ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

তিন ধর্ষক আটক

গাজীপুরে পোশাক শ্রমিককে দু’দিন আটকে রেখে গণধর্ষণ

প্রকাশিত: ০৮:৫৮, ৪ এপ্রিল ২০১৬

 গাজীপুরে পোশাক  শ্রমিককে দু’দিন  আটকে রেখে  গণধর্ষণ

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাজীপুর, ৩ এপ্রিল ॥ বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গাজীপুরে পোশাক শ্রমিক এক কিশোরীকে দু’দিন আটকে রেখে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় রবিবার বিকেলে পুলিশ এক নারীসহ ৪ জনকে আটক করেছে। আটককৃতরা হলো গাজীপুরের জয়দেবপুর থানার কোনাবাড়ি হরিণাচালা এলাকার মোঃ খোরশেদ আলমের ছেলে নাহিদ (২৮) ও আব্দুর রহিমের ছেলে শেখ শহিদুল ইসলাম শহিদ (২৬), একই থানার আমতলা এলাকার মোজাম্মেলের স্ত্রী মুদি দোকানদার মুক্তা বেগম (৩০) এবং পাবনা জেলার ঈশ্বরদী থানার মানিক গ্রামের মোঃ মজিবুর রহমানের ছেলে লন্ড্রি ব্যবসায়ী সুজন (৩০)। ধর্ষিতার মা জানান, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের কোনাবাড়ি এলাকার হরিণাচালার আমতলায় বিল্লাল শিখদারের বাড়িতে স্বামী ও দুই সন্তানকে নিয়ে তিনি ভাড়া থাকেন। তাদের গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জে। গত কিছুদিন যাবত স্থানীয় লন্ড্রি মালিক সুজন তার কিশোরী মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। সুজন পূর্বে বিবাহ করায় এবং তার একাধিক সন্তান থাকায় কিশোরীর পরিবারটি বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ওই কিশোরীটিকে বিয়ের ব্যবস্থা করে দেয়ার জন্য সুজন স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতা শহিদ ও নাহিদের স্মরণাপন্ন হয়। এরপর তাদের পরামর্শ অনুযায়ী বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে কথা আছে বলে স্থানীয় মুদি দোকানদার মুক্তা বেগম ওই কিশোরীকে ওই এলাকার সুমনদের সাত তলা ভবনের সপ্তম তলার একটি কক্ষে নিয়ে যায়। সেখানে কিশোরীটিকে কৌশলে কক্ষে রেখে বাইরে থেকে তালা দিয়ে চলে আসে মুক্তা বেগম। রাতে নাহিদ, শহিদ ও সুজন ওই বাড়িতে গিয়ে কিশোরীটিকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরদিন শুক্রবারও তারা ওই বাসায় গিয়ে একইভাবে কিশোরীটিকে ফের ধর্ষণ করে। শনিবার তারা ধর্ষণের শিকার কিশোরীটিকে ছেড়ে দেয়। ধর্ষকদের মধ্যে শহিদ গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ি এলাকার ৮নং ওয়ার্ডের যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী এবং নাহিদ একই ওয়ার্ডের ছাত্রলীগ নেতা।
×