ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কলমাকান্দা-ঠাকুরাকোনা সড়কে ঝুঁকি নিয়ে যান চলাচল

নড়বড়ে ৯ বেইলি সেতু

প্রকাশিত: ০৪:০৮, ২৮ মার্চ ২০১৬

নড়বড়ে ৯ বেইলি সেতু

সঞ্জয় সরকার, নেত্রকোনা ॥ একটি বা দুটি নয়- গোনা ৬শ’ ৪২ জোড়াতালি দিয়ে সচল রাখা হয়েছে একটি বেইলি সেতু! আর প্রতিদিন এই সেতুর ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলছে শত শত ট্রাক, বাস ও লরিসহ ভারি যানবাহন। সরেজমিনে নেত্রকোনার ঠাকুরাকোনা-কলমাকান্দা সড়কের বাউসী এলাকায় কংস নদের ওপর নির্মিত বেইলি সেতুতে গিয়ে দেখা গেছে এমন দৃশ্য। একই সড়কের গোমাই সেতুতে দেয়া হয়েছে ৩শ’ ৬২ জোড়াতালি। এমন আরও সাতটি সেতুর দেখা মিলেছে ওই সড়কে। জানা গেছে, আশির দশকে ঠাকুরাকোনা-কলমাকান্দা সড়কে সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) উদ্যোগে মোট ৯টি স্টিলের বেইলি সেতু নির্মাণ করা হয়। জেলা সদরের সঙ্গে কলমাকান্দা উপজেলায় যাতায়াতের একমাত্র সড়ক হওয়ায় এ সড়কের ওপর দিয়ে প্রতিদিন শ’ শ’ বাস, ট্রাক, লরিসহ অন্যান্য ভারি যানাবহন চলাচল করে। কিন্তু ধারণ ক্ষমতার অধিক ভারি যান চলাচলের কারণে ন’টি সেতুর প্রায় প্রত্যেকটিই এখন ঝুঁকিপূর্ণ। যান চলাচলের অনুপযোগী। বিশেষ করে বাউসী ও গোমাই সেতু দুটির অবস্থা ভয়াবহ। এ দুই সেতুর বেশিরভাগ স্টিলের পাটাতন উঠে গেছে। অনেক পাটাতন বেঁকে গেছে। খুলে গেছে জয়েন্টের নাট-বল্ট। সওজ বিভাগ কোন রকমে জোড়াতালি ও ঝালাই দিয়ে এগুলো সচল রেখেছে। গুনে গুনে দেখা গেছেÑ বাউসী সেতুতে ৬শ’ ৪২টি এবং গোমাই সেতুতে ৩শ’ ৬১টি তালি দেয়া হয়েছে। এর পরও সেতুগুলোর ওপর দিয়ে হরদম চলছে ভারি যানবাহন। বছরের পর বছর ধরেই চলছে এমন অবস্থা। এ কারণে সেতুগুলোতে প্রায় সময়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। স্থানীয়রা জানান, ইতোমধ্যে বহুবার বাউসী ও গোমাই সেতুতে পণ্যসহ ট্রাক খাদে পড়েছে। ভারি যানবাহন উঠলেই সেতুগুলো কাঁপতে শুরু করে। পারাপারের সময় চালকসহ যাত্রীদের ভয়ে-আতঙ্কে থাকতে হয়। এদিকে সেতুগুলো সরু হওয়ায় এক সঙ্গে একাধিক যানবাহনও চলতে পারে না। একটি যান পার হলে অন্য আরেকটির অপেক্ষায় থাকতে হয়। সোহাগ মিয়া নামে ওই সড়কের এক বাসচালক জানান, যানবাহনের চাকার ঘর্ষণে ওই সেতু দুটির অনেক পাটাতন পিচ্ছিল হয়ে গেছে। এ ছাড়া প্রায় সময় জোড়াতালি ছুটে পাটাতন উঠে যাচ্ছে। এ কারণে সেতুগুলো পার হওয়ার সময় মারাত্মক আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হয়। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, এসব সেতুতে যে কোনো সময় বড় ধরনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের স্থানীয় নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদ খান জানান, ওই সড়কের ৯টি বেইলি সেতু ভেঙ্গে পাকা সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা আছে। এপ্রিল মাসের মধ্যেই এ ব্যাপারে ডিপিপি প্রস্তুত করে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেয়া হবে। অর্থ বরাদ্দ পেলে আশা করা যায়Ñ আগামী দু’বছরের মধ্যে পাকা সেতু নির্মাণ করা সম্ভব হবে। বর্তমানে সেতুগুলো মেরামত করে সচল রাখা হচ্ছে। রায়পুর-হায়দরগঞ্জ সড়কে ঝুঁকিপূর্ণ সেতু সংবাদদাতা, রায়পুর, লক্ষ্মীপুর থেকে জানান, রায়পুর-হায়দরগঞ্জ সড়কের সোলাখালী এলাকার ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি যে কোন সময় ভেঙ্গে পড়ে মারাত্মক দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। সেতুটি ভেঙ্গে দ্রুত মেরামত করার জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরে আবেদন করলেও কোন সাড়া মেলেনি বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। এলাকাবাসী বিল্লাল হোসেন ও অধির রঞ্জন রায় জানান, প্রায় ৩০ বছর আগে ডেনমার্ক সরকারের উদ্যোগে প্রায় ১৫ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। কয়েকবার সেতুটি ভেঙ্গে গেলে উপজেলা এলজিইডির তত্ত্বাবধানে কয়েকবার এটি মেরামত করে দেয়া হয়। গত তিন দিন আগে ওই সেতুর ওপরের অংশ গর্ত হয়ে ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয়েছে। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন গ্রামবাসীসহ হাজার হাজার পণ্য ও যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচল করছে। যে কোন সময় সেতুটি ভেঙ্গে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। বীরাঙ্গনাদের শাড়ি প্রদান নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ, ২৭ মার্চ ॥ ‘মানবিক প্রভাত আসবে বলে’ এই সেøাগানকে সামনে নিয়ে নওগাঁর ‘মানুষ মানুষের জন্য’ সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে রবিবার অবহেলিত ’৭১-এর বীরাঙ্গনাদের মাঝে শাড়ি বিতরণ করা হয়েছে। রাণীনগর উপজেলার আতাইকুলা বধ্যভূমি প্রাঙ্গণে সাত অবহেলিত বীরাঙ্গনার মাঝে এ শাড়ি বিতরণ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেনÑ সংগঠনের আহ্বায়ক আশরাফুল নয়ন, সদস্য রিমন মোরশেদ, স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলী প্রমুখ। পাবনায় স্বাস্থ্য ক্যাম্প নিজস্ব সংবাদদাতা, পাবনা, ২৭ মার্চ ॥ পাবনা কমিউনিটি হেলথ এ্যান্ড হার্ট হাসপাতালের উদ্যোগে রবিবার দিনব্যাপী স্বাস্থ্য ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে। হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর কাজী কামরুজ্জামান স্বাস্থ্য ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন। শহরের নূরপুরে অবস্থিত এ হাসপাতালে গরিব রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। স্বাস্থ্য ক্যাম্পে এক হাজার রোগীকে চিকিৎসা দেয়া হয়।
×