন না হওয়ার কারণে পার্বত্য অঞ্চলের সার্বিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল, উদ্বেগজনক ও হতাশাব্যঞ্জক। অবিশ্বাস ও সন্দেহের দূরত্ব ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে; পার্বত্যবাসীর মনে হতাশা ও নিরাশা চেপে বসেছে। তবে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, প্রধানমন্ত্রীর বিচক্ষণ নেতৃত্বে যেমন পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স নির্মাণ সম্ভব হলো, তেমনিভাবে তাঁর বিজ্ঞ ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে চুক্তির যথাযথ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যারও যথাযথ সমাধান হতে পারে। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈ সিংয়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন পরীবিক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক এবং জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী এমপি, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মুক্তাদির চৌধুরী, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নববিক্রম কিশোর ত্রিপুরা প্রমুখ। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রায় দুই একর জমির ওপর নির্মাণাধীন এই পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স প্রকল্পে ৬ তলা ভবন, মাল্টি পারপাস হল, ডরমেটরি, প্রশাসনিক ভবন, জাদুঘর, লাইব্রেরী, ডিসপ্লে সেন্টার, থিয়েটার হল, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর বাসভবন, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যানের বাসভবন থাকবে। অনুষ্ঠানে পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্সের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় অংশে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রকাশিত ‘চিটাগং হিল ট্রাক্টস ঃ লং ওয়াক টগ পিস এ্যান্ড ডেভলপমেন্ট’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন।
×