ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

তালতলীতে কোস্টগার্ড সদস্যদের বিরুদ্ধে নারী জেলেদের মারধর ও অপহরনের অভিযোগ

প্রকাশিত: ২১:৩০, ৩১ মার্চ ২০১৬

তালতলীতে কোস্টগার্ড সদস্যদের বিরুদ্ধে নারী জেলেদের মারধর ও অপহরনের অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, আমতলী (বরগুনা) ॥ বরগুনার তালতলী উপজেলার তেতুলবাড়িয়া এলাকা-সংলগ্ন পায়রা নদীতে নিষিদ্ধ জাল দিয়ে চিংড়ি রেণু পোনা জব্দ করতে গিয়ে কোস্টগার্ড সদস্যরা স্থানীয় কয়েকজন নারী জেলেকে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। জোবায়দা বেগম (৪৫) ও কদভানু বেগম (৫০) নামের আহত দুই নারীকে প্রথমে তালতলী পরে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে । অপরদিকে প্রতিবাদী নারী জেলে আসমা (২৭) নিখোঁজের দু’দিন পরেও কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি বলে পরিবার দাবী করেছে। প্রত্যক্ষদর্শী জেলেরা অভিযোগ করেন, বুধবার সকাল ১১ টার দিকে তালতলী উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের তেঁতুলবাড়িয়া গ্রামের জেলেরা পায়রা নদীতে নিষিদ্ধ নেট জাল দিয়ে চিংড়ি রেণু পোনা ধরছিল। এসময় কোস্টগার্ডের সখিনা ক্যাম্পের ৭-৮ জন সদস্য একটি ট্রলারে আসে এবং জাল জব্দ করে ট্রলারে তুলে নেয়। এ সময় মহিলা জেলে জোবায়দা বেগম, কদভানু ও আসমা তাতে বাঁধা দেয়। এতে কোস্টগার্ড সদস্যরা আসমা , জোবায়দা ও কদভানুকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। পরে আসমা ও জোবায়দাকে ট্রলারে তুলে নিয়ে যায়। দুপুর ১২ টার দিকে জোবায়দাকে তেতুলবাড়িয়া ভাঙ্গন এলাকার বালুচর থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় জেলেরা উদ্ধার করে। অপর নারী জেলে আসমাকে দু’দিনেও খোঁজ পাচ্ছে না বলে পরিবার দাবী করেছে। স্থানীয় চৌকিদার সেলিম মিয়া জানান আসমাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজা হচ্ছে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত কোন খোঁজ মেলেনি। স্থানীয় ইউপি সদস্য সেলিম মাতুব্বর জানান,‘আহত জোবায়দা ও কদভানুকে উদ্ধার করে আমি তালতলী হাসপাতালে নিয়ে আসি। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁদের বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করাই। জোয়াদার ডান হাত ভেঙে গেছে, বাঁ হাতে গুরুতর জখম হয়েছে এবং মাথা ফেটে গেছে। কদভানুরও মাথা ফেটে গেছে ও দুই হাত এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত রয়েছে। জোবায়দার বোনের মেয়ে আসমা নিখোঁজ রয়েছে। কোস্টগার্ডের সখিনা ক্যাম্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত কমান্ডার মোঃ শামীম বলেন ‘আমরা অবৈধ জাল ধরার জন্য সেখানে গিয়েছিলাম। জাল জব্দ করার সময় একজন নারী তড়িঘড়ি করে আমাদের ট্রলারে ওঠার সময় পড়ে গিয়ে মাথায় সামান্য আঘাত পান। পরে তাঁকে আমরা কিনারে নামিয়ে দিই। কিন্তু কাউকে আমরা মারধর করিনি। কোন নারীকে ট্রলারে তুলে নেয়ার প্রশ্নই আসেনা।
×