ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

শেরপুরের ৩ উপজেলার ১৬ ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ চলছে

প্রকাশিত: ২১:৪৪, ৩১ মার্চ ২০১৬

শেরপুরের ৩ উপজেলার ১৬ ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ চলছে

নিজস্ব সংবাদদাতা, শেরপুর ॥ দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৩১ মার্চ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শেরপুর সদরে ১ টি, নকলায় ৯ টি ও শ্রীবরদী উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ভোট গ্রহণ চলছে। ১৬ টি ইউনিয়নের মধ্যে নকলা উপজেলার গণপদ্দী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শামছুর রহমান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় এখন ১৫ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে ৬৪ জন প্রার্থী এবং ১৬ ইউনিয়নে সাধারণ সদস্য পদে ৪৯৫ জন প্রার্থী ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১৭১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১৬ ইউনিয়নের মোট ভোটার হলো ২ লক্ষ ২৯ হাজার ৫৪৭ জন। এরমধ্যে পুরুষ ১ লক্ষ ১৪ হাজার ৩৭২ জন এবং মহিলা ভোটার সংখ্যা হলো ১ লক্ষ ১৫ হাজার ১৭৫ জন। এখানে মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১৪৬ টি। বিভিন্ন ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থীরা মাঠে থাকায় প্রথমতঃ ব্যাপক সহিংতার আশংকা করা হলেও প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলার সাথে জড়িত বিভিন্ন পর্যায়ের কঠোর নজরদারির কারণে স্থানীয় মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে কয়েকটি কেন্দ্রে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া বলা যায়, শান্তিপূর্ণভাবেই ভোটগ্রহণ হচ্ছে। সকাল ৯টার দিকে নকলা উপজেলার উরফা ইউনিয়নের বারমাইসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দেখা যায়, পুরুষের পাশাপাশি নারী ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিতি। তারা সু-শৃঙ্খলভাবে সারিবদ্ধ হয়ে লাইনে দাড়িয়ে ভোট দিতে ঢুকছেন। এ কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ১৮০১। তখন পর্যন্ত ৪টি বুথে ভোট পড়েছে প্রায় ৩শ’র মতো। এ কেন্দ্রটি বিএনপি প্রার্থী হাজী রোস্তম আলীর নিজ এলাকার হলেও এখানকার ভোটাররা আওয়ামী প্রার্থী রেজাউল হক হীরা ও বিদ্রোহী প্রার্থী নুরে আলম তালুকদার ভুট্টোর চশমা প্রতীকের দিকে বেশি ধাবমান। যে কারণে কেন্দ্রটি অধিক ঝুকিপূর্ণ হওয়ায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতসহ পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবির স্ট্রাইকিং ফোর্স পুনঃপুনঃ নজর রাখছে কেন্দ্রটির প্রতি। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শ্রীবরদী উপজেলার খরিয়াকাজীরচর ইউনিয়নের উক্তর খরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দেখা যায় অনেক বিশৃঙ্খলা। ভোটারদের লাইনের কোন বালাই নেই। কেন্দ্রের ভেতরেও চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থীদের কর্মী ও ভোটারদের ব্যাপক জটলা। এছাড়া শ্রীবরদী সদর ইউনিয়নের মামদামারী দাখিল মাদ্রাসা, আবুয়ারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দহেরপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সুন্দর পরিবেশে ভোটগ্রহণ চললেও নয়ানী শ্রীবরদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দেখা যায় ভিন্ন পরিবেশ। এখানে ভোটাররা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকলেও তাদের কেন্দ্রে প্রবেশ করানো হচ্ছে খুব ধীরগতিতে। এখানে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে একজন ভোটারের হাতে ১০/১৫টি করে ব্যালট দিয়ে বাক্সে ফেলার অভিযোগ উঠলেও তা অস্বীকার করেন প্রিজাইডিং অফিসার ফরহাদ আলী। আর এ ইউনিয়নের মরিচাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আব্দুল হালিম ডাক্তার ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মুরাদুজ্জামানের সমর্থকদের মধ্যে সকাল ১০টার দিকে গোলযোগের কারণে প্রায় ১ ঘন্টা ভোটগ্রহণ স্থগিত ছিল। আর কাকিলাকুড়া ইউনিয়নের কয়েকটি কেন্দ্রে চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থক ও মেম্বার প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে দুপুরের পর থেকেই টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে।
×