ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

শেষ পর্যন্ত আরামবাগের কাছে নতি স্বীকার বাফুফের

স্বাধীনতা কাপ ফুটবলে দল বাড়ল

প্রকাশিত: ০৬:২৮, ২৯ মার্চ ২০১৬

স্বাধীনতা কাপ ফুটবলে দল বাড়ল

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ অবশেষে চাপের কাছে নতি স্বীকার করল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। আরামবাগ ক্রীড়া সংঘকে বাদ দিয়ে স্বাধীনতা কাপের ড্র আয়োজন করলেও শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লীগের রানার্সআপদের টুর্নামেন্টে নিতে বাধ্য হয়েছে দেশীয় ফুটবলের নিয়ন্ত্রক এই সংস্থা। পেশাদার লীগ কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয় বাফুফে। তবে আরামবাগ স্বাধীনতা কাপে অংশ নিলেও এ ব্যাপারে শেখ জামাল ধানম-ি ক্লাব তাকিয়ে আছে বাফুফের প্লেয়ার্স কমিটির সিদ্ধান্তের দিকে। বিতর্ক থাকার পরও আরামবাগ ও শেখ জামাল ক্লাবকে বাইরে রেখেই গত ২৪ মার্চ এবারের স্বাধীনতা কাপের ড্র আয়োজন করেছিল বাফুফে। কিন্তু সেদিনই রাতে ফেডারেশনের এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানায় আরামবাগ। বিষয়টি সমাধানে তাই একরকম বাধ্য হয়েই জরুরী সভায় বসতে হয় পেশাদার লীগ কমিটির সদস্যদের। আরামবাগকে স্বাধীনতা কাপ খেলতে দেয়া হবে কিনা এই নিয়ে তর্ক-বিতর্ক হলেও সিদ্ধান্ত শেষ পর্যন্ত গিয়েছে চ্যাম্পিয়নশিপের রানার্সআপদের পক্ষেই। তবে টুর্নামেন্টের ড্র আগে হয়ে যাওয়ায় আরামবাগের গ্রুপ নির্ধারণ করা হয়েছে লীগ কমিটির সদস্যদের সম্মতিক্রমে। যেখানে শেখ রাসেল, আবাহনী, বিজেএমসি, ফেনী সকার আর রহমতগঞ্জের সঙ্গে তাদের ঠাঁই হয়েছে গ্রুপ ‘বি’তে। এদিকে আরামবাগের মতো শেখ জামালেরও স্বাধীনতা কাপে খেলার দ্বার উন্মোচন হলেও বর্তমান লীগ চ্যাম্পিয়নরা তাকিয়ে আছে আট ফুটবলার নিয়ে প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটির সিদ্ধান্তের দিকে। ক্লাবটির ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান আশরাফউদ্দিন আহমেদ চুন্নু বলেন, ‘আমরা দুই মাস আগে থেকেই বাফুফেকে একাধিকবার চিঠি দিয়েছি যে যেসব খেলোয়াড় আমাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে অন্য দলে নাম লিখিয়েছে সেইসব খেলোয়াড়ের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দিলেই আমরা খেলবো। আমরা খেলার জন্য প্রস্তুত।’ শেষ পর্যন্ত শেখ জামাল স্বাধীনতা কাপ খেলতে আসলে উত্তর বারিধারা, চট্টগ্রাম আবাহনী, মুক্তিযোদ্ধা, ব্রাদার্স ইউনিয়ন এবং মোহামেডানের সঙ্গে তাদের স্থান হবে ‘এ’ গ্রুপে। ক্লাবের নাম পরিবর্তনের কারণে স্বাধীনতা কাপ ফুটবলে অংশ নেয়ায় ঝামেলা হয়েছিল আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের। তাদের বাদ রেখেই চূড়ান্ত হয়েছিল টুর্নামেন্টের গ্রুপিং। কিন্তু আরামবাগের আবেদনের প্রেক্ষিতে বাফুফে ক্লাবটিকে অন্তর্ভুক্ত করেছে স্বাধীনতা কাপে। শেখ জামালও স্বাধীনতা কাপে খেলবে না জানিয়েছিল। পরে তারা আবার মত পাল্টায়। আগামী ৩০ মার্চ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ‘কেএফসি স্বাধীনতা কাপ ফুটবল’ টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার কথা। টুর্নামেন্টে অংশ নেয়ার জন্য প্রতিটি দল পাবে এক লাখ টাকা করে। চ্যাম্পিয়ন দল পাবে পাঁচ লাখ টাকা ও ট্রফি। রানার্সআপ দল পাবে তিন লাখ টাকা ও ট্রফি। ‘শেখ জামাল ও আরামবাগ ক্লাব এই টুর্নামেন্টে অংশ নেয়ার জন্য আবেদন জানিয়ে বাফুফে বরাবর কোন চিঠি পাঠায়নি। তাই তারা এই টুর্নামেন্টে নেই।’ গত ২৪ মার্চ ড্র অনুষ্ঠানে মন্তব্য করেছিলেন বাফুফের সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী। উল্লেখ্য, গত বছরের অক্টোবরে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল ‘স্বাধীনতা কাপ’ আসরের। কিন্তু ওই সময়েই চট্টগ্রামে ‘শেখ কামাল আন্তর্জাতিক কাপ চ্যাম্পিয়নশিপ’ অনুষ্ঠিত হওয়ার কারণে মাঠে গড়ায়নি স্বাধীনতা কাপ। এবার স্বাধীনতা কাপ হলেও হচ্ছে না ফেডারেশন কাপ ফুটবল, যাকে সবসময়ই অভিহিত করা হতো ‘মৌসুম-সূচক ফুটবল টুর্নামেন্ট’ হিসেবে। এবার স্বাধীনতা কাপই হতে যাচ্ছে মৌসুম-সূচক ফুটবল টুর্নামেন্ট। ২০১৪ সালের সর্বশেষ আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল মোহামেডান। ফাইনালে তারা হারিয়েছিল ফেনী সকার ক্লাবকে। এবারের দলবদল অনুযায়ী সবশেষে শক্তিশালী দল গড়েছে শেখ রাসেল ও চট্টগ্রাম আবাহনী। তাদের টপকে মোহামেডান কি পারবে তাদের শিরোপা অক্ষুণœ রাখতে? সেটাই এখন দেখার বিষয়।
×