কূটনৈতিক রিপোর্টার ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি ডক্টর সারাহ সুয়ল দুই দিনের সফরে আজ বুধবার ঢাকা আসছেন। বাংলাদেশের নাগরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে ঢাকার নীতি-নির্ধারক, রাজনীতিক, সুশীল সমাজসহ নানা স্তরের প্রতিনিধিদের সঙ্গে তিনি বৈঠক করবেন। এদিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা পরিস্থিতি দেখতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটির একটি প্রতিনিধিদল ঢাকায় অবস্থান করছেন। দুই বছরের বেশি সময় ধরে ওবামা প্রশাসনে নাগরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিয়ে সারাহ সুয়ল কাজ করছেন। বাংলাদেশে এটাই হবে তার প্রথম সফর। বাংলাদেশের চলমান নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সিওয়েলের সফর তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন কূটনীতিক বিশ্লেষকরা।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি সারাহ সুয়ল ৬ দিনের সফরে ২৫ মার্চ থেকে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড সফরে রয়েছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিনি থাইল্যান্ড হয়ে ঢাকায় আসছেন। বাংলাদেশে সম্প্রতি বিদেশী, সংখ্যালঘু নাগরিক ও লেখক-প্রকাশক হত্যায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ রয়েছে। সেকারণে বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তায় বাংলাদেশ কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে সেটা জানতে আগ্রহী দেশটি। এছাড়া মানবাধিকার পরিস্থিতিও পর্যবেক্ষণ করতে চায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এসব বিষয় বিবেচনায় মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারির ঢাকা সফরকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
আন্ডার সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আগে সারাহ সুয়ল হার্ভার্ড কেনেডি স্কুল অব গবর্নমেন্টে শিক্ষকতা করেছেন। সেখানে তিনি ‘কার সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস পলিসি’র পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন। জাতীয় নিরাপত্তা ও মানবাধিকার বিষয়ক কর্মসূচী পরিচালনা করেছেন। ডক্টর সারাহ সুয়ল যুক্তরাষ্ট্র সশস্ত্রবাহিনীর সঙ্গে বেসামরিক নিরাপত্তা বিষয়ে বিশদ কাজ করেছেন। ক্লিনটন প্রশাসনের অধীনে তিনি শান্তিরক্ষা এবং মানবিক সহায়তা বিষয়ক প্রথম ডেপুটি এ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অব ডিফেন্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। নির্বাহী বিভাগে যোগদানের আগে ডক্টর সুয়ল ছয় বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র ‘সিনেট মেজরিটি লিডার’ জর্জ জে মিশেলের সিনিয়র পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
আন্ডার সেক্রেটারি সারাহ সুয়লের ঢাকা সফর উপলক্ষে এক বার্তায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট বলেছেন, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। নিরাপত্তা ও সহিংস চরমপন্থা দমনসহ অন্যান্য বৈশ্বিক সমস্যা নিয়ে যখন আমরা একসঙ্গে কাজ করি তখন উভয় দেশের মানুষই তার সুফল পায়।
এদিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ দেশের সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটির একটি বিশেষ প্রতিনিধি দল সোমবার ঢাকায় এসেছেন। এই প্রতিনিধিদলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি, ফেডারেল এ্যাভিয়েশন ও মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের কর্মকর্তারা রয়েছেন। তিন দিনের ঢাকা সফরকালে তারা বিমান নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে সরকারের উর্ধতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: