ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

নির্যাতনের ফুটেজ ফেসবুকে ॥ ঠাকুরগাঁওয়ে গ্রেফতার-১

প্রকাশিত: ২৩:৪৯, ২৮ মার্চ ২০১৬

নির্যাতনের ফুটেজ ফেসবুকে ॥ ঠাকুরগাঁওয়ে গ্রেফতার-১

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঠাকুরগাঁও ॥ ঠাকুরগাঁও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের এক ছাত্রকে দেড় বছর আগে বেধরক পেটানোর দৃশ্য ফেইজবুকে ছড়িয়ে পড়ার কারণে সামাজিক গণমাধ্যমসহ পুলিশ প্রশাসনে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পরে অভিযোগের ভিতিত্তে থানায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ মেহেদী হাসান নামে একজনকে গ্রেফতার করা করেছে। ঠাকুরগাঁও পলিটেকনিক ইনস্টিটিটের নির্যাতনের শিকার ছাত্র শামীম সরকার বাদি হয়ে শনিবার রাতে সহপাঠি মেহেদী হাসান, শশি জিৎ রায়, মেজবাউল হাসান দুর্জয়, আবুল কালাম আজাদ, মাজহারুল ইসলাম, আবু হানিফা, রাশেদুজ্জামান রাশেদ, আব্দুল জলিলকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করে। মামলার অন্যতম আসামী মেহেদী হাসানকে রবিবার দিবাগত রাতে ঢাকায় আটকের পর পুলিশ সোমবার সকালে ঠাকুরগাঁও থানায় নিয়ে আসে। মামলার অভিযোগে জানা যায়, ২০১০ সালে রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার আব্দুল খালেক সরকারে ছেলে শামীম সরকার ঠাকুরগাঁও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে খাদ্য বিভাগে ভর্তি হয়। ২০১৪ সালে ২৯ নবেম্বর সকাল ১১টায় সহপাঠি মেহেদী ও শশী জিৎ জরুরী কথা আছে বলে কলেজের নিচতলার ড্রয়িং রুমে নিয়ে যায়। এর পর সেখানে থাকা অন্য সহপাঠিরা কাঠ ও ক্রিকেটের স্টাম্প দিয়ে বেধরক নির্যাতন করে। এক পর্যায়ে তারা শামীমকে হত্যারও হুমকী দেয়। তাদের অমানুষিক নির্যাতনে সে রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে লুটিয়ে পরে। এসময় মেহেদী ক্রীড়া সম্পাদকের পদ থেকে অব্যহতির জন্য সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয়। এর পর ছেড়ে দেয়। তাদের হত্যার হুমকীতে আর মুখ খুলেনি। প্রায় দেড় বছর আগে অমানুষিক ওই নির্যাতনের ভিডিও দৃশ্য গত ২৫ মার্চ ইউটিউব থেকে ফেইজবুকে আপলোড করে। এতে শামীমকে পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রিয় ভাবে হেয়প্রতিপন্ন ও মানহানী করা হয়েছে। এতে সে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়েছে বলে উল্লেখ করে। ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি মশিউর রহমান বলেন, রবিবার মামলার প্রধান আসামী মেহেদীকে ঢাকায় গ্রেফতার করার পর সোমবার তাকে ঠাকুরগাঁওয়ে আনা হয়। এখন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
×