ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

গলাচিপায় যুবলীগ নেতাসহ আসামি ৭

পরকীয়ার অভিযোগে গৃহবধূকে নির্যাতন ॥ মাথা ন্যাড়া

প্রকাশিত: ০৪:০৬, ২৮ মার্চ ২০১৬

পরকীয়ার অভিযোগে গৃহবধূকে নির্যাতন ॥ মাথা ন্যাড়া

স্টাফ রিপোর্টার, গলাচিপা ॥ পটুয়াখালীর গলাচিপায় পরকীয়া সন্দেহে দীর্ঘ ৮ ঘন্টা আটকে রেখে গৃহবধূ রাবেয়া বেগম ও মিজান রাঢ়ীর ওপর বর্বরোচিত নির্যাতন চালানো হয়েছে। দু’জনকে মারধরসহ মাথার চুল কামিয়ে দেয়া হয়। রাবেয়াকে শ্লীলতাহানিও করা হয়। মিজানকে নগদ অর্থ জরিমানা করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গজালিয়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও নব নির্বাচিত চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে। পুলিশ রাবেয়াকে উদ্ধার করতে পারলেও মিজানের খোঁজ পায়নি। লোকলজ্জা ও ক্ষোভে সে আত্মগোপন করেছে। এ ঘটনায় নির্যাতিত গৃহবধূর স্বামী গলাচিপা থানায় সাত জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। তবে পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। রবিবার দুপুরে দায়ের মামলায় রাবেয়ার স্বামী হাবিব রাঢ়ী অভিযোগ করেন, মিজান রাঢ়ী তার ভাতিজা। ইছাদী গ্রামে তাদের পাশাপাশি বাড়ি। সেই সুবাদে মিজান রাঢ়ী নিয়মিত তাদের বাড়ি আসে। শনিবার বেলা ১১টার দিকে মিজান রাঢ়ী আসে হাবিব রাঢ়ীর বাড়ি। এ সময় এলাকার কয়েকজন মিজান রাঢ়ীর সঙ্গে রাবেয়ার অবৈধ সম্পর্ক আছে বলে অভিযোগ করে। এ অভিযোগের ভিত্তিতে গজালিয়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান এম. এ. কুদ্দুস মিয়া এবং একই ইউনিয়নের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও গলাচিপা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি খালিদুল ইসলাম স্বপনের নির্দেশে গ্রামপুলিশ সেলিম কথিত অভিযুক্ত মিজান রাঢ়ী ও রাবেয়া বেগমকে ধরে গজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের দোতলার কক্ষে দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে আটকে রাখে। সন্ধ্যা ৭টায় ইউনিয়ন পরিষদের হলরুমে বসে সালিশ। এক ঘন্টা ধরে সালিশ চলে। পরকীয়া সন্দেহে উভয়কে লাঠিপেটা করা হয়। মিজান রাঢ়ীর ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সালিশের এক পর্যায়ে উভয়কে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের দক্ষিণ পাশের খোলা মাঠে নেয়া হয়। সেখানে খালিদুল ইসলাম স্বপন মিজান রাঢ়ী ও রাবেয়াকে আরেক দফা পেটায়। এতে রাবেয়ার পরনের কাপড় খুলে যায়। এ সময় তাকে শ্লীলতাহানি ও যৌনপীড়ন করা হয়। এরপর পরিতোষ শীলকে ডেকে উভয়ের মাথা কামিয়ে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।
×