ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

আয়েশা ফয়েজ সাহিত্য পুরস্কার পেলেন সোনালী ও তামান্না

প্রকাশিত: ০৬:৪৪, ৩১ মার্চ ২০১৬

আয়েশা ফয়েজ সাহিত্য পুরস্কার পেলেন সোনালী ও তামান্না

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জনপ্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদের মা আয়েশা ফয়েজের নামে প্রবর্তিত পুরস্কার ‘আয়েশা ফয়েজ সাহিত্য পুরস্কার’ পেলেন সাহিত্যিক সোনালী ইসলাম ও তামান্না সেতু। প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান তাম্রলিপি এ পুরস্কার প্রবর্তন করেছে। বুধবার বিকেলে বাংলা একাডেমির শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে এ পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খানের সভাপতিত্বে এতে অতিথি ছিলেন শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন, মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামাল এবং আয়েশা ফয়েজের আরেক ছেলে জনপ্রিয় সাহিত্যিক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল। সভাপতির বক্তব্যে শামসুজ্জামান খান বলেন, জীবন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ছয়টি সন্তানকে মানুষ করার গৌরব অর্জন করেছেন আয়েশা ফয়েজ। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যে সন্তানদের, যে পরিবারকে তিনি প্রতিষ্ঠা দিয়ে গেছেন তা আমাদের দেশের বুদ্ধিবৃত্তিক চেতনায় উজ্জীবিত করে চলেছে। প্রাতিষ্ঠানিকতার বৃত্তের বাইরে যে রেখকরা রয়েছেন তাদের তুলে ধরার প্রয়াস দেখছি। এটা বিস্ময়কর উদ্যোগ। মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামাল বলেন, আয়েশা ফয়েজ লেখিকা, একজন মা, সেই সঙ্গে নারী মুক্তিযোদ্ধাও। মুক্তিযুদ্ধে নারী মুক্তিযোদ্ধাদের সেভাবে স্বীকৃতি দেয়া হয়নি। মুক্তিযুদ্ধটা ছিল জনযুদ্ধ। প্রতিটি নারী ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা। যারা অবরুদ্ধ বাংলাদেশে ছিলেন তারা পরিবারকে বুক দিয়ে আগলে রেখেছিলেন। মানুষের মুক্তির যুদ্ধ কিন্তু শুধু অস্ত্র হাতে যুদ্ধ নয়। ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলার কাজটা আয়েশা ফয়েজের মতো মায়েরা করেছিলেন। পুরস্কারপ্রাপ্ত দুই লেখককে অভিনন্দন জানিয়ে সুলতানা কামাল বলেন, অজানা খনীর নতুন মণির সন্ধান দিলেন তাম্রলিপির প্রকাশক। নতুন দুই তরুণ লেখিকার সন্ধান পেলাম এ পুরস্কার দেয়ার মধ্য দিয়ে। মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, আমার অত্যন্ত সাদাসিদে মাকে স্মরণ করে এ পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে এটা আমার জন্য অত্যন্ত আনন্দের। আজকের এই অনুষ্ঠান দেখে মনে হচ্ছে, আমার মাকে যতটা সাদামাটা মনে করতাম তিনি ততটা সাদাসিদে ছিলেন না। যারা পুরস্কার পেয়েছেন তাদের বই পড়ে আমার মনে হয়েছে তারা প্রশংসা ও পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য। তাদের পুরস্কার দিতে পেরে আমরা গর্ব অনুভব করছি।
×